ঢাকা ০২:৩৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫, ৬ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
মানিকগঞ্জে নদী- খাল খননসহ দখল ও দূষন প্রতিরোধে সবুজ সংহতির মতবিনিময় সভা মৌসুমের আগেই অপরিণত মৌচাক থেকে মধু সংগ্রহ, লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হুমকিতে লক্ষ্মীপুরে অবৈধভাবে টিসিবি পণ্য বিক্রি করায় জরিমানা শরীয়তপুরে মাদকসহ আটক ২ রাজধানী থেকে গ্রেফতার লক্ষ্মীপুরের আফনান হত্যা মামলার আসামি কিশোরগঞ্জে ভাঙারী দোকান থেকে মর্টারসেল উদ্ধার দেশ ও জাতীর জন্য যেকোনো ত্যাগ স্বীকার করতে যুব অধিকার পরিষদ কে নির্দেশ কেন্দ্রীয় সভাপতি মুন্জর মোর্শেদ মামুন যাত্রাবাড়ীতে মাদকসহ আটক ৩ চন্দ্রগঞ্জ মাদক কেনা-বেচায় প্রতিবাদ করায় চাঁদাবাজির মামলা দিয়ে সাংবাদিকসহ এলাকাবাসীকে হয়রানি কুলিয়ারচরে ছয়সূতী ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের উদ্যোগে দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত

দুই ছেলে আমাকে আগলে রাখে: নুসরাত

  • বিনোদন ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৪:৩০:০৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ অক্টোবর ২০২৪
  • ৬২৮ বার পড়া হয়েছে

কোভিডের সংক্রমণ কমলেও, তখনও কেটে যায়নি আতঙ্ক। হাসপাতাল থেকে ইশানকে বাড়ি নিয়ে এলেন অভিনেত্রী নুসরাত জাহান। দিনে পাঁচ বার শুধু বাড়ি পরিষ্কার চলত সেই সময়। এমনকী বাচ্চার ঘরের দিকে খুব একটা লোকজন যেতেন না। তাই মানুষের ছোঁয়া থেকে খানিক দূরে ছিল নুসরাত পুত্র। 

অভিনেত্রীর কথায়, ‘এই তো সেদিন তোকে কোলে করে নিয়ে এলাম। এর মধ্যেই কেমন বড় হয়ে গেলি বলতো…।’ রাতারাতি একটা ছোট্ট বাচ্চা কীভাবে তাঁকে পরিপূর্ণ করেছে সে বিষয়েই কথা বলেছেন অভিনেত্রী।  ছেলের কথা বলতে গিয়ে আবেগপ্রবণ নুসরাত। বললেন, ‘সিজার হওয়ায় হাসপাতালে ওকে একমাত্র ফিডিংয়ের সময় কাছে পেতাম। প্রথম যখন কোলে পাই তখন তো মা হয়ে উঠিনি। একজন শিশুকে কীভাবে দুধ খাওয়াতে হয়, কিছুই জানতাম না। যশ আমাকে এতটাই সাহায্য করেছে বলে বোঝাতে পারব না। আর সঙ্গে ছিলেন আমার মা। ছোট বাচ্চা কখন ঘুমাবে, কখন উঠবে সেটা বোঝা খুব মুশকিল হয়ে উঠত। প্রতিটি মায়ের অভিজ্ঞতা আসলে আলাদা হয়। আমারও তেমন সকলের থেকে অন্যরকম।’

বাচ্চাকে পাশে নিয়ে ঘুমানোর সময় প্রতিদিন নানা রকমের নতুন অভিজ্ঞতা হতো তার। দুধ খাওয়ানোর জন্য নাকি অ্যালার্মও দেওয়া থাকত অভিনেত্রীর। নুসরাত বলেন, ‘কখনও ঘুমের মধ্যে মনেও নেই হয়তো অ্যালার্ম বন্ধ করে দিয়েছি। আবার ধড়পড় করে উঠে বসতাম। আমি আর যশ সময় ভার করে নিয়েছিলাম। সারারাত ব্রেস্ট ফিডিং করার পর আমি যখন ভোরের দিকে একটু ঘুমাতাম, তখন যশ ওকে নিয়ে বসে থাকত।’

