নীলফামারীতে একটি মায়ের কোল জুড়ে জন্ম নিয়েছেন দু’টি শিশু। একটি পুত্র সন্তান হলেও আর একটি হয়েছেন বিরল আকৃতির। শিশুটি ভূমিষ্ঠ হয়েছেন হাত-পা,মাথা ছাড়াই। এখন শিশুটিকে ঘিরে নানা আলোচনা-সমালোচনার জন্ম নিলেও চিকিৎসকরা বলছেন, শিশু দু’টি একসাথে গর্ভে আসায় গর্ভের একটি অংশ চাপা পড়লে শিশুটির আকৃতি অস্বাভিক হয়ে যায়।
আবার এটি জেনিটিক কারণও হতে পারে।জানা যায়, নীলফামারী সদর উপজেলার ইটাখোলা ইউনিয়নের লোকমানপাড়ার তারিন ও মোমিনুর দম্পত্তির কোল আলোকিত করে একে একে জন্ম নেয় দু’টি শিশু। সোমবার বেলা ১২.৩০মিনিটে নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালে সিজার ছাড়াই সাধারণভাবে এই নবজাতক শিশু দু’টির মধ্যে সর্বপ্রথম ভূমিষ্ঠ হয় বিরল আকৃতির শিশুটি। ১কেজি ৮গ্রাম ওজনের শিশুটির দু’টি আঙ্গুল দেখা গেলেও নেই দেহের গঠন। দেখতে ডিম্বাকৃতির হলেও নেই হাত-পা ও মাথা। আর পরের নবজাতকটি পুত্র সন্তান হলেও তার ওজন ১কেজি ৬গ্রাম। তারও রয়েছে নানা সমস্যা। রাখা হয়েছে হাসপাতালের নিবির পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে।
নবজাতকের মা তারিন বলেন, কয়েকদিন আগে আল্ট্রাসোনোগ্রাম করে রিপোর্টে জানতে পারি দুই বাচ্চার একটি পেটে মারা গেছে আর একটি বাচ্চা বেঁচে আছে। ঘটনাটি জানার পরে বাড়িতে গিয়েছি। গতকাল পেটের ব্যাথা উঠলে আবারও হাসপাতালে আসি।
এখানে এসে নরমলে দুটি বাচ্চা ডেলিভারী হয়েছে। মৃত বাচ্চাটিকে বাড়িতে পাঠানো হয়েছে আর জীবিত বাচ্চাটি হাসপাতালে আছে।নবজাতকদের নানী বলেন, আগে এরকম বাচ্চা কখনও দেখি নাই,এই প্রথম দেখলাম। বাচ্চা দু’টি জন্মের পর অনেক মানুষ দেখতে ভীর করছে হাসপাতালে।
বাচ্চাটিকে দেখতে আসা একজন বলেন, এই প্রথম এরকম বাচ্চা দেখলাম। দেখতে একদম ডিমের মতো। হাত-পা, গলা মাথা কিছুই নেই।
নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালের আরএমও ডা.আব্দুর রহিম বলেন, হাসপাতালে সাধারণভাবে গর্ভপাত হয়েছে শিশু দু’টির। তবে বিরল আকৃতির শিশুটি ভূমিষ্ঠ হয়েছে গর্ভে চাপা পড়ে কিংবা জেনিটিক কারণে হতে পারে। আকার আকৃতি নানা থাকায় শিশুটিকে পরিবারের কাছে দাফনের জন্য হস্তান্তর করা হয়েছে। আর বেঁচে থাকা নবজাতকটিকে নিবির পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।