ঢাকা ০৯:০২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ২৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
তরুন প্রজন্মকে মাদক থেকে দূরে রাখতে খেলাধুলাকে গুরুত্ব দিচ্ছে বিএনপি: আমিনুল হক হাবিপ্রবি ছাত্রশিবিরের নতুন সভাপতি রিয়াদ, সেক্রেটারি আজিবুর প্রয়োজনে বিআরটিএ বন্ধ করার হুঁশিয়ারি দিলেন সড়ক উপদেষ্টা কলম্বিয়ায় বিমান বিধ্বস্ত হয়ে নিহত ১০ জাপানে বিশ্ববিদ্যালয়ে হাতুড়ি হামলায় আহত ৮ পাঁচবিবিতে আন্তঃ ইউনিয়ন ফুটবল টুর্নামেন্ট রাজধানীর পাইকপাড়া কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটির ত্রি-বার্ষিক নির্বাচন (২০২৫-২০২৭) অনুষ্ঠিত বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রেজিস্ট্রেশনের আওতায় আসছে সংখ্যালঘুদের ওপর বেশিরভাগ হামলা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত: পুলিশ অন্তর্বর্তী সরকারের কর্মকাণ্ড নিয়ে যে মূল্যায়ন অলি আহমদের

‘ইরানে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল’

পূর্ব এশিয়ার দেশ ইরানের ইস্ফাহানে রোববার একটি সামরিক স্থাপনায় ড্রোন হামলার ঘটনা ঘটে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম ওয়ালস্ট্রিট জার্নাল মার্কিন সামরিক কর্মকর্তাদের বরাতে জানিয়েছে, ইরানে এ হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল।

ইরানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় রোববার (২৯ জানুয়ারি) জানায়, ইস্ফাহানের একটি যুদ্ধাস্ত্রের কারখানা লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালানো হয়। কিন্তু হামলা প্রতিহত করা হয়েছে। হামলায় ব্যবহৃত একটি ড্রোন ভূপাতিত করা হয়। আর দু’টি ড্রোন কারখানার ছাদের ওপর বিস্ফোরিত হয় বলেও জানায় মন্ত্রণালয়। তেহরানের পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়, এ হামলায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। এছাড়া অবকাঠামোরও বড় কোনো ক্ষতি হয়নি।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্র হামলার জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করলেও এখন পর্যন্ত ইরানের ভেতর ড্রোন হামলা নিয়ে মুখ খোলেনি ইহুদিবাদী ইসরায়েল। অবশ্য প্রকাশ্যে তারা এ ধরনের হামলা নিয়ে কোনো কিছু বলে না। তবে ইসরায়েল অসংখ্যবার হুমকি দিয়েছে, যদি পশ্চিমারা ইরানের পরমাণু কার্যক্রমের লাগাম টানতে ব্যর্থ হয় তাহলে দেশটির সামরিক অবকাঠামোয় হামলা চালাবে তারা।

এদিকে ২০১৫ সালে ইরানের সঙ্গে পরমাণু চুক্তি করে যুক্তরাষ্ট্রসহ কয়েকটি পশ্চিমা দেশ। চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, ইরান তাদের পরমাণু কার্যক্রম কমিয়ে দেয়। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র কিছু অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়। কিন্তু ২০১৮ সালে হঠাৎ করে পরমাণু চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করে নেন তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্র সরে যাওয়ার পর ইরান আবারও পুরোদমে তাদের পরমাণু কার্যক্রম শুরু করে।

২০২২ সালে নতুন করে আবারও চুক্তিটি করতে দফায় দফায় বৈঠক করেন ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিরা। তবে এটি এখনো আলোর মুখ দেখেনি। ইরানের সঙ্গে পরমাণু চুক্তির বিরোধীতা করে আসছে ইসরায়েল। তাদের দাবি, চুক্তি করলেও ইরান তাদের কার্যক্রম থামাবে না। উল্টো মাঝে সুবিধা আদায় করে নেবে।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

তরুন প্রজন্মকে মাদক থেকে দূরে রাখতে খেলাধুলাকে গুরুত্ব দিচ্ছে বিএনপি: আমিনুল হক

‘ইরানে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল’

আপডেট সময় ১২:৩২:৫২ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৩

পূর্ব এশিয়ার দেশ ইরানের ইস্ফাহানে রোববার একটি সামরিক স্থাপনায় ড্রোন হামলার ঘটনা ঘটে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম ওয়ালস্ট্রিট জার্নাল মার্কিন সামরিক কর্মকর্তাদের বরাতে জানিয়েছে, ইরানে এ হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল।

ইরানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় রোববার (২৯ জানুয়ারি) জানায়, ইস্ফাহানের একটি যুদ্ধাস্ত্রের কারখানা লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালানো হয়। কিন্তু হামলা প্রতিহত করা হয়েছে। হামলায় ব্যবহৃত একটি ড্রোন ভূপাতিত করা হয়। আর দু’টি ড্রোন কারখানার ছাদের ওপর বিস্ফোরিত হয় বলেও জানায় মন্ত্রণালয়। তেহরানের পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়, এ হামলায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। এছাড়া অবকাঠামোরও বড় কোনো ক্ষতি হয়নি।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্র হামলার জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করলেও এখন পর্যন্ত ইরানের ভেতর ড্রোন হামলা নিয়ে মুখ খোলেনি ইহুদিবাদী ইসরায়েল। অবশ্য প্রকাশ্যে তারা এ ধরনের হামলা নিয়ে কোনো কিছু বলে না। তবে ইসরায়েল অসংখ্যবার হুমকি দিয়েছে, যদি পশ্চিমারা ইরানের পরমাণু কার্যক্রমের লাগাম টানতে ব্যর্থ হয় তাহলে দেশটির সামরিক অবকাঠামোয় হামলা চালাবে তারা।

এদিকে ২০১৫ সালে ইরানের সঙ্গে পরমাণু চুক্তি করে যুক্তরাষ্ট্রসহ কয়েকটি পশ্চিমা দেশ। চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, ইরান তাদের পরমাণু কার্যক্রম কমিয়ে দেয়। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র কিছু অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়। কিন্তু ২০১৮ সালে হঠাৎ করে পরমাণু চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করে নেন তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্র সরে যাওয়ার পর ইরান আবারও পুরোদমে তাদের পরমাণু কার্যক্রম শুরু করে।

২০২২ সালে নতুন করে আবারও চুক্তিটি করতে দফায় দফায় বৈঠক করেন ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিরা। তবে এটি এখনো আলোর মুখ দেখেনি। ইরানের সঙ্গে পরমাণু চুক্তির বিরোধীতা করে আসছে ইসরায়েল। তাদের দাবি, চুক্তি করলেও ইরান তাদের কার্যক্রম থামাবে না। উল্টো মাঝে সুবিধা আদায় করে নেবে।