দেখতে দেখতে সাড়ে তিন বছর বয়স হয়ে গিয়েছে ইশানের। তার এখন নানা ধরনের প্রশ্ন মনে। অভিনেত্রীর কথায়, ‘খুব তাড়াতাড়ি বড় হয়ে গেল। স্কুলে যখন যাচ্ছে ইশান, ও তো বুঝতে পারছে না, ঠিক কী হতে চলেছে। আমার তো উদ্বেগ-চিন্তায় ওষ্ঠাগত প্রাণ। সবাই আমাকে বোঝাতে থাকে, এটা খুব সাধারণ একটা বিষয়। বাচ্চারা স্কুল যাওয়ার সময় কাঁদবেই। আমার কিছুতেই মন মানছে না। স্কুলের বাইরে সাতদিন টানা বসে থাকতাম। শুনতে পাচ্ছি তো ভেতরে কাঁদছে। যখন দেখলাম আর কাঁদছে না, তখন থেকে আর বসতাম না।’

নুসরাতের ছেলের সঙ্গে ছবি দেখে যশের বড় ছেলেকে খুঁজছেন ভক্তরা

তবে গর্বের সঙ্গে অভিনেত্রী বললেন, তিনি শুধুই ইশানের মা নন। তার জীবনে আরও এক সন্তান রয়েছে। যশের প্রথম ছেলে রিয়াংশ। ‘আমরা মানুষ হিসেবে অনেক কিছু জটিল করে থাকি, একটু মানবিকতা দিয়ে ভাবলে এমনটা কখনওই হয় না। আমাদের পরিবারে আলাদা করে দুই ছেলেকে কখনওই ভাবা হয় না। যশের দুই ছেলে ওর জীবন। কোনও তফাৎ নেই। আমাদের বাড়িতে কিন্তু দুটো পোষ্যও রয়েছে। ওরাও আমাদের সন্তান।’

তবে পাশে যশকে পেয়েছেন সবসময়। নুসরাতের কথায়, ‘আমি কোনওদিন বলতে পারব না যে মায়ের কাজ সবচেয়ে উপরে। আদর-যত্ন, লালন-পালন সবটা মা করেন সেটা যেমন ঠিক। তেমনই জীবনের অনেক পাঠ শিখিয়ে দেন বাবা। ইশান পড়ে গেলে আমি দৌড়ে গিয়ে তুললেও, যশ ওকে শেখায় কী ভাবে নিজে থেকে উঠে দাঁড়াতে হয়। একজন মা এবং বাবার আলাদা ভূমিকা থাকে জীবনে, যেটা শিক্ষণীয়।’

নুসরাতের কথায়, ‘আমি ওদের আদরের জায়গা, আর যশ ওদের নিরাপত্তা। সবাই কিন্তু বাবাকেই ভয় পায়। আর আমি বন্ধু। মজার বিষয় হলো, রিয়াংশ সবসময় ইশানকে অত্যন্ত আগলে রাখে। ওদের রক্তের টান। যেটা ভুলে যাওয়া সম্ভব নয়। আমি বা যশ যখন সবকিছু থেকে একটু ব্রেক নিতে বাইরে যাই, দু’জন বাচ্চা একে অপরকে আগলে রাখে।’

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

মানিকগঞ্জে নদী- খাল খননসহ দখল ও দূষন প্রতিরোধে সবুজ সংহতির মতবিনিময় সভা

দুই ছেলে আমাকে আগলে রাখে: নুসরাত

আপডেট সময় ০৪:৩০:০৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ অক্টোবর ২০২৪

কোভিডের সংক্রমণ কমলেও, তখনও কেটে যায়নি আতঙ্ক। হাসপাতাল থেকে ইশানকে বাড়ি নিয়ে এলেন অভিনেত্রী নুসরাত জাহান। দিনে পাঁচ বার শুধু বাড়ি পরিষ্কার চলত সেই সময়। এমনকী বাচ্চার ঘরের দিকে খুব একটা লোকজন যেতেন না। তাই মানুষের ছোঁয়া থেকে খানিক দূরে ছিল নুসরাত পুত্র। 

অভিনেত্রীর কথায়, ‘এই তো সেদিন তোকে কোলে করে নিয়ে এলাম। এর মধ্যেই কেমন বড় হয়ে গেলি বলতো…।’ রাতারাতি একটা ছোট্ট বাচ্চা কীভাবে তাঁকে পরিপূর্ণ করেছে সে বিষয়েই কথা বলেছেন অভিনেত্রী।  ছেলের কথা বলতে গিয়ে আবেগপ্রবণ নুসরাত। বললেন, ‘সিজার হওয়ায় হাসপাতালে ওকে একমাত্র ফিডিংয়ের সময় কাছে পেতাম। প্রথম যখন কোলে পাই তখন তো মা হয়ে উঠিনি। একজন শিশুকে কীভাবে দুধ খাওয়াতে হয়, কিছুই জানতাম না। যশ আমাকে এতটাই সাহায্য করেছে বলে বোঝাতে পারব না। আর সঙ্গে ছিলেন আমার মা। ছোট বাচ্চা কখন ঘুমাবে, কখন উঠবে সেটা বোঝা খুব মুশকিল হয়ে উঠত। প্রতিটি মায়ের অভিজ্ঞতা আসলে আলাদা হয়। আমারও তেমন সকলের থেকে অন্যরকম।’

