বগুড়ায় নিখোঁজ এক স্কুল ছাত্রের বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত ওই স্কুলছাত্রের নাম মো. তামিম হাসান (১৪)। নিহত তামিম হাসান কুসুম্বী ইউনিয়নের দক্ষিণ আমইন গ্রামের মো. মুকুল আকন্দের ছেলে এবং স্থানীয় কেল্লা বাজারস্থ আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্র।
১১জুলাই বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার কুসুম্বী ইউনিয়নের দক্ষিণ আমইন গ্রামের একটি জলাশয়ে ভাসমান অবস্থায় বস্তাবন্দি ওই লাশটি উদ্ধার করে শেরপুর থানা পুলিশ। পরে ময়না তদন্তের জন্য নিহতের লাশ বগুড়ায় শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। এদিকে এই নির্মম হত্যাকান্ডের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুইজনকে আটক করেছে থানা পুলিশ। তবে ঘটনার রহস্য উদঘাটনের স্বার্থে তাদের নাম পরিচয় জানানো হয়নি।পুলিশ জানান, ১০জুলাই সকালে বাড়ি থেকে বের হয় তামিম হাসান। এরপর বাড়ি ফিরেনি। পরিবারের সদস্যরা সম্ভাব্য সব জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেন। কিন্তু তাঁর সন্ধান মেলেনি।
পরে ওইদিন রাতেই ছেলে নিখোঁজ হয়েছে-মর্মে পরিবারের পক্ষ থেকে শেরপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেন। এদিকে নিখোঁজ হওয়ার চব্বিশ ঘন্টা পরই বৃহস্পতিবার সকাল সাতটার দিকে দক্ষিণ আমইন গ্রামস্থ আব্দুল হান্নান হাজীর মালিকানাধীন জলাশয়ে বস্তাবন্দি অবস্থায় একটি লাশ ভাসতে দেখেন স্থানীয় এলাকাবাসী। পরে থানায় সংবাদ দেওয়া হলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশটি উদ্ধার করেন। ঘটনাটি সম্পর্কে লাশ উদ্ধারকারি কর্মকর্তা শেরপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শাহাদৎ হোসেন জানান , সম্ভবত অন্য কোনো স্থানে শিশুটিকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর মৃতদেহ বস্তায় ভরে জলাশয়ে ফেলে রেখে যায় ঘাতকরা। প্রাথমিকভাবে সেটি প্রতিয়মান হয়েছে।
কারণ বস্তাবন্দি অবস্থায় নিহতের গলায় রশি বাঁধা ছিল। তবে হত্যার প্রকৃত কারণ জানতে লাশের ময়না তদন্তের প্রতিবেদনের জন্য অপেক্ষা করতে হবে। শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রেজাউল করিম রেজা বলেন, ঘটনার রহস্য উদঘাটনে পুলিশ কাজ শুরু করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় দুইজনকে আটক করে ঘটনা সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এই ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।