পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় গাছের আমড়া পাড়া কেন্দ্র করে ভাড়াটে সন্ত্রাসী নিয়ে পিটিয়ে আপন চাচার হাত ভেঙে দিলো ভাতিজা। ঘটনা টি ঘটেছে উপজেলার সাপলেজা ইউনিয়নের বাদুরতলী গ্রামে।
এ ঘটনায় আঃ লতিফ মুন্সির ছেলে ভুক্তভোগী মোস্তফা মুন্সি বাদী হয়ে মঠবাড়িয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল মাজিস্ট্রেট আদালতে বাদুরতলী গ্রামের ১! মোঃ রাসেল (২৫) পিতা মোঃ ইউসুফ মুন্সি ২! রাকিব হাওলাদার (২২) পিতা মোশাররফ হাওলাদার ৩! রাকিব মুন্সি (২৫) পিতা জলিল মুন্সি ৪! সলেমান (২১) পিতা শাহাদাত মুন্সি এদের কে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলা সূত্রে জানাযায় মোস্তফা মুন্সি বাড়িতে না থাকায় তার আমড়াগাছ থেকে প্রায় ১ বস্তা আমড়া তার ভাতিজা ১ নং আসামি রাসেল মুন্সি জোর পূর্বক পেড়ে নেয়, এ সময় মোস্তফা মুন্সির স্ত্রী রাবেয়া বেগম বাঁধা দিলে রাসেল ও তার বোন লাকী আক্তার রাবেয়া কে অকথ্য ভাষায় গালাগালি সহ তাকে মারধর করে।
মোস্তফা মুন্সি বাড়িতে এসে এ ঘটনা শুনে জিজ্ঞেস করতে গেলে ভাতিজা রাসেল পুনরায় ক্ষিপ্ত হয়ে আরো ভাড়াটে উল্লেখিত আসামি দের নিয়ে দেশিয় অস্ত্র ও পাইপ দিয়ে পিটিয়ে মোস্তফা মুন্সির একটি হাত ভেঙে দিয়ে পালিয়ে যায়।
পরে স্হানীয়রা তাকে উদ্ধার করে মঠবাড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়, তিনি এখনো চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন। এ ব্যাপারে এলাকাবাসী জানান কিশোর গ্যাংয়ের যাতনায় আমরা অতিষ্ঠ, এদের জন্য আমরা মুখ খুলতে পারিনা,এমনকি রাস্তা ঘাটে ও মান সন্মান নিয়ে চলা যায় না।
প্রশাসন কে এদের আইনের আওতায় নিয়ে বিচারের দাবী জানাচ্ছি। এ ব্যাপারে রাসেল সহ অন্য প্রতিপক্ষের সাথে কথা বলতে চাইলে তাদের কে এলাকায় পাওয়া যায়নি,তবে রাসেলের মা জানান আমড়া পাড়া নিয়ে আমাকে প্রথম মারধর করা হয়েছে, পরে আমার ছেলে ক্ষিপ্ত হয়ে তাদের কে মারধর করে।
এ বিষয় মঠবাড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ নুরুল ইসলাম বাদল এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন আদালত থেকে নির্দেশনা পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।