বাচ্চাকে পাশে নিয়ে ঘুমানোর সময় প্রতিদিন নানা রকমের নতুন অভিজ্ঞতা হতো তার। দুধ খাওয়ানোর জন্য নাকি অ্যালার্মও দেওয়া থাকত অভিনেত্রীর। নুসরাত বলেন, ‘কখনও ঘুমের মধ্যে মনেও নেই হয়তো অ্যালার্ম বন্ধ করে দিয়েছি। আবার ধড়পড় করে উঠে বসতাম। আমি আর যশ সময় ভার করে নিয়েছিলাম। সারারাত ব্রেস্ট ফিডিং করার পর আমি যখন ভোরের দিকে একটু ঘুমাতাম, তখন যশ ওকে নিয়ে বসে থাকত।’

দেখতে দেখতে সাড়ে তিন বছর বয়স হয়ে গিয়েছে ইশানের। তার এখন নানা ধরনের প্রশ্ন মনে। অভিনেত্রীর কথায়, ‘খুব তাড়াতাড়ি বড় হয়ে গেল। স্কুলে যখন যাচ্ছে ইশান, ও তো বুঝতে পারছে না, ঠিক কী হতে চলেছে। আমার তো উদ্বেগ-চিন্তায় ওষ্ঠাগত প্রাণ। সবাই আমাকে বোঝাতে থাকে, এটা খুব সাধারণ একটা বিষয়। বাচ্চারা স্কুল যাওয়ার সময় কাঁদবেই। আমার কিছুতেই মন মানছে না। স্কুলের বাইরে সাতদিন টানা বসে থাকতাম। শুনতে পাচ্ছি তো ভেতরে কাঁদছে। যখন দেখলাম আর কাঁদছে না, তখন থেকে আর বসতাম না।’

নুসরাতের ছেলের সঙ্গে ছবি দেখে যশের বড় ছেলেকে খুঁজছেন ভক্তরা

তবে গর্বের সঙ্গে অভিনেত্রী বললেন, তিনি শুধুই ইশানের মা নন। তার জীবনে আরও এক সন্তান রয়েছে। যশের প্রথম ছেলে রিয়াংশ। ‘আমরা মানুষ হিসেবে অনেক কিছু জটিল করে থাকি, একটু মানবিকতা দিয়ে ভাবলে এমনটা কখনওই হয় না। আমাদের পরিবারে আলাদা করে দুই ছেলেকে কখনওই ভাবা হয় না। যশের দুই ছেলে ওর জীবন। কোনও তফাৎ নেই। আমাদের বাড়িতে কিন্তু দুটো পোষ্যও রয়েছে। ওরাও আমাদের সন্তান।’

তবে পাশে যশকে পেয়েছেন সবসময়। নুসরাতের কথায়, ‘আমি কোনওদিন বলতে পারব না যে মায়ের কাজ সবচেয়ে উপরে। আদর-যত্ন, লালন-পালন সবটা মা করেন সেটা যেমন ঠিক। তেমনই জীবনের অনেক পাঠ শিখিয়ে দেন বাবা। ইশান পড়ে গেলে আমি দৌড়ে গিয়ে তুললেও, যশ ওকে শেখায় কী ভাবে নিজে থেকে উঠে দাঁড়াতে হয়। একজন মা এবং বাবার আলাদা ভূমিকা থাকে জীবনে, যেটা শিক্ষণীয়।’

নুসরাতের কথায়, ‘আমি ওদের আদরের জায়গা, আর যশ ওদের নিরাপত্তা। সবাই কিন্তু বাবাকেই ভয় পায়। আর আমি বন্ধু। মজার বিষয় হলো, রিয়াংশ সবসময় ইশানকে অত্যন্ত আগলে রাখে। ওদের রক্তের টান। যেটা ভুলে যাওয়া সম্ভব নয়। আমি বা যশ যখন সবকিছু থেকে একটু ব্রেক নিতে বাইরে যাই, দু’জন বাচ্চা একে অপরকে আগলে রাখে।’