টেকসই ও নিরাপদ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষে সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান। তিনি বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগের ওপর মানুষের কোনো হাত নেই। তবে যেকোনো দুর্যোগে জানমালের ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনতে পূর্ব প্রস্তুতি ও সচেতনতার কোনো বিকল্প নেই। আর সরকার সে কাজটি করে যাচ্ছে।
মঙ্গলবার রাজধানীর সদরঘাটে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় আয়োজিত ভূমিকম্প ও অগ্নিকাণ্ডে সচেতনতা বৃদ্ধি মহড়ায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তিনি। ওয়ার্ল্ড ভিশন, অ্যাকশন এইড ও ব্র্যাকসহ বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার আর্থিক ও বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের কারিগরি সহায়তায় এ মহড়া অনুষ্ঠিত হয়।
তিনি বলেন, ২০১৯ সালে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে যে অগ্নিকাণ্ড ঘটেছিল তার কিছু দিন আগে আমরা সেখানে সচেতনতামূলক মহড়ার আয়োজন করেছিলাম। এর ফলে তখনকার অগ্নিকাণ্ডে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। প্রতিমন্ত্রী বলেন, যেকোনো দুর্যোগে জীবন ও সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে দুর্যোগ সহনীয় টেকসই নিরাপদ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় পরিকল্পিতভাবে কাঠামোগত ও অকাঠামোগত কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে।
বঙ্গবন্ধুর নির্দেশনায় ঘূর্ণিঝড় ও বন্যা হতে মানুষের জানমাল রক্ষার্থে মাটির কিল্লা নির্মাণ করা হয়, যা সর্ব সাধারণের কাছে মুজিব কিল্লা নামে পরিচিত। তারই আধুনিক রূপে উপকূলীয় ও বন্যা উপদ্রুত ১৪৮টি উপজেলায় ৫৫০টি মুজিব কিল্লা নির্মাণ, সংস্কার ও উন্নয়ন কার্যক্রম চলমান। তিনি বলেন, ভূমিকম্পসহ অন্যান্য দুর্যোগে দ্রুত উদ্ধার ও অনুসন্ধান কার্যক্রম পরিচালনার জন্য অ্যাকোয়াটিক সি সার্চবোট, মেরিন রেস্কিউ বোট, মেগাফোন সাইরেনসহ প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম, যন্ত্রপাতি ও যানবাহন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর এবং সশস্ত্র বাহিনী বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য প্রতিষ্ঠানকে প্রদান করা হয়েছে।
এ কার্যক্রম সহজ করার জন্য আরও অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জামাদি সংগ্রহের কাজ চলমান রয়েছে। এ লক্ষ্যে প্রায় ২৩শ কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। বন্যা উপদ্রুত ১৯টি জেলার জন্য ৬০টি মাল্টিপারপাস এক্সেসিবল রেস্কিউ বোট সরবরাহ করা হয়েছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. কামরুল হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কে এম আব্দুল ওয়াদুদ, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ হায়দার আলী, ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশন) লেফটেন্যান্ট কর্নেল জিল্লুর রহমান ও স্থানীয় কাউন্সিলর আব্দুস সাত্তার মিয়াজী প্রমুখ।