দেশের ৫৭টি জেলা পরিষদে আজ সকাল ৯টা থেকে একযোগে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। চলবে দুপুর ২টা পর্যন্ত। নির্বাচনের ৪৬২টি ভোটকেন্দ্রের ৯২৫টি কক্ষে স্থাপন করা আছে ১ হাজার ৪০০টি ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরা। যার মাধ্যমে পুরো নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
সোমবার (১৭ অক্টোবর) নির্বাচন কমিশন ভবনে গিয়ে দেখা যায়, ভবনের ৪১৩ নম্বর রুমে তৈরি করা হয়েছে ‘পর্যবেক্ষক রুম’। সেখানে বসেই নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ তার সহযোগীরা। রুমের দেওয়ালে স্থাপন করা আছে ১২টি বড় মনিটর। সেগুলো নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে প্রায় ৬টি কম্পিউটারের মাধ্যমে। প্রয়োজন অনুসারে অপারেটররা বিভিন্ন কেন্দ্র ও ভোটকক্ষের পরিস্থিতি দেখাচ্ছেন।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, ইভিএমে এই নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হচ্ছে। কেন্দ্রগুলোতে ভোটগ্রহণ মনিটরিংয়ের জন্য স্থাপন করা হয়েছে সিসিটিভি। সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ পরিবেশে জেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের সব প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এছাড়া, সিসিটিভি ও ইভিএম মেশিন সচল রাখতে কেন্দ্রসংশ্লিষ্ট এলাকায় নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
এবারের জেলা পরিষদ নির্বাচনে ৫৭টি জেলার চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী ৯২ জন, সদস্য পদে এক হাজার ৪৮৫ জন ও সংরক্ষিত পদে ৬০৩ জন রয়েছেন। ৫৭টি জেলায় সাধারণ ওয়ার্ড সংখ্যা ৪৪৮টি, সংরক্ষিত ওয়ার্ড ১৬৬টি। ভোটকেন্দ্র ৪৬২টি ও ভোটকক্ষ ৯২৫টি। মোট ভোটার ৬০ হাজার ৮৬৬ জন।
এছাড়া, নির্বাচনে ২৬ জন চেয়ারম্যান, ১৮ জন মহিলা সদস্য এবং ৬৫ জন সাধারণ সদস্য বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নোয়াখালী জেলা পরিষদ নির্বাচন আদালতের নির্দেশনায় স্থগিত করা হয়েছে। ভোলা ও ফেনী জেলার সব পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। ফলে এ দুই জেলায় কোনো নির্বাচনের প্রয়োজন হচ্ছে না।