ঢাকা ০৮:৫৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ২৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
তরুন প্রজন্মকে মাদক থেকে দূরে রাখতে খেলাধুলাকে গুরুত্ব দিচ্ছে বিএনপি: আমিনুল হক হাবিপ্রবি ছাত্রশিবিরের নতুন সভাপতি রিয়াদ, সেক্রেটারি আজিবুর প্রয়োজনে বিআরটিএ বন্ধ করার হুঁশিয়ারি দিলেন সড়ক উপদেষ্টা কলম্বিয়ায় বিমান বিধ্বস্ত হয়ে নিহত ১০ জাপানে বিশ্ববিদ্যালয়ে হাতুড়ি হামলায় আহত ৮ পাঁচবিবিতে আন্তঃ ইউনিয়ন ফুটবল টুর্নামেন্ট রাজধানীর পাইকপাড়া কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটির ত্রি-বার্ষিক নির্বাচন (২০২৫-২০২৭) অনুষ্ঠিত বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রেজিস্ট্রেশনের আওতায় আসছে সংখ্যালঘুদের ওপর বেশিরভাগ হামলা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত: পুলিশ অন্তর্বর্তী সরকারের কর্মকাণ্ড নিয়ে যে মূল্যায়ন অলি আহমদের

পূর্ব ইউক্রেনের হাসপাতালে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, নিহত ১৪

ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে একটি হাসপাতালে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে ১৪ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ২৪ জন। পূর্ব ইউক্রেনের এই অঞ্চলটি রাশিয়ার দখলে রয়েছে এবং হাসপাতালে হামলার পেছনে ইউক্রেনকে দায়ী করেছে মস্কো।

রোববার (২৯ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পূর্ব ইউক্রেনের রুশ-নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে একটি হাসপাতালে ইচ্ছাকৃতভাবে আক্রমণ করার জন্য ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীকে অভিযুক্ত করেছে রাশিয়া। এই হামলায় ১৪ জন নিহতের পাশাপাশি ২৪ জন রোগী ও চিকিৎসা কর্মী আহত হয়েছেন। এদিকে এই হামলাকে যুদ্ধাপরাধ বলেও দাবি করেছে রাশিয়া। তবে রাশিয়ার এই অভিযোগের বিষয়ে শনিবার ইউক্রেনের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, পূর্ব ইউক্রেনের রাশিয়ান-নিয়ন্ত্রিত নোভোয়াইডারের একটি হাসপাতালে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে এবং যুক্তরাষ্ট্রের সরবরাহ করা হিমারস রকেট সিস্টেম ব্যবহার করে ইউক্রেন এই আক্রমণটি পরিচালনা করে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘পরিচিত কার্যকর বেসামরিক চিকিৎসা স্থপনায় ইচ্ছাকৃত ক্ষেপণাস্ত্র হামলা নিঃসন্দেহে কিয়েভ সরকারের একটি গুরুতর যুদ্ধাপরাধ। এই অপরাধের পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নের সাথে জড়িত সকলকে খুঁজে বের করে জবাবদিহি করা হবে।’

এতে আরও বলা হয়েছে, বেসামরিক ও সামরিক চিকিৎসকরা ওই হাসপাতালে স্থানীয় লোকজন এবং সৈন্যদের চিকিৎসার জন্য অনেক মাস ধরে কাজ করছেন। আল জাজিরা বলছে, টানা ১১ মাসেরও বেশি সময় ধরে ইউক্রেনে সামরিক আগ্রাসন চালাচ্ছে রাশিয়া। গত বছর রুশ আক্রমণ শুরুর পর থেকে ইউক্রেন এবং তার পশ্চিমা মিত্র দেশগুলো রাশিয়ান বাহিনীর বিরুদ্ধে বারবারই যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ তুলেছে।

দীর্ঘ এই সংঘাতে ইউক্রেনে হাজার হাজার বেসামরিক লোক নিহত হয়েছেন এবং পূর্ব ইউরোপের এই দেশটির বহু শহর আর্টিলারি ও বিমান হামলায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। তবে রাশিয়া বেসামরিক নাগরিকদের টার্গেট করে হামলা চালানোর কথা বরাবরই অস্বীকার করে এসেছে। এদিকে পূর্ব ইউক্রেনের কনস্টান্টিনিভকা শহরে রাশিয়ার হামলায় তিনজন নিহত হয়েছেন বলে শনিবার স্থানীয় গভর্নর জানিয়েছেন। এছাড়া ওই হামলায় এক ডজনেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।

দোনেতস্কের গভর্নর পাভলো কিরিলেঙ্কো সোশ্যাল মিডিয়ায় বলেছেন, ‘রাশিয়ানরা একটি আবাসিক এলাকায় হামলা চালিয়েছে। এতে চারটি বহুতল ভবন, একটি হোটেল, গ্যারেজ এবং বেসামরিক গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’ পাভলো কিরিলেঙ্কোর টেলিগ্রাম অ্যাকাউন্টে পোস্ট করা ছবিগুলোতে রুশ হামলার পর অ্যাপার্টমেন্ট বিল্ডিংগুলোর জানালা উড়ে যাওয়ার দৃশ্য দেখা যাচ্ছে। এছাড়া পুড়ে যাওয়া একটি গাড়ির ধ্বংসাবশেষের ছবিও দেখা যাচ্ছে সেখানে। ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মতে, রাশিয়া একাধিক রকেট লঞ্চার দিয়ে কনস্টান্টিনিভকা শহরে হামলা চালিয়েছে। মূলত প্রায় এক বছর ধরে চালানো এই আগ্রাসনে রাশিয়া দোনেতস্ক অঞ্চলের পুরোটা দখলে নিতে লড়াই করছে।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

