ঢাকা ০৫:৪৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫, ৩১ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
পুশইনের বিষয়ে সীমান্তে টহল ও গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে -কুমিল্লা সেক্টর কমান্ডার বৈশাখের তপ্ত দুপুরে তৃঞ্চার্ত মানুষের সেবায় সার্বজনীন মানবতার বন্ধু সংগঠন সাম্য হত্যার বিচারের দাবিতে ইবি ছাত্রদলের বিক্ষোভ সাতক্ষীরা কাথন্ডা কয়ার সরকারী জায়গায় প্রাচীন গাছ কেটে ঘর বানানোর চেষ্টা এলাকা বাসীর ক্ষোভ আত্রাইয়ে আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে বীর মুক্তিযোদ্ধাকে ১ লাখ টাকা ঋণের চেক হস্তান্তর ড. ইউনূস পেলেন ডি.লিট সম্মাননা নারী কমিশন বাতিলের দাবিতে মোহনগঞ্জে মানববন্ধন  লালমনিরহাটে জন্মগত অন্ধ হাফেজাকে সাবেক উপমন্ত্রীর বাড়ী উপহার ময়মনসিংহ নাসিরাবাদ কলেজের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত অবৈধভাবে বালি উত্তলন কালে আটক ৩

যে কারণে ভেঙে পড়ল ১৪০ বছরের পুরোনো ঝুলন্ত সেতু

গুজরাটের মোরবিতে মোচ্ছু নদীর ওপর ১৪০ বছর আগে (১৮৮০ সাল) ব্রিটিশরা সাড়ে তিন লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করেছিল এই ঝুলন্ত ব্রিজ। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর টানা সাত মাস সংস্কার শেষে গত ২৬ অক্টোবর খুলে দেওয়া হয়েছিল ব্রিজটি। অবশ্য ব্রিজটি ফের খুলে দেওয়ার পর সেটির নির্মাণ সংস্থা জানিয়েছিল, আগামী ১৫ বছর ব্রিজটির সংস্কার করতে হবে না। তবে সংস্কারের ৫ দিনের মাথায় কীভাবে এতোবড় দুর্ঘটনা ঘটল বা ওই বিপুল সংখ্যক মানুষ একসঙ্গে উঠে পড়ল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। 

জানা যায়, ৭৬৫ ফিট দৈর্ঘ্যের ব্রিজটিতে ছটপুজা উপলক্ষে ৪০০-৫০০ মানুষ উঠে পড়েছিল। আবার অনেকে বলছেন সেতুটি খুলে দেওয়ার পর থেকে উৎসুক মানুষজন প্রতিদিনই ভিড় করছিল। এই মর্মান্তিক পরিণতির ২৪ ঘণ্টা আগেই ওই সেতুতে ধরা পড়েছিল অন্য এক ছবি। শত শত লোক দাঁড়িয়ে ওই ঝুলন্ত সেতুতে।

বিভিন্ন সংবাদ সংস্থা সূত্রে দাবি করা হয়েছে, শনিবার এই ছবি এবং ভিডও ধরা পড়েছিল ওই সেতুটিতে। সেখানে সেদিন প্রায় শ’খানেক মানুষের ভিড় ছিল। আর তার ঠিক পরের দিনই এই বিপর্যয় ঘটল। এনডিটিভি সূত্রে খবর, রোববার সন্ধ্যা ৬টা ৪২ মিনিটে ভেঙে পড়ে সেতুটি। ওই সময় ছটপুজো উপলক্ষে প্রায় ৫০০ মানুষের জমায়েত হয়েছিল। তা হলে কি অতিরিক্ত মানুষের চাপ সামলাতে না পেরেই ভেঙে পড়ল সেতুটি?

