ঢাকা ০৮:৫৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৫, ৭ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
কুমিল্লায় বিএসটিআই ও জেলা প্রশাসনের যৌথ অভিযান, ২ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা কুমিল্লায় ৯৭৫ বোতল ফেন্সিডিলসহ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব লডাঙ্গায় মাছ চোর সন্দেহে একজনকে পিটিয়ে হত্যা চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এলাকায় র‍্যাব ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে ১১ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে জেল-জরিমানা। অপ্রত্যাশিত ঘটনার দ্বারা শেষ হলো গোয়ানঘাটের আন্তঃ ইউনিয়ন অনূর্ধ্ব ১৭ এর (বালক) ফুটবলের ফাইনাল ম্যাচ বোরহানউদ্দিন সাংস্কৃতিক সংসদ কমিটি গঠন রসিক মেয়র কে দুদকের চিঠি সরিষার ক্ষেতের সৌন্দর্যের আড়ালে ভয়ংকর রাসেল ভাইপার গাজীপুরের কালিয়াকৈরে বাড়ি-ঘর ভাংচুর করে জমি দখলের চেষ্টা। মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় কোটা ,পুণরায় ফলপ্রকাশের দাবিতে কুমিল্লায় মানববন্ধন

সেন্টমার্টিন নৌ-রুটে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলের অনুমতি না দিলে আন্দোলন

টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌ-রুটে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলের অনুমতি না দিলে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ট্যুর অপারেটস এসোসিয়েশন অব কক্সবাজারসহ ১০টি সংগঠন। 

আজ মঙ্গলবার দুপুরে কক্সবাজার শহরের লাবণি পয়েন্টে একটি হোটেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এ হুঁশিয়ারি দেয়া হয়। সংবাদ সম্মেলনে দাবি করা হয়, নাব্যতার সংকটের অজুহাত দেখিয়ে চলতি পর্যটন মৌসুমের শুরু থেকে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌ-রুটে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলের অনুমতি দেয়া হয়নি। টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌ-রুটে জাহাজ চলাচল না করার ফলে কক্সবাজার তথা সেন্টমার্টিন ভ্রমণ সেবা প্রদান করা ৫ লক্ষ মানুষের জীবিকা এখন হুমকির সম্মুখিন। অথচ প্রতিবছর পর্যটন মৌসুমে যত সংখ্যক পর্যটক কক্সবাজারে ভ্রমণ করে তার অধিকাংশ পর্যটকই সেন্টমার্টিন ভ্রমণের ইচ্ছা পোষণ করে থাকে। সেন্টমার্টিন বাংলাদেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ যা মূল ভূখণ্ড হতে ১৫ নটিক্যাল মাইল দূরে অবস্থিত। সমুদ্র পথে যাতায়াত করা সহজসাধ্য নয় বিধায় প্রতিবছর নভেম্বর হতে মার্চ পর্যন্ত পর্যটন মৌসুমে সমুদ্র শান্ত থাকায় পর্যটকগণ সেন্টমার্টিন ভ্রমণ করতে পারে। আর এই পর্যটকদের ভ্রমণসেবা প্রদান করে।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন ট্যুর অপারেটর এসোসিয়েশন অব কক্সবাজার সভাপতি আনোয়ার কামাল, সাধারণ সম্পাদক একেএম মনিবুর রহমান টিটু, কলাতলীতে মেরিন ড্রাইভ হোটেল মোটেল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মুখিম খান, কক্সবাজার হোটেল মোটেল গেস্ট হাউস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সেলিম নেওয়াজ, সেন্টমার্টিন হোটেল-মোটেল মালিক সমিতির সভাপতি আবদুর রহিম, জেলা হোটেল রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক রাশেদুল ইসলাম ডালিম, এসএম আবু নোমানসহ অনেকে।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, বেশ কয়েক বছর ধরে সেন্টমার্টিন নিয়ে নানা প্রকারের অপপ্রচার করা হচ্ছে। একশ্রেণীর সুবিধাভোগী চক্র পরিবেশের কথা বলে পর্যটন শিল্পে বাধা সৃষ্টি করছে। অথচ, ২০১৯ সালে নভেম্বর হতে মার্চ পর্যন্ত ১,৬০,৫০০ জন পর্যটক সেন্টমার্টিন ভ্রমণ করছে। অর্থাৎ ১৫১ দিন পর্যটন মৌসুমে প্রতিদিন গড়ে ১ হাজার ৬৩ জন মানুষ সেন্টমার্টিন ভ্রমণ করেছে।

