সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থা পুনর্বহালের প্রতিবাদে আবারও ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করেছেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (০৮ জুলাই) বিকাল সাড়ে ৩টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ‘কোটা বৈষম্যর প্রতিবাদে বাংলা ব্লকেড’ কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়’ শিরোনামের ব্যানারে এ অবরোধ কর্মসূচি পালিত হয়। এসময় মহসড়কে দুইপাশে প্রায় ২৫ কিলোমিটারের মত তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।
এসময় শিক্ষার্থীরা নানা স্লোগান দিতে থাকেন। স্লোগানে তারা বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর বাংলায় বৈষম্যের ঠাই নাই’, ‘মেধা যার, মেধা যার; চাকরি তার চাকরি তার’, ‘মুক্তি যুদ্ধের মূল কথা সুযোগে সমতা’, ‘স্বাধীনতার মূল কথা সুযোগে সমতা’, ‘রেলের ৪০% কোটা মুক্ত করে রেল সম্পদ রক্ষা করো’, ‘কোটা প্রথা নিপাত যাক, মেধাবীরা মুক্তি পাক’, একাত্তরের হাতিয়ার, গর্জে উঠো আরেকবার ইত্যাদি।
বিক্ষোভ কর্মসূচি ও সড়ক অবরোধের বিষয়ে, আইন বিভাগের ১ম বর্ষের ছাত্র রাফি উল হক, বাংলাদেশের চাকরির বাজার এমনিতেই খুবই প্রতিযোগিতামূলক। তার উপর আবার সরকারি চাকরিতো সোনার হরিণ। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে ২০১৮ সালের সরকারের একটি পরিপত্রে ১ম ও ২য় শ্রেনীর চাকরীতে সকল প্রকার কোটা বাতিল ঘোষণা করে। কিন্তু সাম্প্রতিক হাইকোর্টের একটি রায়ে ওই পরিপত্রটি অবৈধ ঘোষনার পরপরই কোটা আন্দোলন আবার প্রবলভাবে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। জনপ্রশাসনে বর্তমানে মেধাবিদের খুবই অভাব, এসব কোটাধারি নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে বর্তমানে এই খাতটাকে দুর্নীতির চরম লেভেলে নিয়ে গেছে, যা সাম্প্রতিক কয়েকটা ঘটনা পরিলক্ষণ করে বুঝা যায়। তাই বাংলার অপামর ছাত্রসমাজ মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ চায়, এবং বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ তৈরিতে সহয়তা করতে চায়।
ইংরেজী বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র রকিবুল হাসান বলেন, বাবা প্রাইমারি স্কুল শিক্ষক হওয়ায় আমি নিজেও পোষ্য কোটার সুবিধা পাবো। কিন্তু আমি চাই চাকরির ক্ষেত্রে এই কোটা ব্যবস্থা না থাকুক। কারণ কোটা প্রথা মেধাবী এবং পরিশ্রমী শিক্ষার্থীদের জন্য রীতিমতো একটা জুলুম। আমি চাই বাংলাদেশের যেকোনো চাকরিতে কেবল পরিশ্রমী মেধাবীরাই সুযোগ পাক।
ময়নামতি হাইওয়ে ফাঁড়ি ইনচার্জ ইকবাল বাহার বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের দুইপাশেই শিক্ষার্থীরা অবরোধ করেছে। আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি তাদেরকে বুঝাতে। কিন্তু তারা কোনভাবেই আমাদের কথা শুনছে না। আশা করি খুব দ্রুত একটা সমাধান করতে পারব।