ঢাকা ১১:৪৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫, ১০ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
জন্মদিনে কেক না কেটে শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ করলেন শিল্পপতি রনি ১৬ কারখানা চালুর দাবিতে বিক্ষোভ অর্ধশতাধিক গাড়ি ভাঙচুর করে চারটিতে আগুন বাদ যায়নি কারখানাও শেরপুর নকলায় চর অষ্টধর ইউনিয়নে কৃষক দলের সমাবেশ অনুষ্ঠিত নাশকতার উদ্দেশ্যে গোপন বৈঠক, ৮ আওয়ামী লীগ কর্মী আটক যাকাত ফাউন্ডেশন অব আমেরিকার মহতী উদ্যোগ প্রশংসার দাবিদার উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিকাশ চন্দ্র বর্মন বকশীগঞ্জে স্থানীয়দের সঙ্গে ৩৫ বিজিবির অধিনায়কের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত কুমিল্লার নাশকতার মামলায় অব্যাহতি পেলেন খালেদা জিয়া ভোলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি নির্বাচিত হলেন এ্যাডভোকেট ফরিদুর রহমান গাজীপুরে দখল-দূষণের কবলে বেশিরভাগ নদী-খাল, নিরব ভূমিকায় কতৃপক্ষ গাজীপুরের কালিয়াকৈরে কারখানায় হামলা ও ভাঙচুর আহত ২ শ্রমিক

তর্কাতর্কিতে ৮-৯টি গুলি ছুড়েছে, আঘাতের পর হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে ফেলে কনস্টেবল কাওসার’

এবার রাজধানীর গুলশান বারিধারা ডিপ্লোমেটিক এলাকায় ফিলিস্তিন দূতাবাসের সামনে পুলিশ সদস্য কাওসার আলীর গুলিতে নিহত হন আরেক পুলিশ সদস্য মনিরুল। শনিবার (৮ জুন) দিবাগত রাতে এ ঘটনা ঘটে। নিহত কনস্টেবল মনিরুল ইসলাম ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কূটনৈতিক নিরাপত্তা বিভাগে কর্মরত ছিলেন।

এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম) ড. খন্দকার মহিদউদ্দিন বলেন, ‘অতিরিক্ত ডিউটি নিয়ে কোনো সমস্যা না। এটি একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। কনস্টেবল মনিরুলকে ৮ থেকে ৯টি গুলি ছুড়েছে কনস্টেবল কাওসার। আঘাতের পর হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে ফেলে মনিরুল।’

এদিকে প্রাথমিকভাবে তাদের দুজনের মধ্যে তর্কাতর্কি, সাময়িক উত্তেজনা বা প্রতিক্রিয়া হতে পারে। বিস্তারিত তদন্ত ও জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যাবে। কনস্টেবলদের প্রাতিষ্ঠানিক কাউন্সিল দরকার বলে জানান খন্দকার মহিদউদ্দিন। এদিকে কাউসার কি কারণে মনিরুল ইসলামকে গুলি করে হত্যা করেছে তা জানতে পুলিশ তদন্ত করছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুন।

আইজিপি বলেন, ‘ফিলিস্তিনি দূতাবাসের সামনে আমাদের দুইজন কনস্টেবল ডিউটিরত ছিল। এদের মধ্যে কনস্টেবল কাউসার আলীর গুলিতে কনস্টেবল মনিরুল ইসলাম ঘটনাস্থলে মারা যান। এ ঘটনায় জাপান দূতাবাসের গাড়ি চালক সাজ্জাদ হোসেন গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন।

তার শরীরে ৩ রাউন্ড গুলি লেগেছে। আক্রমণকারী কনস্টেবলকে থানায় নেয়া হয়েছে এবং তাকে নিরস্ত্র করা হয়েছে। আমরা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছি। মনিরুল ইসলামের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহ্‌রাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে আমরা কিছু গুলির খোসা এবং ২০ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করেছি।’

এদিকে প্রাথমিকভাবে হত্যাকাণ্ডের কারণ কি জানতে চাইলে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বলেন, ‘ঘটনার কারণ জানতে আমরা কাউসারকে জিজ্ঞাসাবাদ করবো। জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। আক্রমণকারীকে আমরা ইতোমধ্যে আটক করেছি, ঘটনার প্রকৃত রহস্য জানাটা খুব কঠিন হবে না।’

