টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিন যাওয়ার পথে রোগী বহনকারী স্পিডবোটকে লক্ষ্য করে আবারও গুলি ছোড়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে কোনো হতাহত না হলেও চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে দ্বীপজুড়ে। মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ থেকে সেন্টমার্টিন যাত্রাকালে নাফ নদের মোহনায় নাইক্ষ্যংদিয়া পৌঁছালে এ ঘটনা ঘটে। টেকনাফের নাফ নদ ও বঙ্গোপসাগরের মোহনাটি নাইক্ষ্যংদিয়া পয়েন্ট নামে পরিচিত। আর সেই নাইক্ষ্যংদিয়া পয়েন্টে অবস্থান নিয়েছে মিয়ানমারের অজ্ঞাতনামা একটি অস্ত্রধারী গোষ্ঠী। গোষ্ঠীটি কোনোভাবেই টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে ট্রলার বা স্পিডবোট চলাচল করতে দিচ্ছে না। ওই রুটে ট্রলার বা বোট দেখার সঙ্গে সঙ্গেই গুলি করছে তারা।
প্রত্যক্ষদর্শীর বরাতে বোট মালিক সমিতির সেক্রেটারি ছৈয়দ আলম জানান, আগে মিয়ানমারের ভেতর থেকে গুলি ছুড়লেও মঙ্গলবার ছোট ডিঙি নৌকায় করে নদীতে নেমে ছোড়ে, এতে স্পিডবোটে থাকা যাত্রীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আদনান চৌধুরী জানান, বিষয়টি সব পর্যায়ের ঊর্ধ্বতনদের অবহিত করা হয়েছে। পরিস্থিতি খুবই খারাপ। এ পরিপ্রেক্ষিতে দ্বীপের মানুষ খাদ্য সংকটে পড়বে। ওই এলাকায় মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী নাকি বিদ্রোহীরা গুলি চালাচ্ছে, তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ইয়ামিন হোসেন বলেন, সম্প্রতি মিয়ানমার থেকে ট্রলার ও স্পিডবোটকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হচ্ছে। তাই ওই নৌরুটে নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে জরুরি ভিত্তিতে শাহপরীর দ্বীপ অংশ থেকে বিকল্প পদ্ধতিতে বঙ্গোপসাগর হয়ে সেন্টমার্টিন যাওয়ার বিষয় চিন্তা করা হয়েছিল। এ ব্যাপারে রোববার আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় আলোচনা হয়েছে। বিষয়টি সরকারের সর্বোচ্চ মহলকে অবিহিত করা হয়েছে।
এর আগে নাইক্ষ্যংদিয়া থেকে সেন্টমার্টিনগামী পণ্যবাহী ট্রলার ও বাংলাদেশের নির্বাচনি কর্মকর্তাদের ওপর গুলি ছোড়া হয়েছে। ওই এলাকাটি বর্তমানে আরাকান আর্মির দখলে রয়েছে বলে জানা গেছে। এই গোষ্ঠীর সদস্যরাই গুলি ছুড়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।