১৩ বছর পর সিরিয়ায় আবারও দূতাবাস স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কাতার। বাশার আল-আসাদ সরকারের নাটকীয় পতনের তিন দিন পর বুধবার কাতার জানিয়েছে, তারা সিরিয়ায় তাদের দূতাবাস আবার খুলবে।
কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র এবং প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা মাজেদ আল-আনসারি রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা কিউএনএকে বলেছেন, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা শেষ হলেই দূতাবাস আবার চালু হবে।
কবে নাগাদ সিরিয়ায় কাতারের দূতাবাস চালু হবে তা নিয়ে সুনির্দিষ্ট সময় জানায়নি দোহা। তবে দেশটি বলেছে, দূতাবাস চালু করার পদক্ষেপটি “ভ্রাতৃপ্রতিম সিরিয়ার জনগণের প্রতি অবিচল সমর্থন দেখানোর উদ্দেশ্য। যারা ন্যায়বিচার, শান্তি, স্থিতিশীলতা এবং সমৃদ্ধির ভিত্তির উপর তাদের দেশ গড়তে সচেষ্ট।
২০১১ সালে দোহা দামেস্কের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে এবং সিরিয়ার গৃহযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর তার দূতাবাস বন্ধ করে দেয়। এরপর থেকে কাতার আসাদ সরকারের সাথে সম্পর্ক পুনঃস্থাপন করেনি।
কাতারের একজন কর্মকর্তা শুক্রবার রয়টার্সকে বলেছেন, সিরিয়ার অন্তর্বর্তী সরকারের সাথে দেখা করতে এবং কাতারের দূতাবাস পুনরায় চালু করা এবং মানবিক সহায়তা বিতরণ বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনা করতে রোববার দামেস্কে প্রথম আনুষ্ঠানিক প্রতিনিধি দল পাঠাবে কাতার।
কাতারি কর্মকর্তা বলেন, তারা দূতাবাস পুনরায় খোলার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে এবং সাহায্য বিতরণ বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনা করবে।
এদিকে সিরিয়ার নতুন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন মোহাম্মদ আল-বশির। তিনি বিভিন্ন দেশে আশ্রয় নেওয়া সিরীয় শরণার্থীদের নিজ দেশে ফেরার আহ্বান জানিয়েছেন। ইতালির করিয়ের ডেলা সেরা পত্রিকাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, সিরিয়ার সব মানুষ ও সব সম্প্রদায়ের অধিকার নিশ্চিত করা হবে।
মোহাম্মদ আল-বশির বলেন, সিরিয়া এখন মুক্ত। সিরিয়া নিজের গৌরব এবং সম্মান অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। তাই বিদেশে থাকা সব সিরীয় নাগরিকের প্রতি আমার আবেদন আপনারা দেশে ফিরে আসুন।