ঢাকা: গ্যাস উত্তোলন ও সরবরাহের জন্য ২০০৩ সালে রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান বাপেক্সের সঙ্গে কানাডাভিত্তিক আন্তর্জাতিক কোম্পানি নাইকোর করা যৌথ উদ্যোগ (জয়েন্ট ভেনচার) চুক্তি অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ।
গত ১৮ জুন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বে চার বিচারপতির দেওয়া রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।
৫৮ পৃষ্ঠার রায়টি লিখেছেন আপিল বিভাগের বিচারপতি মো.আশফাকুল ইসলাম। আদালতে নাইকো রিসোর্সের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন মোস্তাফিজুর রহমান খান।
রিটকারী জ্বালানি বিশেষজ্ঞ প্রফেসর এম শামসুল আলমের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী তানজীব উল আলম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।
নাইকোর সঙ্গে ২০০৩ সালে করা বাপেক্সের চুক্তি ও ২০০৬ সালের পেট্রোবাংলার সঙ্গে কোম্পানিটির গ্যাস সংক্রান্ত দুটি চুক্তি চ্যালেঞ্জ করে জনস্বার্থে ২০১৬ সালে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) জ্বালানিবিষয়ক উপদেষ্টা প্রফেসর এম শামসুল আলম একটি রিটআবেদন করেন।
এরপর আদালত ২০১৬ সালের ৯ মে রুল জারি করেন। ওই রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে ২০১৭ সালের ২৪ আগস্ট বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ রায় দেন।
রায়ে চুক্তি অবৈধ করে দুই চুক্তির অধীনে যেসব সম্পত্তি আছে, তা জব্দের পাশাপাশি নাইকো বাংলাদেশের সম্পত্তি ও বক্ল-৯ এর সম্পত্তিও জব্দের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
ছাতকে গ্যাস কুপের বিস্ফোরণে ক্ষতিপূরণ না দেওয়া পর্যন্ত নাইকোকে কোনো ধরনের পেমেন্ট (মূল্য পরিশোধ) করা যাবে না বলেও রায়ে উল্লেখ করেছেন উচ্চ আদালত। এই রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করে নাইকো রিসোর্স। যেটি ২৩ জুন খারিজ করে দেন আপিল বিভাগ।