রামগঞ্জ উপজেলা জমি সংক্রান্ত বিরোধীদের জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলায় বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদ উল্যাহ সহ তাঁর পরিবারের ছয়জন আহত হয়েছে। বুধবার দুপুরে উপজেলার ভাদুর ইউনিয়নের কেথুড়ী গ্রামের পাটোয়ারী বাড়িতে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে। সৃষ্ট ঘটনায় অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ শহীদ উল্লাহর ছেলে মোহাম্মদ ইউছুপ মিয়া (৩৫) বাদী হয়ে বিবাদী মাসুদ আলম(৪৮), মোঃ হারুন (৪২), মোঃ আনোয়ার(৩২), মোঃ আকাশ(২২)সহ১৫জনের নাম উল্লেখ করে রামগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ পত্র দায়ের করেন। এ ঘটনায়
থানায় পুলিশ ঘটনা স্থল পরিদর্শন করেন।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, বাদী মোহাম্মদ ইউছুপ মিয়ার পরিবার গংদের সঙ্গে একই গ্রামের আন্তির বাড়ির অভিযুক্ত আসামীদের দীর্ঘদিন ধরে জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিল। এ বিরোধকে কেন্দ্র করে লক্ষ্মীপুর দেওয়ানী আদালতে দুইটি মামলা হয়। সম্প্রতি বিজ্ঞ আদালত মুক্তিযোদ্ধা শহিদ উল্যাহর পক্ষে রায় দেন। এ রায়ের জের ধরে বিবাদীগন ক্ষীপ্ত হয়ে উঠেন। গত বুধবার বাদী ইউছুপ মিয়া তাদের মালিকানাধীন জমিতে ধান চাষ করতে গেলে বিবাদীরা বাধা প্রদান করে এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়। পরে অভিযুক্ত আসামীদের নেতৃত্বে ১৭/১৮ জন সঙ্ঘবদ্ধ হয়ে দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে মুক্তি যোদ্ধা শহীদ উল্যাহর বাড়িতে প্রবেশ করে তাঁর বাস ভবনে হামলা চালিয়ে বাস ভবনের জানালা শোকেস ভাঙচুর করে এবং একটি সোনার চেইন ও নগদ ১৩ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। সে সঙ্গে
মুক্তিযোদ্ধা শহিদ উল্ল্যাহকে মারধর ও শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা চালায়। এ সময় তাঁর ডাক চিৎকার শুনে বাড়ির লোকজন ঘটনা স্থলে ছুটে আসলে আসামীরা তাদেরকে ও এলোপাতাড়ি মারধর করে পালিয়ে যায় । স্হানীয়রা গুরুতর আহত বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদ উল্যাহ( ৮২) মোঃ ইউছুপ ( ৩৮), মোঃ হাসান (২৪), মোঃ হোসেন (২৪) তাহমিনা (৩৫) তাফরিয়া( ৭) সহ ৬ জনকে ঘটনা স্থল থেকে উদ্ধার করে রামগঞ্জ ও মাইজদী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যান। গত কাল সোমবার স্হানীয় সাংবাদিকরা আহত বীর মুক্তি যোদ্ধা শহীদ উল্যাহকে দেখতে গেলে তিনি জানান তাঁর বর্তমান বয়স ৮২ বছর, উপজেলার ২০ নং কেথুড়ী কৈলাশ মৌজার সি. এস ১১১ নং খতিয়ানের জের ওয়ারিশ সূত্রে ও খরিদ সূত্র দলিল মূলে জেলা আরপী ১০২, ১০৩, ১০৪, ৬২১, ৬২২, ৬২৩,৬২৪,৬২৫,৫৯৪,৭৮৪,ও ৭৮৫ নংদাগে শহিদ উল্যা তার পিতা ও তার ভাই হারুন অর রশিদ খরিদা দলিল মূলে মালিক হয়ে ভোগদখল করে বিগত ৬০ বছর ধরে সরকারের সেরেস্তায়
খাজনা জমা পূর্বক ভোগ দখল করে আসছেন। মালিকীয় সকল প্রকার দলিল ও আর, এস খতিয়ান, জমাখারিজ খতিয়ান ও খাজনা দাখিলা মজুদ রেখেছেন। কিন্তু বিবাদীগন তাঁর মলিকীঐ ভূমি জবর দখল করতে মারধর ও ভয় ভীতি ও প্রাণ নাশের হুমকি ধমকি দিয়ে আসছে।