আরব দেশগুলোর মধ্যে প্রথমবার পুরুষদের ফুটবল বিশ্বকাপ আয়োজন করে গোটা বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে কাতার। মাসব্যাপী এ টুর্নামেন্টের প্রথম রাউন্ডের খেলা এরই মধ্যে শেষ হয়েছে। শনিবার (৩ ডিসেম্বর) থেকে শুরু হবে দ্বিতীয় রাউন্ড। মজার বিষয় হচ্ছে, একই সময় ফুটবলের পাশপাশি আরও একটি বিশ্বকাপের আয়োজন করেছে কাতার। তা হলো উটের সৌন্দর্য বিশ্বকাপ।
তুর্কি সংবাদমাধ্যম টিআরটি ওয়ার্ল্ডের খবর অনুসারে, দোহা থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে মরুভূমির মধ্যে ক্যামেল মাজায়েন ক্লাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে এ প্রতিযোগিতা। শুক্রবারের ফাইনালে সেরা সুন্দরীর খেতাব জিতেছে নাজা নামে একটি উট। তবে তার আগে আরও কয়েকটি রাউন্ড পার হতে হয়েছে তাকে।
এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিল বিভিন্ন দেশের কয়েকশ উট। এ আয়োজনে পৃষ্ঠপোষকতা করেছে কাতারের ক্রীড়া ও যুব মন্ত্রণালয়, সুপ্রিম কমিটি ফর ডেলিভারি অ্যান্ড লেগ্যাসি এবং স্থানীয় বিশ্বকাপ আয়োজক কমিটি।
মাজায়েন ক্লাবের সভাপতি হামাদ জাবের আল আতবা রয়টার্সকে বলেন, ধারণাটি ফুটবল বিশ্বকাপের মতোই। আমরা উটের সৌন্দর্য বিশ্বকাপ আয়োজন করেছি।
এতে অংশ নেয় বিভিন্ন ধরনের উট। আল আতবা বলেন, কালো উটগুলোকে শরীরের আকার, মাথা এবং কানের অবস্থান অনুসারে বিচার করা হয়। তবে মাগহাতের ধরনের উটের ক্ষেত্রে আমরা সমানুপাতিকতা দেখি। যেমন- কানগুলো নিচে নেমে যাওয়া, সোজা না দাঁড়িয়ে থাকা উচিত। মুখ কীভাবে বাঁকা তাও দেখা হয়।
তবে প্রতিযোগিতা শুরুর আগে জালিয়াতি এড়াতে বিশেষজ্ঞরা এক্স-রে ব্যবহার করে উটগুলোকে পরীক্ষা করেন। অস্ত্রোপচার করে পশুগুলোকে উন্নত করা হয়েছে কি না তা দেখেছেন তারা।
শুক্রবার শ্রেষ্ঠত্বের জন্য সৌন্দর্যের লড়াইয়ে নেমেছিল মোট ১৬টি উট। শেষপর্যন্ত এতে বিজয়ী হয় নাজা। এর দেখভাল করা পরিবারের সদস্য জসিম আল কুয়ারি মজা করে বলেন, আমি ভেবেছিলাম আমাদের উট রোনালদো-মেসির চেয়েও ভালো।
মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে এ ধরনের প্রতিযোগিতা প্রায়ই দেখা যায়। তবে গত বছর সৌদি আরবে উটের সৌন্দর্য প্রতিযোগিতায় প্রতারণার ছড়াছড়ি হয়ে গিয়েছিল। সেসময় ৪৩টি উটকে বোটক্স ইনজেকশন এবং অন্যান্য প্রসাধনী ব্যবহারের জন্য প্রতিযোগিতার অযোগ্য ঘোষণা করেছিল আয়োজকরা।