‘আমি এমপি থাকতে ফরিদপুরের ভাঙ্গায় কোনো দুর্নীতি, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও দখলবাজি করতে দেওয়া হবে না। আমি সংবাদ পেয়েছি, দীর্ঘ ৫০ বছর ধরে সরকারি জায়গায় মাদ্রাসার প্রায় ২০টি দোকানঘর ছিল। উপজেলা নির্বাচনের আগে প্রশাসন মাদ্রাসার দোকানগুলো ভেঙ্গে ফেলে। সেই জায়গায় প্রশাসনের সহায়তায় এ্যাসিল্যান্ড অন্য লোকদের লিজ দিয়েছে। আমি রোববার সন্ধ্যায় ঈদগাহে মাগরিবের নামাজ পড়তে এসেছি। সরেজমিনে দেখলাম। এরপর মাদ্রাসার ছাত্র শিক্ষক ওই এলাকাবাসী মিলে দখল করা জায়গাটি ভেঙে ফেলেছে।’
রোববার সন্ধ্যায় ভাঙ্গা উপজেলার ঈদগাহ মাদ্রাসা মসজিদের সামনে ফরিদপুর-৪ আসনের এমপি ও যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, উপজেলা নির্বাচনের আগে মসজিদ এবং মাদ্রাসার সামনে সরকারি খাস জমিতে মাদ্রাসার প্রায় ২০টি দোকান ছিল। এসব দোকান থেকে মাদ্রাসার শিক্ষক এবং এতিমদের থাকা-খাওয়া চিকিৎসা খরচ যোগাত। কিন্তু প্রশাসনের লোকের সহায়তায় স্থানীয় লোকজন মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ডিসিআর নিয়ে দখল করে। আমার কাছে অভিযোগ আসছে।
এমপি নিক্সন চৌধুরী বলেন, আপনারা সাংবাদিকরা জানেন, ইতিপূর্বে কাঠপট্টিতে সরকারি খাস জায়গায় শতাধিক দোকান তৎকালীন এসিল্যান্ড সাহেব কোটি কোটি টাকা নিয়ে বরাদ্দ দিয়েছিলেন। আমি সংবাদ পেয়ে এলাকার জনগণকে সঙ্গে নিয়ে তা প্রতিহত করেছি।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে ভাঙ্গা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মিশকাতুল জান্নাত রাবেয়ার মোবাইল ফোনে একাধিক ফোন করা হয়। তিনি রিসিভ করেননি।