ঢাকা ০১:২৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ফুলবাড়িয়া থানার ২ আসামি কিশোর কেন্দ্রে নেওয়ার পথে পালিয়েছে

ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া থানার একটি চুরি মামলায় দুই কিশোর অপরাধীকে গাজীপুর জেলার টঙ্গি কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার পথে সিএনজি থেকে পালিয়েছে। এই কিশোর অপরাধীরা হলেন- আসিফ (১৭) এবং শহীদ (১৫)। তারা ত্রিশাল উপজেলার ধানীখলা ও উজান বৈলর এলাকার বাসিন্দা।

বুধবার (২৭ আগষ্ট) রাত সাড়ে ১১টার দিকে ভালুকা উপজেলার ভরাডুবা এলাকা থেকে টঙ্গি কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার পথে তারা পালিয়ে যায়।

এ ঘটনার পর বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ চেপে গেলেও সোমবার (২৮ আগষ্ট) বিকাল ৫ টার দিকে বিষয়টি সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ফুলবাড়িয়া থানার এ.এস.আই আমিনুর হোসেন।

এ ঘটনায় পলাতক আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলেও জানিয়েছেন এ.এস.আই আমিনুর হোসেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গত ২৬ আগষ্ট একটি চুরির ঘটনায় কৃঞ্চবালা সাহা নামে এক ব্যক্তি বাদি হয়ে ৪ জনকে আসামি করে ফুলবাড়িয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলার গ্রেফতারকৃত আসামিরা হলেন- ইব্রাহীম (৩৭), ইউসুফ (২০), আসিফ (১৭) এবং শহীদ (১৫)।

এদের মধ্যে কিশোর অপরাধী আসিফ ও শহীদকে গত ২৭ আগষ্ট ময়মনসিংহ শিশু আদালতে হাজির করা হলে সংশ্লিষ্ট বিচারক তাদের গাজীপুর জেলার টঙ্গি কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানোর নির্দেশ দেয়।

ওই নির্দেশের প্রেক্ষিতে ফুলবাড়িয়া থানার এ.এস.আই আমিনুর হোসেন ও সঙ্গীয় কনস্টেবল মেজবাহ উদ্দিন  গতকাল ২৭ আগষ্ট দিবাগত রাতে ওই দুই কিশোর অপরাধীকে নিয়ে সিএনজি যোগে টঙ্গি কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। কিন্তু ভালুকা উপজেলার ভরাডুবা এলাকায় পৌঁছলে রাত সাড়ে ১১টার দিকে আসামিরা চলন্ত সিএনজি থেকে লাফিয়ে পালিয়ে যায়।

তবে এ সময় আসামিদের হাতে হ্যান্ডকাপ ছিল না বলেও জানান এ.এস.আই আমিনুর হোসেন।

বিষয়টি জানতে ফুলবাড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ শাহীনুজ্জামান খানকে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।

তবে থানার ওসি (তদন্ত) মোহাম্মদ ফেরদৌস আলম বলেন, এখন ব্যস্ত আছি। এবিষয়ে পরে কথা বলব। বলেই তিনি মুঠোফোনের সংযোগ কেটে দেন।

এ বিষয়ে জানতে ফুলবাড়িয়া থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের (গফরগাঁও সার্কেল) সরকারি নাম্বারে ফোন করে সাংবাদিক পরিচয় দিলে তিনি বলেন, নেট সমস্যা কথা বুঝা যাচ্ছে না।’

তবে এরপর একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি এই প্রতিবেদকের কল রিসিভ করেননি।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ফুলবাড়িয়া থানার ২ আসামি কিশোর কেন্দ্রে নেওয়ার পথে পালিয়েছে

আপডেট সময় ০৩:৪৯:৩৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ অগাস্ট ২০২৩

ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া থানার একটি চুরি মামলায় দুই কিশোর অপরাধীকে গাজীপুর জেলার টঙ্গি কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার পথে সিএনজি থেকে পালিয়েছে। এই কিশোর অপরাধীরা হলেন- আসিফ (১৭) এবং শহীদ (১৫)। তারা ত্রিশাল উপজেলার ধানীখলা ও উজান বৈলর এলাকার বাসিন্দা।

বুধবার (২৭ আগষ্ট) রাত সাড়ে ১১টার দিকে ভালুকা উপজেলার ভরাডুবা এলাকা থেকে টঙ্গি কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার পথে তারা পালিয়ে যায়।

এ ঘটনার পর বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ চেপে গেলেও সোমবার (২৮ আগষ্ট) বিকাল ৫ টার দিকে বিষয়টি সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ফুলবাড়িয়া থানার এ.এস.আই আমিনুর হোসেন।

এ ঘটনায় পলাতক আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলেও জানিয়েছেন এ.এস.আই আমিনুর হোসেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গত ২৬ আগষ্ট একটি চুরির ঘটনায় কৃঞ্চবালা সাহা নামে এক ব্যক্তি বাদি হয়ে ৪ জনকে আসামি করে ফুলবাড়িয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলার গ্রেফতারকৃত আসামিরা হলেন- ইব্রাহীম (৩৭), ইউসুফ (২০), আসিফ (১৭) এবং শহীদ (১৫)।

এদের মধ্যে কিশোর অপরাধী আসিফ ও শহীদকে গত ২৭ আগষ্ট ময়মনসিংহ শিশু আদালতে হাজির করা হলে সংশ্লিষ্ট বিচারক তাদের গাজীপুর জেলার টঙ্গি কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানোর নির্দেশ দেয়।

ওই নির্দেশের প্রেক্ষিতে ফুলবাড়িয়া থানার এ.এস.আই আমিনুর হোসেন ও সঙ্গীয় কনস্টেবল মেজবাহ উদ্দিন  গতকাল ২৭ আগষ্ট দিবাগত রাতে ওই দুই কিশোর অপরাধীকে নিয়ে সিএনজি যোগে টঙ্গি কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। কিন্তু ভালুকা উপজেলার ভরাডুবা এলাকায় পৌঁছলে রাত সাড়ে ১১টার দিকে আসামিরা চলন্ত সিএনজি থেকে লাফিয়ে পালিয়ে যায়।

তবে এ সময় আসামিদের হাতে হ্যান্ডকাপ ছিল না বলেও জানান এ.এস.আই আমিনুর হোসেন।

বিষয়টি জানতে ফুলবাড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ শাহীনুজ্জামান খানকে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।

তবে থানার ওসি (তদন্ত) মোহাম্মদ ফেরদৌস আলম বলেন, এখন ব্যস্ত আছি। এবিষয়ে পরে কথা বলব। বলেই তিনি মুঠোফোনের সংযোগ কেটে দেন।

এ বিষয়ে জানতে ফুলবাড়িয়া থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের (গফরগাঁও সার্কেল) সরকারি নাম্বারে ফোন করে সাংবাদিক পরিচয় দিলে তিনি বলেন, নেট সমস্যা কথা বুঝা যাচ্ছে না।’

তবে এরপর একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি এই প্রতিবেদকের কল রিসিভ করেননি।