তরুন প্রজন্মকে মাদক থেকে দূরে রাখতে খেলাধুলাকে গুরুত্ব দিচ্ছে বিএনপি: আমিনুল হক

পূর্ব ইউক্রেনের হাসপাতালে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, নিহত ১৪

আপডেট সময় ১২:৪৫:৫০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২৩

ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে একটি হাসপাতালে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে ১৪ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ২৪ জন। পূর্ব ইউক্রেনের এই অঞ্চলটি রাশিয়ার দখলে রয়েছে এবং হাসপাতালে হামলার পেছনে ইউক্রেনকে দায়ী করেছে মস্কো।

রোববার (২৯ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পূর্ব ইউক্রেনের রুশ-নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে একটি হাসপাতালে ইচ্ছাকৃতভাবে আক্রমণ করার জন্য ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীকে অভিযুক্ত করেছে রাশিয়া। এই হামলায় ১৪ জন নিহতের পাশাপাশি ২৪ জন রোগী ও চিকিৎসা কর্মী আহত হয়েছেন। এদিকে এই হামলাকে যুদ্ধাপরাধ বলেও দাবি করেছে রাশিয়া। তবে রাশিয়ার এই অভিযোগের বিষয়ে শনিবার ইউক্রেনের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, পূর্ব ইউক্রেনের রাশিয়ান-নিয়ন্ত্রিত নোভোয়াইডারের একটি হাসপাতালে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে এবং যুক্তরাষ্ট্রের সরবরাহ করা হিমারস রকেট সিস্টেম ব্যবহার করে ইউক্রেন এই আক্রমণটি পরিচালনা করে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘পরিচিত কার্যকর বেসামরিক চিকিৎসা স্থপনায় ইচ্ছাকৃত ক্ষেপণাস্ত্র হামলা নিঃসন্দেহে কিয়েভ সরকারের একটি গুরুতর যুদ্ধাপরাধ। এই অপরাধের পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নের সাথে জড়িত সকলকে খুঁজে বের করে জবাবদিহি করা হবে।’

এতে আরও বলা হয়েছে, বেসামরিক ও সামরিক চিকিৎসকরা ওই হাসপাতালে স্থানীয় লোকজন এবং সৈন্যদের চিকিৎসার জন্য অনেক মাস ধরে কাজ করছেন। আল জাজিরা বলছে, টানা ১১ মাসেরও বেশি সময় ধরে ইউক্রেনে সামরিক আগ্রাসন চালাচ্ছে রাশিয়া। গত বছর রুশ আক্রমণ শুরুর পর থেকে ইউক্রেন এবং তার পশ্চিমা মিত্র দেশগুলো রাশিয়ান বাহিনীর বিরুদ্ধে বারবারই যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ তুলেছে।

দীর্ঘ এই সংঘাতে ইউক্রেনে হাজার হাজার বেসামরিক লোক নিহত হয়েছেন এবং পূর্ব ইউরোপের এই দেশটির বহু শহর আর্টিলারি ও বিমান হামলায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। তবে রাশিয়া বেসামরিক নাগরিকদের টার্গেট করে হামলা চালানোর কথা বরাবরই অস্বীকার করে এসেছে। এদিকে পূর্ব ইউক্রেনের কনস্টান্টিনিভকা শহরে রাশিয়ার হামলায় তিনজন নিহত হয়েছেন বলে শনিবার স্থানীয় গভর্নর জানিয়েছেন। এছাড়া ওই হামলায় এক ডজনেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।

দোনেতস্কের গভর্নর পাভলো কিরিলেঙ্কো সোশ্যাল মিডিয়ায় বলেছেন, ‘রাশিয়ানরা একটি আবাসিক এলাকায় হামলা চালিয়েছে। এতে চারটি বহুতল ভবন, একটি হোটেল, গ্যারেজ এবং বেসামরিক গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’ পাভলো কিরিলেঙ্কোর টেলিগ্রাম অ্যাকাউন্টে পোস্ট করা ছবিগুলোতে রুশ হামলার পর অ্যাপার্টমেন্ট বিল্ডিংগুলোর জানালা উড়ে যাওয়ার দৃশ্য দেখা যাচ্ছে। এছাড়া পুড়ে যাওয়া একটি গাড়ির ধ্বংসাবশেষের ছবিও দেখা যাচ্ছে সেখানে। ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মতে, রাশিয়া একাধিক রকেট লঞ্চার দিয়ে কনস্টান্টিনিভকা শহরে হামলা চালিয়েছে। মূলত প্রায় এক বছর ধরে চালানো এই আগ্রাসনে রাশিয়া দোনেতস্ক অঞ্চলের পুরোটা দখলে নিতে লড়াই করছে।