ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেছেন, পয়োবর্জ্যের কারণে লেকগুলোর পানি দূষিত হয়ে গেছে। তাই লেকে মাছ চাষ করা যাচ্ছে না। মাছ ছাড়তে পারলে মশা নিধনে ন্যাচারাল সলিউশন হতো অনেকটা।
বুধবার (১১ জানুয়ারি) রাজধানীর বারিধারা এলাকায় পয়োবর্জ্যের সংযোগ সারফেস ড্রেনে, খালে বা লেকে দেওয়া বন্ধ করতে অভিযান শেষে তিনি এ কথা বলেন। আতিকুল ইসলাম বলেন, মশা নিধনে ন্যাচারাল সলিউশন সম্ভব হচ্ছে না মাছ চাষ করতে না পারার কারণে। গুলশান, বারিধারা, নিকেতন, বনানী লেকে যদি এমন পয়োবর্জ্যের কারণে পানি দূষিত না হতো তাহলে আমরা মাছ চাষ করতে পারতাম এসব খালে। অভিজাত এলাকার অসচেতন মানুষের কারণে লেকের পানি বারবার দূষিত হচ্ছে। তবে আমরা ড্রেন ও খাল আর দূষিত হতে দেব না। তারা যদি সারফেস ড্রেন থেকে পয়োবর্জ্যের অবৈধ সংযোগ সরিয়ে না নেয়, বাড়ির মালিকরা অনতিবিলম্বে নিজ থেকে এসব সংযোগ বন্ধ না করে, তাহলে স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দেবে ডিএনসিসি।
তিনি বলেন, লাইনে পয়োবর্জ্যের সংযোগ কোনোভাবেই দেওয়া যাবে না। ওয়াসার পৃথক লাইনে এসব বাড়ির বর্জ্য যাওয়ার কথা থাকলেও সেটি নেই। যেখানে ওয়াসার লাইন নেই সেখানে নিজস্ব ব্যবস্থায় ইটিপি প্ল্যান্ট বসিয়ে পয়োবর্জ্য ব্যবস্থাপনা করতে হবে। এ বিষয়ে আমরা ধারাবাহিকভাবে অভিযান পরিচালনা করব। গুলশান, বারিধারার পর আমরা বনানী ও নিকেতন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করব।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, গুলশান, বনানী, বারিধারা ও নিকেতন এলাকায় ডিএনসিসির প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা, বুয়েটের সাবেক অধ্যাপক ড. মুজিবুর রহমান, ঢাকা ওয়াসার প্রতিনিধি, বুয়েট প্রতিনিধি, হাউজিং সোসাইটির প্রতিনিধি এবং ইউনেসেফের প্রতিনিধির সমন্বয়ে সাসটেইনশন কমপ্লাইন্স কমিটি জরিপ কাজটির তত্ত্বাবধান করেছে। চারটি এলাকার ৩ হাজার ৮৩০টি বাড়িতে জরিপ করা হয়। এই বাড়িগুলোর মধ্যে ৩ হাজার ২৬৫টি বাড়ির পয়োবর্জ্য সরাসরি সারফেস ড্রেন ও লেকে পড়ছে। মাত্র ৪১টি বাড়িতে পয়োবর্জ্যের সংযোগ সঠিকভাবে দেওয়া আছে এবং ৫২৪টি বাড়িতে আংশিকভাবে পয়োবর্জ্য ব্যবস্থাপনা করা হয়েছে। ফলে লেকের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য নষ্ট হচ্ছে ও মশার উপদ্রব বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমডোর এস এম শরিফ-উল ইসলাম, ডিএনসিসির সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর হাছিনা বারী চৌধুরী প্রমুখ।