ঢাকা ১১:০০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৫, ৭ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে ক্ষতিগ্রস্তদের অবস্থান কর্মসূচি মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষাহল পরিদর্শনে গিয়ে ছবি তুলে ফেসবুকে আপলোড কুমিল্লায় বিএসটিআই ও জেলা প্রশাসনের যৌথ অভিযান, ২ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা কুমিল্লায় ৯৭৫ বোতল ফেন্সিডিলসহ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব লডাঙ্গায় মাছ চোর সন্দেহে একজনকে পিটিয়ে হত্যা চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এলাকায় র‍্যাব ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে ১১ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে জেল-জরিমানা। অপ্রত্যাশিত ঘটনার দ্বারা শেষ হলো গোয়ানঘাটের আন্তঃ ইউনিয়ন অনূর্ধ্ব ১৭ এর (বালক) ফুটবলের ফাইনাল ম্যাচ বোরহানউদ্দিন সাংস্কৃতিক সংসদ কমিটি গঠন রসিক মেয়র কে দুদকের চিঠি সরিষার ক্ষেতের সৌন্দর্যের আড়ালে ভয়ংকর রাসেল ভাইপার

বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজে অনিয়ম,দুর্নীতি ও লুটপাট বন্ধের দাবিতে দুর্গাপুরে মানববন্ধন।

নেত্রকোণার দুর্গাপুর উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজে চলমান অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। দুর্গাপুর ইউনিয়নের সর্বস্তরের জনগণের আয়োজনে ২০জানুয়ারি রোজ সোমবার দুপুরে উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে চলমান বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে নানা অনিয়ম,দুর্নীতি ও লুটপাট বন্ধের দাবি জানানো হয়৷

এই মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন- দুর্গাপুর ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক মো: ফজলুল হক,সিনিয়র যুগ্ন আহ্বায়ক মো: রফিকুল ইসলাম বাদশা,উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মির্জা নজরুল,শিক্ষক মোস্তাক আহমেদ,ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য সচিব বোরহান উদ্দিন,ইউনিয়ন যুবদলের সিনিয়র যুগ্ন আহ্বায়ক মো: জালাল উদ্দিন এবং শ্রমিক দলের সাবেক সভাপতি শফিকুল ইসলাম বাবুল।

মানববন্ধন শেষে ইউএনওর মাধ্যমে জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
স্মারকলিপিতে বলা হয়,দুর্গাপুর উপজেলার ২নং দুর্গাপুর ইউনিয়নে বিভিন্ন স্থানে ছোট-বড় ব্রীজ নির্মাণের কাজ চলমান রয়েছে,তাছাড়া ফারংপাড়া বটতলা সোমেশ্বরী নদীর বেড়িবাঁধ নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। এসব কাজে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানগুলো কাজের প্রাক্কলন অনুযায়ী গুণগত মান ধরে রাখছে না। অত্যন্ত নিম্নমানের সিমেন্ট এবং ঢালাইয়ের জন্য প্রাক্কলন অনুযায়ী ২.৫ বালুর পরিবর্তে অত্যন্ত নিম্ন মানের বালু দিয়ে ব্রীজের পাইলিংয়ে ঢালাই দেয়া হচ্ছে। ৪২০ গ্রেড রডের পরিবর্তে একেবারে নিম্নমানের রড ব্যবহার করা হচ্ছে। বিভিন্ন ব্রীজের পাইলিংয়ের গভীরতা ৪৫ ফুট এর পরিবর্তে-২০/২৫ ফুট পাইলিং করে নামকাওয়াস্তে কাজ সেরে যাচ্ছে। যার ফলে ব্রীজের কাজগুলোর গুণগত মান অক্ষুন্ন থাকছে না। এই নিম্নমানের ব্রীজগুলো অচীরেই সামান্য পাহাড়ি ঢলের স্রোতে ধ্বসে পড়ার সম্ভবনা আছে। এতে করে জন দুর্ভোগ আরো বৃদ্ধি হবে, পাশাপাশি সরকারি অর্থের মারাত্মক অপচয় হবে।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে ক্ষতিগ্রস্তদের অবস্থান কর্মসূচি

বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজে অনিয়ম,দুর্নীতি ও লুটপাট বন্ধের দাবিতে দুর্গাপুরে মানববন্ধন।

আপডেট সময় ০৪:৫৩:৩২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৫

নেত্রকোণার দুর্গাপুর উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজে চলমান অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। দুর্গাপুর ইউনিয়নের সর্বস্তরের জনগণের আয়োজনে ২০জানুয়ারি রোজ সোমবার দুপুরে উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে চলমান বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে নানা অনিয়ম,দুর্নীতি ও লুটপাট বন্ধের দাবি জানানো হয়৷

এই মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন- দুর্গাপুর ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক মো: ফজলুল হক,সিনিয়র যুগ্ন আহ্বায়ক মো: রফিকুল ইসলাম বাদশা,উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মির্জা নজরুল,শিক্ষক মোস্তাক আহমেদ,ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য সচিব বোরহান উদ্দিন,ইউনিয়ন যুবদলের সিনিয়র যুগ্ন আহ্বায়ক মো: জালাল উদ্দিন এবং শ্রমিক দলের সাবেক সভাপতি শফিকুল ইসলাম বাবুল।

মানববন্ধন শেষে ইউএনওর মাধ্যমে জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
স্মারকলিপিতে বলা হয়,দুর্গাপুর উপজেলার ২নং দুর্গাপুর ইউনিয়নে বিভিন্ন স্থানে ছোট-বড় ব্রীজ নির্মাণের কাজ চলমান রয়েছে,তাছাড়া ফারংপাড়া বটতলা সোমেশ্বরী নদীর বেড়িবাঁধ নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। এসব কাজে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানগুলো কাজের প্রাক্কলন অনুযায়ী গুণগত মান ধরে রাখছে না। অত্যন্ত নিম্নমানের সিমেন্ট এবং ঢালাইয়ের জন্য প্রাক্কলন অনুযায়ী ২.৫ বালুর পরিবর্তে অত্যন্ত নিম্ন মানের বালু দিয়ে ব্রীজের পাইলিংয়ে ঢালাই দেয়া হচ্ছে। ৪২০ গ্রেড রডের পরিবর্তে একেবারে নিম্নমানের রড ব্যবহার করা হচ্ছে। বিভিন্ন ব্রীজের পাইলিংয়ের গভীরতা ৪৫ ফুট এর পরিবর্তে-২০/২৫ ফুট পাইলিং করে নামকাওয়াস্তে কাজ সেরে যাচ্ছে। যার ফলে ব্রীজের কাজগুলোর গুণগত মান অক্ষুন্ন থাকছে না। এই নিম্নমানের ব্রীজগুলো অচীরেই সামান্য পাহাড়ি ঢলের স্রোতে ধ্বসে পড়ার সম্ভবনা আছে। এতে করে জন দুর্ভোগ আরো বৃদ্ধি হবে, পাশাপাশি সরকারি অর্থের মারাত্মক অপচয় হবে।