সংবাদ সম্মেলনে জাহাজ চলাচলের যুক্তি দেখিয়ে বলা হয়, চলতি পর্যটন মৌসুমের শুরু হতে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌ-রুটে পর্যটন পরিবহন জাহাজ বন্ধ আছে। কিন্তু মিয়ানমারের মালামাল পরিবহন অব্যাহত আছে। যদি নাব্যতার সংকট থাকতো তাহলে মায়ানমারের জাহাজ মালামাল নিয়ে কীভাবে আসে? বর্তমানে ২টি জাহাজ টেকনাফের দমদমিয়া ঘাটে অবস্থান করছে। যা গত ৩/৪ দিন পূর্বে সেন্টমার্টিন হতে এই রুটেই ভাটার মধ্যেই দমদমিয়া জেটিতে এসেছে। নাব্যতার সংকট থাকলে তা হতো না। টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌ-রুটে জাহাজ চলাচল না করার ফলে ট্যুর অপারেটরদের পাশাপাশি ট্যুর গাইড, হোটেল-মোটেল, গেস্টহাউজ, রেস্টহাউজ, ফ্ল্যাট ও কটেজ ব্যবসায়ী- কর্মচারী, বাস-মিনিবাস ব্যবসায়ী-কর্মচারী, রেস্টুরেন্ট ও ফুড প্রসেসিং ব্যবসায়ী-কর্মচারী, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, ভ্যান- রিক্সা-টমটম চালক এবং বিভিন্ন প্রকারের কুটির শিল্প ব্যবসায়ীসহ কক্সবাজার তথা সেন্টমার্টিন ভ্রমণ সেবা প্রদান করা ৫ লক্ষ মানুষের জীবিকা এখন হুমকির সম্মুখীন। আমরা আমাদের জীবিকা ঠিক রাখার স্বার্থে এই নৌ-রুটে জাহাজ চলাচল চালু করার দাবি জানান।

সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেয় ট্যুর অপারেটরস এসোসিয়েশন অব কক্সবাজার, সি-ক্রুজ অপারেটর অনার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ, কলাতলী মেরিন প্রাইড হোটেল রিসোর্ট মালিক সমিতি, সেন্টমার্টিন আবাসিক হোটেল-রিসোর্ট মালিক সমিতি, সেন্টমাটিন বোট মালিক সমিতি ট্যুর গাইড এসোসিয়েশন অব কক্সবাজার, হোটেল-মোটেল গেস্টহাউজ মালিক সমিতি, কক্সবাজার বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি, কক্সবাজার জেলা কক্সবাজার বাস-মিনিবাস মালিক গ্রুপ সেন্টমার্টিন রোস্তোরাঁ মালিক সমিতি, সেন্টমাটিন বাজার মালিক সমিতি।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

কুমিল্লায় বিএসটিআই ও জেলা প্রশাসনের যৌথ অভিযান, ২ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

সেন্টমার্টিন নৌ-রুটে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলের অনুমতি না দিলে আন্দোলন

আপডেট সময় ০৫:২০:৫০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৩

টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌ-রুটে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলের অনুমতি না দিলে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ট্যুর অপারেটস এসোসিয়েশন অব কক্সবাজারসহ ১০টি সংগঠন। 

