ঢাকা ০৮:৫০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৯ জানুয়ারী ২০২৫, ২৬ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ওয়াসার তাকসিমসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দুদকের বাংলাদেশকে সস্তায় গরুর মাংস দিতে চায় ব্রাজিল খালেদা জিয়ার আপিল শুনানি বৃহস্পতিবার পর্যন্ত মুলতবি কুমিল্লা মুরাদনগর বাঙ্গরা বাজার থানা ১৫ কেজি গাঁজা সহ দুইজন আটক” ভারতীয় সম্প্রসারণবাদ নিপাত যাক: সর্বহারা পার্টি গাড়ি চালিয়ে মাকে নিয়ে গেলেন তারেক রহমান ঢাকা দক্ষিণ জাতীয়তাবাদী যুবদলের পক্ষ থেকে ২০২৫ কর্মীসভা অনুষ্ঠিত বোনদের জমি না দিয়ে প্রাণনাশের হুমকি, প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন কুমিল্লা থেকে ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলন সূচনা শুরু হয়েছে এবং তা অব্যাহত থাকবে – হাসনাত আবুল্লাহ বিআরটিএ ড্রাইভিং ইন্টারভিউয়ে নতুন গাড়ি না পাওয়া: লক্কর ঝক্কর গাড়ির কারণে বিপাকে সাধারণ পরীক্ষার্থীরা

বাংলাদেশ পুলিশের একজন সুপার হিরো মনিরুল ইসলাম ।

  • মো. খোরশেদ আলম
  • আপডেট সময় ১০:১৩:০১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২৪
  • ৮৬৮ বার পড়া হয়েছে

গল্প, উপন্যাস, সিনেমায় আমরা রুপকথার হিরোদের দেখি। একটা শহর, দেশ, জাতিকে কিভাবে এইসব হিরোরা আগলে রাখে সেটা জেনে থাকি। গল্প, সিনেমার এ- সব হিরোদের ন্যায় আমাদের ও একজন হিরো আছে। আমাদের এই সুপারম্যান এই রাষ্ট্রের জন্য, জনগণের নিরাপত্তার জন্য কি সব দুঃসাহসিক কাজকর্ম করেছেন নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বলে শেষ করা যাবেনা।

এই মানুষগুলো বাংলাদেশকে সবসময়ই দৃশ্য, অদৃশ্য ভয়ংকর রাক্ষসদের থেকে আগলে রাখে নিজের জীবনের মায়া তুচ্ছ করে। তিনি বাংলাদেশ পুলিশের এমনি একজন উর্ধতন কর্মকর্তা। বাংলাদেশ পুলিশের হিরো। অন্যতম মেধাবী ও কর্মঠ অফিসার। তিনি সাদামাটা ও কোমল মনের মানুষ। পাশাপাশি ইস্পাত-দৃঢ় ব্যক্তি। তিনি স্পেশাল ব্রাঞ্চের (এসবি) অতিরিক্ত আইজিপি মো. মনিরুল ইসলাম বিপিএম(বার), পিপিএম(বার) মহোদয় ।বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের (বিপিএসএ) সভাপতি।

২০০৯ সালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা দেন। ২০০৯ সালের পূর্বের বাংলাদেশ কেমন ছিল সেটা নিশ্চয়ই আপনাদের জানা আছে৷ পত্রিকার পাতায় পাতায় তখন নৈরাজ্য, সন্ত্রাসী, জঙ্গি কর্মকাণ্ড। প্রায় এক দশক পূর্বে আমাদের এই রূপকথাতুল্য হিরো শুরু করেন তাঁর মিশন। সন্ত্রাসী ও জঙ্গি গোষ্ঠীর তখন অপতৎপরতা শুরু হয়৷ সাধারণ মানুষ জিম্মি হয়ে যাচ্ছিলো। একের পর এক সন্ত্রাসিক কার্যক্রম করে যাচ্ছিলো। সেসময় তিনি ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার ও কাউন্টার টেররিজম বিভাগের প্রধান ছিলেন। একটা জাতি, একটা রাষ্ট্রের জন্য সবচেয়ে ভয়ংকর ভাইরাস তখন জঙ্গিবাদ। তিনি জঙ্গিবাদ নির্মূলে ভ্যাকসিন হিসেবে কাজ করেছেন। সাহস, মেধা ও পেশাদারিত্বের মাধ্যমে সুনিপুণভাবে একটা শহর তথা সমগ্র দেশকে নিরাপদ আবাসভূমি করে তুলেন। গল্প সিনেমায় অনেক হিরো দেখে থাকি আমরা। আমার কাছে বাস্তবের হিরো মনিরুল ইসলাম Monirul Islam স্যার ।
পুলিশ সার্ভিসে দায়িত্ব পালন করতে একটা অফিসার কে, কি কি পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হয়?কেমন হতে হয় এটা উনার সান্নিধ্যে না আসলে বুঝতে পারতাম না।

