ঢাকা ০৪:২৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৫, ৭ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে ক্ষতিগ্রস্তদের অবস্থান কর্মসূচি মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষাহল পরিদর্শনে গিয়ে ছবি তুলে ফেসবুকে আপলোড কুমিল্লায় বিএসটিআই ও জেলা প্রশাসনের যৌথ অভিযান, ২ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা কুমিল্লায় ৯৭৫ বোতল ফেন্সিডিলসহ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব লডাঙ্গায় মাছ চোর সন্দেহে একজনকে পিটিয়ে হত্যা চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এলাকায় র‍্যাব ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে ১১ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে জেল-জরিমানা। অপ্রত্যাশিত ঘটনার দ্বারা শেষ হলো গোয়ানঘাটের আন্তঃ ইউনিয়ন অনূর্ধ্ব ১৭ এর (বালক) ফুটবলের ফাইনাল ম্যাচ বোরহানউদ্দিন সাংস্কৃতিক সংসদ কমিটি গঠন রসিক মেয়র কে দুদকের চিঠি সরিষার ক্ষেতের সৌন্দর্যের আড়ালে ভয়ংকর রাসেল ভাইপার

ভারি বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে বিধ্বস্ত রাস্তা-কালভার্ট, দুর্ভোগে ১০ হাজার বাসিন্দা

মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার দুর্গম পাহাড়ি জনপদ বৃহত্তর বোবারথল গ্রামের ১০ হাজার মানুষের যাতায়াতের একমাত্র রাস্তাটি ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে সৃষ্ট টানা ভারি বর্ষণ আর পাহাড়ি ঢলে বিধ্বস্ত হয়ে গেছে। ধসে পড়েছে এলাকাবাসীর অর্থায়নে নির্মিত চারটি কালভার্ট। এতে এলাকাবাসী পড়েছেন চরম দুর্ভোগে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, নালিখাই, কাঠালীগাছ ও চইলতারপুল নামক স্থানের চারটি কালভার্ট ভারি বর্ষণ আর পাহাড়ি ঢলে ভেঙে গেছে। ঢলের পানিতে ভেঙেছে রাস্তা, উঠে গেছে ইটসলিং।

এলাকার বাসিন্দারা জানান, বছরের পর বছর বোবারথলের লোকজন মারাত্মক দুর্ভোগ পোহাচ্ছিলেন। গত শুকনো মৌসুমে এলাকাবাসীর অর্থায়নে রাস্তাটি সংস্কার করা হয়। এছাড়া সরকারিভাবেও কিছু জায়গা ইটসলিং হয়। যার কারণে যাতায়াতের ক্ষেত্রে লোকজনের দীর্ঘদিনের কষ্ট অনেকটা লাঘব হয়। কিন্তু ঘূর্ণিঝড় রেমালের কারণে সৃষ্ট টানা ভারি বর্ষণে ও পাহাড়ি ঢলে রাস্তাটির বিভিন্ন জায়গা ভেঙে গেছে। ধসে পড়েছে সদ্য নির্মিত চারটি কালভার্ট। উঠে গেছে রাস্তার ইটসলিং। ফলে আবারও বিচ্ছিন্ন যোগাযোগ ব্যবস্থা।

দুর্ভোগের কথা জানিয়ে এলাকার বাসিন্দা আব্দুল হাছিব জানান, রাস্তা সংস্কার হওয়ায় ছোটলেখা বাজার থেকে বোবারথল বাজারে একবস্তা চাল নিতে খরচ হতো ৪০ থেকে ৫০ টাকা। কিন্তু রাস্তা ও কালভার্ট ভাঙায় এখন ব্যয় হচ্ছে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা। এমনিতেই দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি। তার ওপর রাস্তার দুরাবস্থার জন্য মানুষের ব্যয় বাড়ায় সাধারণ জনগণ ও ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।

এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী প্রীতম সিকদার জয় জানান, রাস্তা সংস্কার ও কালভার্টগুলো এলাকাবাসীর অর্থায়নে নির্মিত হয়ে থাকলে দেখভাল তাদেরকেই করতে হবে। তবে এই রাস্তাটির উন্নয়নে প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। অনুমোদন পেলে রাস্তার সঙ্গে কালভার্টগুলোও নির্মাণ করা হবে।

 

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে ক্ষতিগ্রস্তদের অবস্থান কর্মসূচি

ভারি বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে বিধ্বস্ত রাস্তা-কালভার্ট, দুর্ভোগে ১০ হাজার বাসিন্দা

আপডেট সময় ১২:৫৫:৫৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৬ জুন ২০২৪

মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার দুর্গম পাহাড়ি জনপদ বৃহত্তর বোবারথল গ্রামের ১০ হাজার মানুষের যাতায়াতের একমাত্র রাস্তাটি ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে সৃষ্ট টানা ভারি বর্ষণ আর পাহাড়ি ঢলে বিধ্বস্ত হয়ে গেছে। ধসে পড়েছে এলাকাবাসীর অর্থায়নে নির্মিত চারটি কালভার্ট। এতে এলাকাবাসী পড়েছেন চরম দুর্ভোগে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, নালিখাই, কাঠালীগাছ ও চইলতারপুল নামক স্থানের চারটি কালভার্ট ভারি বর্ষণ আর পাহাড়ি ঢলে ভেঙে গেছে। ঢলের পানিতে ভেঙেছে রাস্তা, উঠে গেছে ইটসলিং।

এলাকার বাসিন্দারা জানান, বছরের পর বছর বোবারথলের লোকজন মারাত্মক দুর্ভোগ পোহাচ্ছিলেন। গত শুকনো মৌসুমে এলাকাবাসীর অর্থায়নে রাস্তাটি সংস্কার করা হয়। এছাড়া সরকারিভাবেও কিছু জায়গা ইটসলিং হয়। যার কারণে যাতায়াতের ক্ষেত্রে লোকজনের দীর্ঘদিনের কষ্ট অনেকটা লাঘব হয়। কিন্তু ঘূর্ণিঝড় রেমালের কারণে সৃষ্ট টানা ভারি বর্ষণে ও পাহাড়ি ঢলে রাস্তাটির বিভিন্ন জায়গা ভেঙে গেছে। ধসে পড়েছে সদ্য নির্মিত চারটি কালভার্ট। উঠে গেছে রাস্তার ইটসলিং। ফলে আবারও বিচ্ছিন্ন যোগাযোগ ব্যবস্থা।

দুর্ভোগের কথা জানিয়ে এলাকার বাসিন্দা আব্দুল হাছিব জানান, রাস্তা সংস্কার হওয়ায় ছোটলেখা বাজার থেকে বোবারথল বাজারে একবস্তা চাল নিতে খরচ হতো ৪০ থেকে ৫০ টাকা। কিন্তু রাস্তা ও কালভার্ট ভাঙায় এখন ব্যয় হচ্ছে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা। এমনিতেই দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি। তার ওপর রাস্তার দুরাবস্থার জন্য মানুষের ব্যয় বাড়ায় সাধারণ জনগণ ও ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।

এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী প্রীতম সিকদার জয় জানান, রাস্তা সংস্কার ও কালভার্টগুলো এলাকাবাসীর অর্থায়নে নির্মিত হয়ে থাকলে দেখভাল তাদেরকেই করতে হবে। তবে এই রাস্তাটির উন্নয়নে প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। অনুমোদন পেলে রাস্তার সঙ্গে কালভার্টগুলোও নির্মাণ করা হবে।