পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলার কালীগঞ্জের প্রধানাবাদ ছালেহীয়া দাখিল মাদরাসা। ক্লাশ ফাঁকি দেন শিক্ষকেরা। প্রায় প্রতিদিনই মাদরাসা ছুটি হয় দুপুরে।
গণমাধ্যম কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে এর সত্যতা পান। স্থানীয় লোকজন জানান, প্রায় প্রতিদিনই মাদরাসা দুপুর ১২ টা বা ১টার সময় ছুটি দিয়ে দেন। মাদরাসার সাথে মসজিদ থাকলেও শিক্ষকেরা নামাজ না পড়েই ছুটি দিয়ে চলে যান বললেন মাদরাসার মুয়াজ্জিন।
তবে মাদরাসার সুপারিন্টেন্ডেন্ট আনোয়ারুল ইসলাম দুপুরে মাসরাসা ছুটি দেয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, আজকে পরীক্ষা ছিল। পরীক্ষা ১ টার সময় শেষ হওয়ায় মাদরাসা ছুটি দেয়া হয়েছে। স্থানীয় বলেন, মাদরাসার অফিস সহকারি আব্দুল মালেক মাসে ৮/৯ দিন মাদরাসায় আসেন। মাদরাসায় এসে শিক্ষক হাজিরা খাতায় প্রতিদিনের স্বাক্ষরের ঘরে স্বাক্ষর দেন। তার স্ত্রী লালমনিরহাটে চাকুরি করার কারনে তিনিও লালমনিরহাটে অবস্থান করেন।
মাদরাসার সুপার আনোয়ারুল ইসলাম ও অফিস সহায়ক আব্দুল মালেক সম্পর্কে জামাই শ্বশুর। এজন্য আব্দুল মালেকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেননা সুপার আনোয়ারুল ইসলাম।
মাদরাসায় ১ম শ্রেনী হতে ৫ম শ্রেনী পর্যন্ত কোন ক্লাশ হয়না। শ্রেনী কক্ষের সামনে খড় স্তুপ করে রাখা হয়েছে। বারান্দায় শ্যাওলা পড়ে গেছে। শ্রেনী কক্ষের তালায় মরিচা ধরে গেছে। দেখে মনে হচ্ছে অনেক দিন ধরেই শ্রেনী কক্ষের তালা খোলা হয়না। মাদরাসার এবতেদায়ী প্রধান শিক্ষক নুরুল হক নিজামীর বক্তব্য জানার জন্য তাকে খোজ করেও পাওয়া যায়নি। মাদরাসা বন্ধ থাকায় তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। স্থানীয়রা বলেন, এবতেদায়ী শাখায় কোন ছাত্র ছাত্রী নাই। এজন্য ক্লাশ হয়না।
তারা আরও বলেন, এ মাদরাসায় ছেলে মেয়েদের পড়াশোনা করার কোন পরিবেশ নাই। শিক্ষকেরা দেরিতে আসেন আর দুপুরেই চলে যান। তারা এমনিতেই সরকারের বেতন ভাতা নেন। বেতনের টাকা হালাল করে নেননা।