আধুনিক বিশ্বের যেকোনো রাষ্ট্রের জন্য অন্যতম প্রধান সমস্যা জঙ্গিবাদ। জঙ্গি দমনে বাংলাদেশ বিশ্বে রোল মডেল এখন। আর এই জঙ্গিবাদ নিরসনে ত্রাতা হিসেবে কাজ করে যাওয়া মানুষটার পরিশ্রম, জীবনের রিস্ক, নির্ঘুম রাতের পর রাত, অপারেশন, মিশন যেকোনো রূপকথার হিরোদের চেয়ে কোন অংশে কম নয়।
স্যার ,
আপনার ডেডিকেশন, স্পিরিট নব উদ্যামে প্রাণের সঞ্চার করে সব পুলিশ সদস্যদের কর্মযজ্ঞে।অনেক শুভকামনা পরম শ্রদ্ধেয় স্যার ।

লেখক : পুলিশ সুপার ,বাংলাদেশ পুলিশ ।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ওয়াসার তাকসিমসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দুদকের

বাংলাদেশ পুলিশের একজন সুপার হিরো মনিরুল ইসলাম ।

আপডেট সময় ১০:১৩:০১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২৪

গল্প, উপন্যাস, সিনেমায় আমরা রুপকথার হিরোদের দেখি। একটা শহর, দেশ, জাতিকে কিভাবে এইসব হিরোরা আগলে রাখে সেটা জেনে থাকি। গল্প, সিনেমার এ- সব হিরোদের ন্যায় আমাদের ও একজন হিরো আছে। আমাদের এই সুপারম্যান এই রাষ্ট্রের জন্য, জনগণের নিরাপত্তার জন্য কি সব দুঃসাহসিক কাজকর্ম করেছেন নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বলে শেষ করা যাবেনা।

এই মানুষগুলো বাংলাদেশকে সবসময়ই দৃশ্য, অদৃশ্য ভয়ংকর রাক্ষসদের থেকে আগলে রাখে নিজের জীবনের মায়া তুচ্ছ করে। তিনি বাংলাদেশ পুলিশের এমনি একজন উর্ধতন কর্মকর্তা। বাংলাদেশ পুলিশের হিরো। অন্যতম মেধাবী ও কর্মঠ অফিসার। তিনি সাদামাটা ও কোমল মনের মানুষ। পাশাপাশি ইস্পাত-দৃঢ় ব্যক্তি। তিনি স্পেশাল ব্রাঞ্চের (এসবি) অতিরিক্ত আইজিপি মো. মনিরুল ইসলাম বিপিএম(বার), পিপিএম(বার) মহোদয় ।বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের (বিপিএসএ) সভাপতি।

২০০৯ সালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা দেন। ২০০৯ সালের পূর্বের বাংলাদেশ কেমন ছিল সেটা নিশ্চয়ই আপনাদের জানা আছে৷ পত্রিকার পাতায় পাতায় তখন নৈরাজ্য, সন্ত্রাসী, জঙ্গি কর্মকাণ্ড। প্রায় এক দশক পূর্বে আমাদের এই রূপকথাতুল্য হিরো শুরু করেন তাঁর মিশন। সন্ত্রাসী ও জঙ্গি গোষ্ঠীর তখন অপতৎপরতা শুরু হয়৷ সাধারণ মানুষ জিম্মি হয়ে যাচ্ছিলো। একের পর এক সন্ত্রাসিক কার্যক্রম করে যাচ্ছিলো। সেসময় তিনি ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার ও কাউন্টার টেররিজম বিভাগের প্রধান ছিলেন। একটা জাতি, একটা রাষ্ট্রের জন্য সবচেয়ে ভয়ংকর ভাইরাস তখন জঙ্গিবাদ। তিনি জঙ্গিবাদ নির্মূলে ভ্যাকসিন হিসেবে কাজ করেছেন। সাহস, মেধা ও পেশাদারিত্বের মাধ্যমে সুনিপুণভাবে একটা শহর তথা সমগ্র দেশকে নিরাপদ আবাসভূমি করে তুলেন। গল্প সিনেমায় অনেক হিরো দেখে থাকি আমরা। আমার কাছে বাস্তবের হিরো মনিরুল ইসলাম Monirul Islam স্যার ।
পুলিশ সার্ভিসে দায়িত্ব পালন করতে একটা অফিসার কে, কি কি পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হয়?কেমন হতে হয় এটা উনার সান্নিধ্যে না আসলে বুঝতে পারতাম না।

আধুনিক বিশ্বের যেকোনো রাষ্ট্রের জন্য অন্যতম প্রধান সমস্যা জঙ্গিবাদ। জঙ্গি দমনে বাংলাদেশ বিশ্বে রোল মডেল এখন। আর এই জঙ্গিবাদ নিরসনে ত্রাতা হিসেবে কাজ করে যাওয়া মানুষটার পরিশ্রম, জীবনের রিস্ক, নির্ঘুম রাতের পর রাত, অপারেশন, মিশন যেকোনো রূপকথার হিরোদের চেয়ে কোন অংশে কম নয়।
স্যার ,
আপনার ডেডিকেশন, স্পিরিট নব উদ্যামে প্রাণের সঞ্চার করে সব পুলিশ সদস্যদের কর্মযজ্ঞে।অনেক শুভকামনা পরম শ্রদ্ধেয় স্যার ।

লেখক : পুলিশ সুপার ,বাংলাদেশ পুলিশ ।