ঢাকা ০৪:৩৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৫, ৭ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে ক্ষতিগ্রস্তদের অবস্থান কর্মসূচি মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষাহল পরিদর্শনে গিয়ে ছবি তুলে ফেসবুকে আপলোড কুমিল্লায় বিএসটিআই ও জেলা প্রশাসনের যৌথ অভিযান, ২ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা কুমিল্লায় ৯৭৫ বোতল ফেন্সিডিলসহ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব লডাঙ্গায় মাছ চোর সন্দেহে একজনকে পিটিয়ে হত্যা চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এলাকায় র‍্যাব ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে ১১ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে জেল-জরিমানা। অপ্রত্যাশিত ঘটনার দ্বারা শেষ হলো গোয়ানঘাটের আন্তঃ ইউনিয়ন অনূর্ধ্ব ১৭ এর (বালক) ফুটবলের ফাইনাল ম্যাচ বোরহানউদ্দিন সাংস্কৃতিক সংসদ কমিটি গঠন রসিক মেয়র কে দুদকের চিঠি সরিষার ক্ষেতের সৌন্দর্যের আড়ালে ভয়ংকর রাসেল ভাইপার

গোয়াইনঘাটে ভারতের পাহাড়ি ঢলে ফের বন্যা: হাওর ও নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলায় গত তিনদিনের অতিবৃষ্টি ও সীমান্তবর্তী ভারতের পাহাড়ি ঢলে উপজেলার ১৩ টি ইউনিয়নের হাওর ও নিম্নাঞ্চল প্লাবিত। এতে পবিত্র ঈদুল আযহাকালীন সময়ে আকস্মিক বন্যা পরিস্থিতির উদ্ভব হয়েছে।

উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, গোয়াইনঘাট-রাধানগর-জাফলং সড়কের শিমুলতলা পয়েন্ট সড়কের উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে বন্যা ঝুঁকিপ্রবণ রুস্তমপুর, লেঙ্গুড়া, ডৌবাড়ী, নন্দীরগাঁও, পূর্ব ও পশ্চিম আলীরগাঁও এবং পশ্চিম জাফলং সদর ইউনিয়ন ও মধ্য জাফলং ইউনিয়নে ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বারগণ ভলান্টিয়ারসহ আকস্মিক বন্যাজনিত দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় নিয়োজিত আছেন।

এসব ইউনিয়নসমূহে উপজেলা প্রশাসন থেকে নিয়োজিত ১৩ জন সরকারি ট্যাগ অফিসার সার্বিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম সমন্বয় ও তদারকি করছেন। এছাড়া জরুরি উদ্ধার কার্যক্রম এবং ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য উপজেলায় ১৩ টি ইউনিয়নে নূন্যতম ০২টি করে মোট ৪৭ টি উদ্ধারকারী নৌকা (রেসকিউ বোট) নিয়োজিত আছে। এদিকে শনিবার (১৫ জুন) বেলা ৩টা পর্যন্ত গোয়াইন, পিয়াইন ও সারি পয়েন্টে পানির প্রবাহ বিপদসীমা ছুঁই ছুঁই করছে এবং থেমে থেমে ভারী বর্ষণ অব্যাহত রয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তৌহিদুল ইসলাম জানান, অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যা পরিস্থিতি উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মনিটরিং সেলের অফিসারগণ বন্যাদুর্গত ও ঝুঁকিপ্রবণ এলাকা সমূহে জনপ্রতিনিধিগণসহ সরেজমিনে কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।
তিনি জানান, যে সকল এলাকা ঝুঁকিপূর্ণ ও প্লাবিত হতে পারে সে সকল এলাকার ঘরবাড়ি, বাজার ও দোকান সমূহ থেকে জানমাল নিরাপদে সরিয়ে নেয়ার জন্য স্থানীয়দের সতর্ক করা হচ্ছে। উপজেলার ১৩ টি ইউনিয়নে মোট ৫৬টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রয়েছে। অতি ঝুঁকিপূর্ণ ও প্লাবণ প্রবণ এলাকায় আশ্রয়কেন্দ্রে জনগণকে দ্রুত অবস্থান নিতে মাইকিং করা হচ্ছে।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে ক্ষতিগ্রস্তদের অবস্থান কর্মসূচি

গোয়াইনঘাটে ভারতের পাহাড়ি ঢলে ফের বন্যা: হাওর ও নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

আপডেট সময় ১০:২১:০৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৬ জুন ২০২৪

সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলায় গত তিনদিনের অতিবৃষ্টি ও সীমান্তবর্তী ভারতের পাহাড়ি ঢলে উপজেলার ১৩ টি ইউনিয়নের হাওর ও নিম্নাঞ্চল প্লাবিত। এতে পবিত্র ঈদুল আযহাকালীন সময়ে আকস্মিক বন্যা পরিস্থিতির উদ্ভব হয়েছে।

উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, গোয়াইনঘাট-রাধানগর-জাফলং সড়কের শিমুলতলা পয়েন্ট সড়কের উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে বন্যা ঝুঁকিপ্রবণ রুস্তমপুর, লেঙ্গুড়া, ডৌবাড়ী, নন্দীরগাঁও, পূর্ব ও পশ্চিম আলীরগাঁও এবং পশ্চিম জাফলং সদর ইউনিয়ন ও মধ্য জাফলং ইউনিয়নে ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বারগণ ভলান্টিয়ারসহ আকস্মিক বন্যাজনিত দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় নিয়োজিত আছেন।

এসব ইউনিয়নসমূহে উপজেলা প্রশাসন থেকে নিয়োজিত ১৩ জন সরকারি ট্যাগ অফিসার সার্বিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম সমন্বয় ও তদারকি করছেন। এছাড়া জরুরি উদ্ধার কার্যক্রম এবং ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য উপজেলায় ১৩ টি ইউনিয়নে নূন্যতম ০২টি করে মোট ৪৭ টি উদ্ধারকারী নৌকা (রেসকিউ বোট) নিয়োজিত আছে। এদিকে শনিবার (১৫ জুন) বেলা ৩টা পর্যন্ত গোয়াইন, পিয়াইন ও সারি পয়েন্টে পানির প্রবাহ বিপদসীমা ছুঁই ছুঁই করছে এবং থেমে থেমে ভারী বর্ষণ অব্যাহত রয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তৌহিদুল ইসলাম জানান, অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যা পরিস্থিতি উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মনিটরিং সেলের অফিসারগণ বন্যাদুর্গত ও ঝুঁকিপ্রবণ এলাকা সমূহে জনপ্রতিনিধিগণসহ সরেজমিনে কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।
তিনি জানান, যে সকল এলাকা ঝুঁকিপূর্ণ ও প্লাবিত হতে পারে সে সকল এলাকার ঘরবাড়ি, বাজার ও দোকান সমূহ থেকে জানমাল নিরাপদে সরিয়ে নেয়ার জন্য স্থানীয়দের সতর্ক করা হচ্ছে। উপজেলার ১৩ টি ইউনিয়নে মোট ৫৬টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রয়েছে। অতি ঝুঁকিপূর্ণ ও প্লাবণ প্রবণ এলাকায় আশ্রয়কেন্দ্রে জনগণকে দ্রুত অবস্থান নিতে মাইকিং করা হচ্ছে।