এ ঘটনায় অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য কাউসারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেছেন তদন্ত কর্মকর্তা। এরই মধ্যে আদালতে তাকে উপস্থাপন করা হয়েছে। এদিকে নিহত মনিরুল ইসলামের ভাই বাদী হয়ে গুলশান থানায় মামলা করেছে। এতে কনস্টেবল কাউসার আলীকে আসামি করা হয়েছে।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

জন্মদিনে কেক না কেটে শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ করলেন শিল্পপতি রনি

তর্কাতর্কিতে ৮-৯টি গুলি ছুড়েছে, আঘাতের পর হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে ফেলে কনস্টেবল কাওসার’

আপডেট সময় ১০:৫৪:৪৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ জুন ২০২৪

এবার রাজধানীর গুলশান বারিধারা ডিপ্লোমেটিক এলাকায় ফিলিস্তিন দূতাবাসের সামনে পুলিশ সদস্য কাওসার আলীর গুলিতে নিহত হন আরেক পুলিশ সদস্য মনিরুল। শনিবার (৮ জুন) দিবাগত রাতে এ ঘটনা ঘটে। নিহত কনস্টেবল মনিরুল ইসলাম ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কূটনৈতিক নিরাপত্তা বিভাগে কর্মরত ছিলেন।

এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম) ড. খন্দকার মহিদউদ্দিন বলেন, ‘অতিরিক্ত ডিউটি নিয়ে কোনো সমস্যা না। এটি একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। কনস্টেবল মনিরুলকে ৮ থেকে ৯টি গুলি ছুড়েছে কনস্টেবল কাওসার। আঘাতের পর হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে ফেলে মনিরুল।’

এদিকে প্রাথমিকভাবে তাদের দুজনের মধ্যে তর্কাতর্কি, সাময়িক উত্তেজনা বা প্রতিক্রিয়া হতে পারে। বিস্তারিত তদন্ত ও জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যাবে। কনস্টেবলদের প্রাতিষ্ঠানিক কাউন্সিল দরকার বলে জানান খন্দকার মহিদউদ্দিন। এদিকে কাউসার কি কারণে মনিরুল ইসলামকে গুলি করে হত্যা করেছে তা জানতে পুলিশ তদন্ত করছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুন।

আইজিপি বলেন, ‘ফিলিস্তিনি দূতাবাসের সামনে আমাদের দুইজন কনস্টেবল ডিউটিরত ছিল। এদের মধ্যে কনস্টেবল কাউসার আলীর গুলিতে কনস্টেবল মনিরুল ইসলাম ঘটনাস্থলে মারা যান। এ ঘটনায় জাপান দূতাবাসের গাড়ি চালক সাজ্জাদ হোসেন গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন।

তার শরীরে ৩ রাউন্ড গুলি লেগেছে। আক্রমণকারী কনস্টেবলকে থানায় নেয়া হয়েছে এবং তাকে নিরস্ত্র করা হয়েছে। আমরা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছি। মনিরুল ইসলামের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহ্‌রাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে আমরা কিছু গুলির খোসা এবং ২০ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করেছি।’

এদিকে প্রাথমিকভাবে হত্যাকাণ্ডের কারণ কি জানতে চাইলে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বলেন, ‘ঘটনার কারণ জানতে আমরা কাউসারকে জিজ্ঞাসাবাদ করবো। জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। আক্রমণকারীকে আমরা ইতোমধ্যে আটক করেছি, ঘটনার প্রকৃত রহস্য জানাটা খুব কঠিন হবে না।’

এ ঘটনায় অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য কাউসারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেছেন তদন্ত কর্মকর্তা। এরই মধ্যে আদালতে তাকে উপস্থাপন করা হয়েছে। এদিকে নিহত মনিরুল ইসলামের ভাই বাদী হয়ে গুলশান থানায় মামলা করেছে। এতে কনস্টেবল কাউসার আলীকে আসামি করা হয়েছে।