আজ মঙ্গলবার দুপুরে কক্সবাজার শহরের লাবণি পয়েন্টে একটি হোটেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এ হুঁশিয়ারি দেয়া হয়। সংবাদ সম্মেলনে দাবি করা হয়, নাব্যতার সংকটের অজুহাত দেখিয়ে চলতি পর্যটন মৌসুমের শুরু থেকে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌ-রুটে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলের অনুমতি দেয়া হয়নি। টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌ-রুটে জাহাজ চলাচল না করার ফলে কক্সবাজার তথা সেন্টমার্টিন ভ্রমণ সেবা প্রদান করা ৫ লক্ষ মানুষের জীবিকা এখন হুমকির সম্মুখিন। অথচ প্রতিবছর পর্যটন মৌসুমে যত সংখ্যক পর্যটক কক্সবাজারে ভ্রমণ করে তার অধিকাংশ পর্যটকই সেন্টমার্টিন ভ্রমণের ইচ্ছা পোষণ করে থাকে। সেন্টমার্টিন বাংলাদেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ যা মূল ভূখণ্ড হতে ১৫ নটিক্যাল মাইল দূরে অবস্থিত। সমুদ্র পথে যাতায়াত করা সহজসাধ্য নয় বিধায় প্রতিবছর নভেম্বর হতে মার্চ পর্যন্ত পর্যটন মৌসুমে সমুদ্র শান্ত থাকায় পর্যটকগণ সেন্টমার্টিন ভ্রমণ করতে পারে। আর এই পর্যটকদের ভ্রমণসেবা প্রদান করে।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন ট্যুর অপারেটর এসোসিয়েশন অব কক্সবাজার সভাপতি আনোয়ার কামাল, সাধারণ সম্পাদক একেএম মনিবুর রহমান টিটু, কলাতলীতে মেরিন ড্রাইভ হোটেল মোটেল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মুখিম খান, কক্সবাজার হোটেল মোটেল গেস্ট হাউস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সেলিম নেওয়াজ, সেন্টমার্টিন হোটেল-মোটেল মালিক সমিতির সভাপতি আবদুর রহিম, জেলা হোটেল রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক রাশেদুল ইসলাম ডালিম, এসএম আবু নোমানসহ অনেকে।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, বেশ কয়েক বছর ধরে সেন্টমার্টিন নিয়ে নানা প্রকারের অপপ্রচার করা হচ্ছে। একশ্রেণীর সুবিধাভোগী চক্র পরিবেশের কথা বলে পর্যটন শিল্পে বাধা সৃষ্টি করছে। অথচ, ২০১৯ সালে নভেম্বর হতে মার্চ পর্যন্ত ১,৬০,৫০০ জন পর্যটক সেন্টমার্টিন ভ্রমণ করছে। অর্থাৎ ১৫১ দিন পর্যটন মৌসুমে প্রতিদিন গড়ে ১ হাজার ৬৩ জন মানুষ সেন্টমার্টিন ভ্রমণ করেছে।

সংবাদ সম্মেলনে জাহাজ চলাচলের যুক্তি দেখিয়ে বলা হয়, চলতি পর্যটন মৌসুমের শুরু হতে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌ-রুটে পর্যটন পরিবহন জাহাজ বন্ধ আছে। কিন্তু মিয়ানমারের মালামাল পরিবহন অব্যাহত আছে। যদি নাব্যতার সংকট থাকতো তাহলে মায়ানমারের জাহাজ মালামাল নিয়ে কীভাবে আসে? বর্তমানে ২টি জাহাজ টেকনাফের দমদমিয়া ঘাটে অবস্থান করছে। যা গত ৩/৪ দিন পূর্বে সেন্টমার্টিন হতে এই রুটেই ভাটার মধ্যেই দমদমিয়া জেটিতে এসেছে। নাব্যতার সংকট থাকলে তা হতো না। টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌ-রুটে জাহাজ চলাচল না করার ফলে ট্যুর অপারেটরদের পাশাপাশি ট্যুর গাইড, হোটেল-মোটেল, গেস্টহাউজ, রেস্টহাউজ, ফ্ল্যাট ও কটেজ ব্যবসায়ী- কর্মচারী, বাস-মিনিবাস ব্যবসায়ী-কর্মচারী, রেস্টুরেন্ট ও ফুড প্রসেসিং ব্যবসায়ী-কর্মচারী, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, ভ্যান- রিক্সা-টমটম চালক এবং বিভিন্ন প্রকারের কুটির শিল্প ব্যবসায়ীসহ কক্সবাজার তথা সেন্টমার্টিন ভ্রমণ সেবা প্রদান করা ৫ লক্ষ মানুষের জীবিকা এখন হুমকির সম্মুখীন। আমরা আমাদের জীবিকা ঠিক রাখার স্বার্থে এই নৌ-রুটে জাহাজ চলাচল চালু করার দাবি জানান।

সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেয় ট্যুর অপারেটরস এসোসিয়েশন অব কক্সবাজার, সি-ক্রুজ অপারেটর অনার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ, কলাতলী মেরিন প্রাইড হোটেল রিসোর্ট মালিক সমিতি, সেন্টমার্টিন আবাসিক হোটেল-রিসোর্ট মালিক সমিতি, সেন্টমাটিন বোট মালিক সমিতি ট্যুর গাইড এসোসিয়েশন অব কক্সবাজার, হোটেল-মোটেল গেস্টহাউজ মালিক সমিতি, কক্সবাজার বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি, কক্সবাজার জেলা কক্সবাজার বাস-মিনিবাস মালিক গ্রুপ সেন্টমার্টিন রোস্তোরাঁ মালিক সমিতি, সেন্টমাটিন বাজার মালিক সমিতি।