এই ঘটনায় মৃতদের পরিবারকে ২ লাখ টাকা করে আর্থিক সাহায্যের কথা ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। পাশাপাশি আহতদের ৫০ হাজার টাকা করে আর্থিক সাহায্যের কথা ঘোষণা করেছেন। মৃতদের পরিবারকে ৪ লাখ টাকা করে আর্থিক সাহায্যের কথা ঘোষণা করেছে গুজরাট সরকার।

এই খবর লেখা পর্যন্ত (সোমবার সকাল সাড়ে ৭টা) ওই দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ১৩০ জনের। এখনো অনেকে নিখোঁজ। যে নদীতে ব্রিজটি ভেঙে পড়েছে সেই মাচ্ছু নদীর পানিতে স্রোত রয়েছে। ফলে খুব সহজেই নদীতে পড়ে অনেকেই ভেসে গিয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

পুশইনের বিষয়ে সীমান্তে টহল ও গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে -কুমিল্লা সেক্টর কমান্ডার

যে কারণে ভেঙে পড়ল ১৪০ বছরের পুরোনো ঝুলন্ত সেতু

আপডেট সময় ১১:৫৪:০৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩১ অক্টোবর ২০২২

গুজরাটের মোরবিতে মোচ্ছু নদীর ওপর ১৪০ বছর আগে (১৮৮০ সাল) ব্রিটিশরা সাড়ে তিন লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করেছিল এই ঝুলন্ত ব্রিজ। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর টানা সাত মাস সংস্কার শেষে গত ২৬ অক্টোবর খুলে দেওয়া হয়েছিল ব্রিজটি। অবশ্য ব্রিজটি ফের খুলে দেওয়ার পর সেটির নির্মাণ সংস্থা জানিয়েছিল, আগামী ১৫ বছর ব্রিজটির সংস্কার করতে হবে না। তবে সংস্কারের ৫ দিনের মাথায় কীভাবে এতোবড় দুর্ঘটনা ঘটল বা ওই বিপুল সংখ্যক মানুষ একসঙ্গে উঠে পড়ল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। 

জানা যায়, ৭৬৫ ফিট দৈর্ঘ্যের ব্রিজটিতে ছটপুজা উপলক্ষে ৪০০-৫০০ মানুষ উঠে পড়েছিল। আবার অনেকে বলছেন সেতুটি খুলে দেওয়ার পর থেকে উৎসুক মানুষজন প্রতিদিনই ভিড় করছিল। এই মর্মান্তিক পরিণতির ২৪ ঘণ্টা আগেই ওই সেতুতে ধরা পড়েছিল অন্য এক ছবি। শত শত লোক দাঁড়িয়ে ওই ঝুলন্ত সেতুতে।

বিভিন্ন সংবাদ সংস্থা সূত্রে দাবি করা হয়েছে, শনিবার এই ছবি এবং ভিডও ধরা পড়েছিল ওই সেতুটিতে। সেখানে সেদিন প্রায় শ’খানেক মানুষের ভিড় ছিল। আর তার ঠিক পরের দিনই এই বিপর্যয় ঘটল। এনডিটিভি সূত্রে খবর, রোববার সন্ধ্যা ৬টা ৪২ মিনিটে ভেঙে পড়ে সেতুটি। ওই সময় ছটপুজো উপলক্ষে প্রায় ৫০০ মানুষের জমায়েত হয়েছিল। তা হলে কি অতিরিক্ত মানুষের চাপ সামলাতে না পেরেই ভেঙে পড়ল সেতুটি?

এই ঘটনায় মৃতদের পরিবারকে ২ লাখ টাকা করে আর্থিক সাহায্যের কথা ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। পাশাপাশি আহতদের ৫০ হাজার টাকা করে আর্থিক সাহায্যের কথা ঘোষণা করেছেন। মৃতদের পরিবারকে ৪ লাখ টাকা করে আর্থিক সাহায্যের কথা ঘোষণা করেছে গুজরাট সরকার।

এই খবর লেখা পর্যন্ত (সোমবার সকাল সাড়ে ৭টা) ওই দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ১৩০ জনের। এখনো অনেকে নিখোঁজ। যে নদীতে ব্রিজটি ভেঙে পড়েছে সেই মাচ্ছু নদীর পানিতে স্রোত রয়েছে। ফলে খুব সহজেই নদীতে পড়ে অনেকেই ভেসে গিয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে।