নানা আন্দোলন-সংগ্রাম ও সফলতার ২৫ বছর পূর্তি উদযাপন করেছে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের প্রতিনিধিত্বকারী সংগঠন ‘আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান’। সেই লক্ষ্যে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের প্রতিনিধিত্বকারী সংগঠন ‘আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান’-এর ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে কেন্দ্রীয় কমিটির পাশাপাশি সারাদেশে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপনের লক্ষ্যে সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটি কর্তৃক আজ (বুধবার) বিকেল ৩টায় ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, বিকেল ৪টায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের শিখা চিরন্তনে ৭১ এর শহীদ ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন, এরপর বিকেল ৫টা থেকে যথারীতি সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে কেক কাটাসহ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে নেতারা বলেছেন, ৭১-এর পরাজিত কোনো রাজনৈতিক দল ও তাদের দোসরদের ক্ষমতা দখলের স্বপ্ন কোনোদিনই বাস্তবায়ন হবে না। যতোই ষড়যন্ত্র হোক, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সরকারই অধিষ্ঠিত থাকবে।
তারা বলেন, ১৯৭১ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে সারা দিয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধারা জীবন বাজি রেখে দীর্ঘ নয় মাসের যুদ্ধে বিজয় ছিনিয়ে এনে একটি মানচিত্র এই বাংলাদেশকে উপহার দেন। ৩০ লাখ শহীদ দুই লাখ মা বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে আমাদের এই অর্জিত স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে ধরে রাখার জন্য ১৯৯৭ সালের ১৯ অক্টোবর বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ডের একমাত্র সংগঠন, আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান নামে আত্মপ্রকাশ হয়।
অনুষ্ঠানে সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মো. হুমায়ুন কবিরের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম নয়নের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ আব্দুল আহাদ চৌধুরী।
উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব শফিকুল বাহার মজুমদার টিপু, সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা আহ্বায়ক বর্তমান প্রেসিডিয়াম সদস্য মো. আলমগীর হোসেন, প্রেসিডিয়াম সদস্য ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৪৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর জাহিদুল ইসলাম মোল্লা, ২৫ বছর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক সালমান মাহমুদ জসিম, ঢাকা উত্তরের সভাপতি নুরুজ্জামান ভূট্ট, আমরা মুক্তিযোদ্ধা আইনজীবীর কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সাইফুল বাহার, এনামুল হক কাজল, সহ-সভাপতি আমিনুল ইসলাম রিপন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পুলিশের এএসপি তাপস কুমার দাস, উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব শাহিনুর কবির বাবু, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাড. নাজিম উদ্দিন চৌধুরী, কাজী দিলিপ, ইঞ্জি. শাহ পরান সিদ্দিক (তারেক), রুবিনা ইয়াসমিন অন্তরা, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক অনি সামদানী চৌধুরী, দপ্তর সম্পাদক আব্দুর রউফ আনসারী, মহিলা সম্পাদক সাথি রহমান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি মো. সালাউদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আল মোমিন, ঢাকা মহানগরের সহ-সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন মিলন, শাহীন আলম, ঢাকা মহানগর উত্তর সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হাসান সুজন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আমিনুল মোমিন, মো. জাকির হোসেন, পাকেল সাহা, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক পারভেজ প্রিন্স, ঢাকা জেলার সভাপতি সানোয়ার রাসেল, সাধারণ সম্পাদক রনিসহ কেন্দ্রীয় ও মহানগর নেতারা।