ঢাকা ১০:১৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৫, ৮ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে ক্ষতিগ্রস্তদের অবস্থান কর্মসূচি মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষাহল পরিদর্শনে গিয়ে ছবি তুলে ফেসবুকে আপলোড কুমিল্লায় বিএসটিআই ও জেলা প্রশাসনের যৌথ অভিযান, ২ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা কুমিল্লায় ৯৭৫ বোতল ফেন্সিডিলসহ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব লডাঙ্গায় মাছ চোর সন্দেহে একজনকে পিটিয়ে হত্যা চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এলাকায় র‍্যাব ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে ১১ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে জেল-জরিমানা। অপ্রত্যাশিত ঘটনার দ্বারা শেষ হলো গোয়ানঘাটের আন্তঃ ইউনিয়ন অনূর্ধ্ব ১৭ এর (বালক) ফুটবলের ফাইনাল ম্যাচ বোরহানউদ্দিন সাংস্কৃতিক সংসদ কমিটি গঠন রসিক মেয়র কে দুদকের চিঠি সরিষার ক্ষেতের সৌন্দর্যের আড়ালে ভয়ংকর রাসেল ভাইপার

সাকরাইনে ফানুস ওড়ালেই কঠোর ব্যবস্থা

পুরান ঢাকায় ঐতিহ্যবাহী সাকরাইন উৎসব অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আজ (১৪ জানুয়ারি)। বর্ণিল আলোকসজ্জা ও নানা আয়োজনে পালিত হবে সাকরাইন উৎসব। তবে সাকরাইন উৎসবে কোনোভাবেই যেন পুরান ঢাকায় ফানুস না ওড়ে সেই জন্য কঠোর অবস্থানে রয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ফানুস ওড়ানো ও আতশবাজি ফোটানো হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে পুলিশ।

ডিএমপি সূত্রে জানা গেছে, পুরান ঢাকা রাজধানীর সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ ও অগ্নি দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকা। বিভিন্ন সময় পুরান ঢাকায় লাগা ভয়াবহ অগ্নি দুর্ঘটনার সাক্ষী হয়েছে সারা দেশ। সাকরাইনকে কেন্দ্র করে ফানুস ওড়ালে বা আতশবাজি ফোটালে পুরান ঢাকায় অগ্নি দুর্ঘটনার আশঙ্কা থেকে যায়। তাই নগরবাসীকে নিরাপদ রাখতে ফানুস না ওড়ানো ও আতশবাজি না ফোটানোর নির্দেশনা দিয়েছে ডিএমপি।

জানা গেছে, পুরান ঢাকার প্রতিটি মসজিদ থেকে মাইকিং করা হয়েছে যেন সাকরাইন উপলক্ষে ফানুস না ওড়ানো হয়, সেই সঙ্গে আতশবাজি না ফোটানোর অনুরোধও করা হয়েছে। এছাড়া পুরান ঢাকা সংশ্লিষ্ট প্রতিটি থানায় নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সাকরাইন উপলক্ষে ফানুস ওড়ানো ও আতশবাজি ফোটানো বন্ধ করতে। তারপরেও যদি কেউ নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে থানাগুলোকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে ডিএমপির লালবাগ বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) জাফর হোসেন বলেন, সাকরাইন পুরান ঢাকার একটি ঐতিহ্যবাহী উৎসব। সাকরাইন উপলক্ষে পুরান ঢাকায় বর্ণিল উৎসবের আয়োজন হবে এটি স্বাভাবিক। তবে সাকরাইনকে কেন্দ্র করে পুরান ঢাকায় যেন কোনোভাবে ফানুস উড়ানো অথবা আতশবাজি ফুটানো না হয় সেই বিষয়ে আমরা কঠোর অবস্থানে রয়েছি। কয়েকদিন ধরে পুরান ঢাকায় অভিযান পরিচালনা করে অনেক ফানুস ও আতশবাজি জব্দ করেছি। মসজিদগুলো থেকে মাইকিংও করা হয়েছে। এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট থানাগুলোকেও কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

তবে পুলিশের পক্ষ থেকে নানা দাবি করা হলেও সাকরাইন উৎসব উপলক্ষে পুরান ঢাকায় আতশবাজি ও ফানুস বিক্রি বন্ধ হয়নি। গত ৩-৪ দিন ধরে বিভিন্নভাবে এসব বিক্রি হয়েছে। গত বছরের তুলনায় বেশি দামে পুরান ঢাকায় ফানুস ও আতশবাজি বিক্রি হয়েছে।

