রূপকথার জিয়নকাঠি দিয়ে এবার বাঁচিয়ে তোলা হবে কলকাতার ছোটপর্দার প্রয়াত অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মাকে। মৃত্যুর ১৫ দিন পর আবারও তিনি হাঁটবেন, কথা বলবেন, নাচবেন এমনকি ইচ্ছেমতো ঘুরেও বেড়াবেন। একদম জীবন্ত যাকে বলে। কি, অবাক হচ্ছেন? হ্যাঁ, সান বাংলাতে জীবিত ফিরছেন ঐন্দ্রিলা। তাও আবার তার অভিনীত ‘জিয়নকাঠি’র হাত ধরে।
সোমবার (৫ ডিসেম্বর) থেকে আবারও টেলিভিশনের পর্দায় ঐন্দ্রিলা। সে যে চলে গিয়েও থেকে গেছে সকলের মধ্যে। তার লড়াই, যতই প্রশংসা করা হোক ততই কম। প্রিয় ঐন্দ্রিলাকে শ্রদ্ধা জানাতে এক নিদারুণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে সান বাংলা। নতুন করে আবার সম্প্রচার করা হবে ‘জিয়নকাঠি’। প্রয়াত ঐন্দ্রিলার অভিনয় আবারও দেখতে পাবেন দর্শকেরা। এই সিরিয়ালে জাহ্নবীর চরিত্রে দেখা গিয়েছিল ঐন্দ্রিলাকে। তার অভিনীত শেষ সিরিয়াল এটি।
ক্যানসার থেকে সেরে উঠেই এই ধারাবাহিক করেছিলেন ঐন্দ্রিলা। কথা ছিল আরও অনেক কাজ করবেন। কিন্তু সেই কথা আর রাখতে পারলেন না অভিনেত্রী। যদিও বা চ্যানেলের তরফে এই প্রসঙ্গে মুখ খুলতে রাজি নন কেউই। তবে তার মৃত্যুর পরেও যে ‘জিয়নকাঠি’র নানান মুহূর্ত বন্দি হয়ে রয়েছেন মানুষের মণিকোঠায়। বারবার ফিরে আসছে সেইসব স্মৃতি। সোশ্যাল মিডিয়ায় আজও অভিনেত্রীর সেই হাসিমুখটা দেখতেই আগ্রহী সকলে।
ঐন্দ্রিলা নাচছেন, গাইছেন কখনও সবার সঙ্গে ঘুরতে বেরিয়ে দেদার মজা করছেন— তার এই স্মৃতিগুলোই যে পরিবারের বেঁচে থাকার একমাত্র রসদ। তার মৃত্যুর পরেই সোশ্যাল মিডিয়া থেকে বিদায় নিয়েছেন সব্যসাচী নিজেও। কাছের মানুষকে হারিয়েছেন, তারপর যেন আর কিছুই ভাবতে পারেননি সব্য। এমনকি শোনা যাচ্ছে ঐন্দ্রিলার পরলৌকিক ক্রিয়াও করেননি সব্যসাচী ও অভিনেত্রীর পরিবার। যদিও মুখাগ্নি করেছিলেন সব্য। তাদের বিশ্বাস সে রয়েছে, কাছেই রয়েছে।
উল্লেখ্য, টানা ২০ দিন আমরণ লড়াই, বেশ কয়েকবার হার্ট অ্যাটাক এবং তারপরও হার মানেননি ঐন্দ্রিলা। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। গত ২০ নভেম্বর সব্যর হাত ছেড়ে পাড়ি দিয়েছেন না ফেরার দেশে।