ভারতের তৃতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা পদ্মভূষণ পেয়েছেন ইন্টারনেট সার্চ ইঞ্জিন গুগল ও সফটওয়্যার কোম্পানি অ্যালফাবেটের শীর্ষ নির্বাহী সুন্দর পিচাই। শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের স্যান ফ্রান্সিসকো শহরে তাকে এই সম্মাননা প্রদান করেন যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত ভারতের দূত তরণজিৎ সিং সান্ধু।
নিজের টুইটার অ্যাকাউন্টে সুন্দর পিচাইকে পদ্মভূষণ প্রদানের ছবি টুইট করে সান্ধু লিখেছেন, ‘সান ফ্রান্সিসকোয় গুগলের সিইও সুন্দর পিচাইকে পদ্মভূষণ হস্তান্তর করতে পেরে আমরা আপ্লুত। মাদুরাই থেকে মাউন্টেন ভিউ পর্যন্ত তার অনুপ্রেরণামূলক যাত্রা ভারত-আমেরিকার অর্থনৈতিক এবং প্রযুক্তিগত সম্পর্ককে শক্তিশালী করেছে। তিনি বিশ্বব্যাপী উদ্ভাবনে ভারতীয় প্রতিভার অবদানকে নিশ্চিত করেছেন।’
আগামী বছর ২৬ জানুয়ারি ৭৩ তম প্রজাতন্ত্র দিবস উদয়াপন করবে ভারত। দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আসন্ন প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষ্যে সুন্দর পিচাইকে এই সম্মাননা প্রদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।
পদ্মভূষণ পাওয়ার পর নিজের ব্লগে পিচাই লেখেন, ‘ভারতের সরকারের পক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের নিযুক্ত ভারতের দূত তরণজিৎ সিং সান্ধু এবং কনসাল জেনারেল প্রসাদ আমাকে পদ্মভূষণ প্রদান করেছেন। আমি তাদের ধন্যবাদ জানাতে চাই। এই অপরিমেয় সম্মান প্রদানের জন্য আমি ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার ও জনগণের প্রতি গভীরভাবে কৃতজ্ঞ। এভাবে সম্মানিত হওয়া আমার জন্য অবিশ্বাস্যভাবে অর্থপূর্ণ এবং এই অর্জন আমাকে সামনে এগিয়ে চলার প্রেরণা যোগাবে। ভারত আমাকে তৈরি করেছে এবং এই দেশ আমার অস্তিত্বের অংশ। আমি যেখানেই যাই, মনে সবসময়ই ভারত জেগে থাকে।’
পদ্মভূষণ প্রাপ্তির পর নিজের বাবা-মাকে স্মরণ করেছেন গুগুলের সিইও। এ প্রসঙ্গে ব্লগে তিনি লেখেন, ‘আমি ভাগ্যবান যে, এমন একটি পরিবারে জন্মেছি যাঁরা শিক্ষার উপর আলাদা গুরুত্ব দিতেন। আমি কৃতজ্ঞ আমার বাবা-মায়ের কাছে। আমার ভবিষ্যতের জন্য অনেক ত্যাগ স্বীকার করতে হয়েছে তাদের।’
সুন্দর পিচাই ওরফে পিচাই সুন্দর রাজনের জন্ম ১৯৭২ সালের ১২ জুলাই। ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য তামিলনাড়ুর মাদুরাইয়ে তার পৈতৃক বাড়ি।
খড়্গপুর আইআইটির থেকে স্নাতক পাস করা পিচাইয়ের গুগলে যাত্রা শুরু হয়েছিল ২০০৪ সালে। প্রথমে গুগল ক্রোম, ক্রোম, ওএস প্রভৃতি নিয়ে কাজ শুরু করেন তিনি। পরে ওই সংস্থারই সিইও নিযুক্ত হন।
নিজের ব্লগে পিচাই বলেন, ‘ভারত এবং গুগল সংস্থার মধ্যে সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে আমার উদ্যোগ অব্যাহত থাকবে।