এদিকে থার্টি ফাস্ট নাইটে উপলক্ষেও ফানুস ও আতশবাজিরা বিষয়ে কঠোর নির্দেশনা ছিল ডিএমপির। কিন্তু ডিএমপির এসব কঠোর নির্দেশনা অমান্য করে রাজধানীতে হাজার হাজার ফানুস ওড়েছিল ও আতশবাজি ফোটানো হয়েছিল। ফানুস ওড়ানোর ঘটনায় গত থার্টি ফাস্ট নাইটে রাজধানীর চার জায়গায় আগুন লাগার ঘটনা ঘট। এছাড়া ওই রাতে ওড়ানো ফানুস গিয়ে পড়ে মেট্রোরেলের বৈদ্যুতিক তার ও রেললাইনে। ফলে ১ জানুয়ারি দুই ঘণ্টা বন্ধ ছিল মেট্রোরেল চলাচল। থার্টি ফাস্ট নাইটে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করলে পুলিশ কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বললেও কার্যত পুলিশের কোনো ব্যবস্থাই দেখা যায়নি।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে ক্ষতিগ্রস্তদের অবস্থান কর্মসূচি

সাকরাইনে ফানুস ওড়ালেই কঠোর ব্যবস্থা

আপডেট সময় ০৪:৪০:২০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৩

পুরান ঢাকায় ঐতিহ্যবাহী সাকরাইন উৎসব অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আজ (১৪ জানুয়ারি)। বর্ণিল আলোকসজ্জা ও নানা আয়োজনে পালিত হবে সাকরাইন উৎসব। তবে সাকরাইন উৎসবে কোনোভাবেই যেন পুরান ঢাকায় ফানুস না ওড়ে সেই জন্য কঠোর অবস্থানে রয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ফানুস ওড়ানো ও আতশবাজি ফোটানো হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে পুলিশ।

ডিএমপি সূত্রে জানা গেছে, পুরান ঢাকা রাজধানীর সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ ও অগ্নি দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকা। বিভিন্ন সময় পুরান ঢাকায় লাগা ভয়াবহ অগ্নি দুর্ঘটনার সাক্ষী হয়েছে সারা দেশ। সাকরাইনকে কেন্দ্র করে ফানুস ওড়ালে বা আতশবাজি ফোটালে পুরান ঢাকায় অগ্নি দুর্ঘটনার আশঙ্কা থেকে যায়। তাই নগরবাসীকে নিরাপদ রাখতে ফানুস না ওড়ানো ও আতশবাজি না ফোটানোর নির্দেশনা দিয়েছে ডিএমপি।

জানা গেছে, পুরান ঢাকার প্রতিটি মসজিদ থেকে মাইকিং করা হয়েছে যেন সাকরাইন উপলক্ষে ফানুস না ওড়ানো হয়, সেই সঙ্গে আতশবাজি না ফোটানোর অনুরোধও করা হয়েছে। এছাড়া পুরান ঢাকা সংশ্লিষ্ট প্রতিটি থানায় নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সাকরাইন উপলক্ষে ফানুস ওড়ানো ও আতশবাজি ফোটানো বন্ধ করতে। তারপরেও যদি কেউ নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে থানাগুলোকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে ডিএমপির লালবাগ বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) জাফর হোসেন বলেন, সাকরাইন পুরান ঢাকার একটি ঐতিহ্যবাহী উৎসব। সাকরাইন উপলক্ষে পুরান ঢাকায় বর্ণিল উৎসবের আয়োজন হবে এটি স্বাভাবিক। তবে সাকরাইনকে কেন্দ্র করে পুরান ঢাকায় যেন কোনোভাবে ফানুস উড়ানো অথবা আতশবাজি ফুটানো না হয় সেই বিষয়ে আমরা কঠোর অবস্থানে রয়েছি। কয়েকদিন ধরে পুরান ঢাকায় অভিযান পরিচালনা করে অনেক ফানুস ও আতশবাজি জব্দ করেছি। মসজিদগুলো থেকে মাইকিংও করা হয়েছে। এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট থানাগুলোকেও কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

তবে পুলিশের পক্ষ থেকে নানা দাবি করা হলেও সাকরাইন উৎসব উপলক্ষে পুরান ঢাকায় আতশবাজি ও ফানুস বিক্রি বন্ধ হয়নি। গত ৩-৪ দিন ধরে বিভিন্নভাবে এসব বিক্রি হয়েছে। গত বছরের তুলনায় বেশি দামে পুরান ঢাকায় ফানুস ও আতশবাজি বিক্রি হয়েছে।

এদিকে থার্টি ফাস্ট নাইটে উপলক্ষেও ফানুস ও আতশবাজিরা বিষয়ে কঠোর নির্দেশনা ছিল ডিএমপির। কিন্তু ডিএমপির এসব কঠোর নির্দেশনা অমান্য করে রাজধানীতে হাজার হাজার ফানুস ওড়েছিল ও আতশবাজি ফোটানো হয়েছিল। ফানুস ওড়ানোর ঘটনায় গত থার্টি ফাস্ট নাইটে রাজধানীর চার জায়গায় আগুন লাগার ঘটনা ঘট। এছাড়া ওই রাতে ওড়ানো ফানুস গিয়ে পড়ে মেট্রোরেলের বৈদ্যুতিক তার ও রেললাইনে। ফলে ১ জানুয়ারি দুই ঘণ্টা বন্ধ ছিল মেট্রোরেল চলাচল। থার্টি ফাস্ট নাইটে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করলে পুলিশ কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বললেও কার্যত পুলিশের কোনো ব্যবস্থাই দেখা যায়নি।