অবশেষে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বঙ্গোপসাগর হয়ে আটকাপড়া ১৮০ জন সেন্টমার্টিনের বাসিন্দা দ্বীপে যাত্রা করেছেন। বৃহস্পতিবার বিকালে তারা সাবরাং ইউনিয়নের মুণ্ডার ডেইল নৌঘাট হতে সেন্টমার্টিনের পথে যাত্রা করেন। এদের মধ্যে নারী, পুরুষ ও শিশুরাও রয়েছে।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুরনাগাদ সেন্টমার্টিন হতে বঙ্গোপসাগর হয়ে আনুমানিক ২৩০ জন যাত্রী নিয়ে ৪টি বড় বড় ট্রলার টেকনাফের উদ্দেশে রওনা করে। ওই ট্রলারগুলো দুপুর ২টার দিকে সাবরাং ইউনিয়ন মুণ্ডার ডেইল নৌঘাটের পশ্চিমে বঙ্গোপসাগরে নোঙর করে। পরে ঘাট থেকে ছোট ছোট মাছ শিকারের নৌকাযোগে বঙ্গোপসাগরে নোঙর করা ট্রলারে তুলে দেন আটকা সেন্টমার্টিন যেতে ইচ্ছুক বাসিন্দাদের। বিকাল ৫টা নাগাদ তারা টেকনাফ ত্যাগ করেন বলে জানা গেছে।
সেন্টমার্টিন বোট মালিক সমিতির সভাপতি আব্দুর রশিদ জানান, যেহেতু সামনে পবিত্র ঈদ ও কুরবানি। সেজন্য জীবনের ঝুঁকি নিয়ে হলেও তারা দ্বীপে যেতে আগ্রহী। তাই ৪টি ট্রলারে করে ২৩০ জন টেকনাফে এসেছেন এবং ১৮০ জন সেন্টমার্টিনে যাচ্ছেন। তবে শুক্রবার খাদ্যসামগ্রী কক্সবাজার হতে দ্বীপে পাঠানো হবে বলে জানান তিনি।
টেকনাফ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাফকাত আলী জানান, শুক্রবার থেকে কক্সবাজার হতে বড় জাহাজে করে খাদ্য সামগ্রী সেন্টমার্টিনে যাবে। আপাতত ঈদকে সামনে রেখে জরুরি ভিত্তিতে বিকল্প পথে বঙ্গোপসাগর হয়ে সেন্টমার্টিন যাতায়াত করা হচ্ছে।
মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সংঘাতের জেরে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌ রুটের নাক্ষ্যংডিয়া নামক পয়েন্ট হতে সেন্টমার্টিনগামী নৌযানকে মিয়ানমার প্রান্ত হতে গুলি ছুড়লে বোট মালিকেরা জীবনের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে বোট চলাচল বন্ধ করে দেন। পরে সেন্টমার্টিন যাওয়ার বিকল্প পথ হিসেবে সাবরাং ইউনিয়নে মুণ্ডার ডেইল নৌঘাট হতে সেন্টমার্টিন যাত্রা শুরু হয়।