জামালপুরে এবার ভুট্টার বাম্পার ফলন হয়েছে। ইতোমধ্যে ৫০ ভাগ চাষী তাদের জমি থেকে ভুট্টা সংগ্রহ করেছে। তবে বাজারে দাম না পাওয়ায় দুশ্চিন্তায় পড়েছেন তারা। কৃষকদের অভিযোগ, বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে কিছু সিন্ডিকেট। যার কারণে লাভবান হচ্ছেন মধ্যস্বত্বভোগীরা। এই পরিস্থিতিতে ভুট্টা বিক্রি না করে সংরক্ষণের পরামর্শ দিয়েছে কৃষি বিভাগ।
জামালপুরের দুর্গম চরাঞ্চলের মাঠজুড়ে এখন শুধু সোনালি রঙের গাছে ঝুলছে হলুদ রঙের ভুট্টা। কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, এবছর জামালপুরে ১৩ হাজার হেক্টর জমিতে ভুট্টার আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিলো। আবাদ হয়েছে ১৮ হাজার হেক্টর জমিতে। ফলনও হয়েছে ভালো। তবে বাম্পার ফলন হলেও বাজারে দাম না পাওয়ায় হাসি নেই কৃষকদের মুখে।
কৃষকরা বলছে, গত বছর জমি থেকে প্রতিমণ ভুট্টা বিক্রি হয়েছে ১ হাজার ছয়শ’ থেকে ১ হাজার ৮শ’ টাকায়। একারণে চলতি বছর ভুট্টার আবাদে ঝুঁকেছেন তারা। তবে এবার ভরা মৌসুমে প্রতিমণ ভুট্টা বিক্রি হচ্ছে ৭০০ থেকে ৮০০ টাকায়।
জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ কমিটির সদস্য জাহাঙ্গীর সেলিম জানালেন, একটি সিন্ডিকেট ভুট্টার বাজার ও পরিবহন নিয়ন্ত্রণ করায় কৃষকরা তাদের ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
কৃষি কর্মকর্তারা বলছেন, এখন ভুট্টা বিক্রি না করে সংরক্ষণ করলে পরে লাভবান হবেন কৃষকরা।
কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, মোট আবাদের ৫০ শতাংশ জমি থেকে ভুট্টা সংগ্রহ করেছেন চাষীরা।