ঢাকা ০৫:৪১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪, ৭ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
নাটোরের সিংড়া কর্তব্যরত চিকিৎসক শিবলী নোমান শুভ নামে এক চিকিৎসককে লাঞ্ছিত ঘটনায় ২জন গ্রেতার একমাস মুম্বাইয়ে থাকবেন শাকিব, সঙ্গে কি ইধিকাও যাচ্ছেন? গাইবান্ধায় ভুয়া প্রেসক্লাব খুলে কথিত সাংবাদিকরা হেনাস্তা করছে সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারী ও ব্যবসায়ীদের সাবেক এমপি প্রিন্সের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা পঞ্চদশ সংশোধনী বৈধতার বিষয়ে হাইকোর্টে চূড়ান্ত শুনানি ৩০ অক্টোবর অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে আওয়ামীলীগের ষড়যন্ত্র জনগণ রুখে দাঁড়াবে শাহজাহান চৌধুরী দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতিরোধে সিন্ডিকেট ভাঙার বিকল্প নেই আনোয়ার আলম চৌধুরী বিস্ফোরক ও হত্যা চেষ্টা মামলায় গ্রেফতার ব্যারিস্টার সুমন নিরাপদ সড়ক পরিবহণ ব্যবস্থা রাষ্ট্রের অন্যতম নিয়ামক: রাষ্ট্রপতি ব্যারিস্টার সুমন ৫ দিনের রিমান্ডে

সেপটিক ট্যাংকে পড়ে প্রাণ গেল ৩ জনের

রংপুরে মিঠাপুকুরে সেপটিক ট্যাংকে পড়ে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের মধ্যে দুজন একই পরিবারের বলে জানা গেছে।

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) সকাল ৬টার দিকে উপজেলার ১৩নং শাল্টি গোপালপুর ইউনিয়নের ধাপ উদয়পুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মিঠাপুকুর থানার ওসি ফেরদৌস ওয়াহিদ।

নিহতরা হলেন- ওই গ্রামের বাদশা মিয়ার স্ত্রী দেলোয়ার বেগম (৫৫), তার ছেলে ইদা মিয়া (৩৫) ও প্রতিবেশি তবারক হোসেনের ছেলে ইবলুল মিয়া (৩৫)। দেলোয়ারা বেগম ও ইদা মিয়া সম্পর্কে মা-ছেলে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, ধাপ উপদয়পুর কায়েমের বাজার এলাকার দেলোয়ারা বেগম সকালে রান্নার জন্য বাড়ির পাশে লাউ গাছের পাতা তুলতে যান। এসময় তিনি অসাবধানতা বশত. টয়লেটের সেফটি ট্যাংকে পড়ে যায়। খবর পেয়ে বাড়ির লোকজন ছুটে এসে তাকে বাঁচানোর চেষ্টা করেন। ওই সেফটি ট্যাংকে নেমে পড়েন ছেলে ইদা মিয়া। তিনিও সেখানে অজ্ঞান হয়ে পড়েন। তাদেরকে বাঁচাতে মই দিয়ে নিচে নেমে পড়েন প্রতিবেশি তবারক মিয়া। তারও কোনো সাড়া শব্দ না পেয়ে এলাকাবাসী শঠিবাড়ী ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সদস্যদের খবর দেন। প্রায় ঘণ্টাখানেক পড়ে তারা গিয়ে ৩ জনকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করেন।

প্রতিবেশি মনজুর হোসেন বলেন, দোলোয়ার বেগম সকালের রান্নার জন্য লাউ গাছের পাতা তুলতে গিয়ে সেফটি ট্যাংকে পড়ে যায়। তাকে বাঁচাতে ছেলে ইদা মিয়া সেখানে নেমে পড়েন। তাদের দুজনের সাড়াশব্দ না পেয়ে প্রতিবেশি ইবলুল মিয়া নেমে পড়েন। তিনিও সেখানে আটকে যান। পরে ফায়ার সার্ভিসের লোকজন এসে তাদেরকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করে।

আরেক প্রতিবেশি আশিকুর রহমান বলেন, ওই সেফটি ট্যাংকটি ছিল কার্বন মনোক্সাইডে পরিপূর্ণ। এই গ্যাসে তাদের মৃত্যু হতে পারে।

গোপালপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হারুন-অর রশিদ বলেন, মুলত. দুর্ঘটনাবশত মা দেলোয়ারা বেগম সেফটি ট্যাংকে পড়ে যায়। তাকে বাঁচাতে ছেলে ও একজন প্রতিবেশি সেখানে নেমে পড়েন। পরে ৩ জনেই মৃত্যুবরণ করেন।

মিঠাপুকুর থানার ওসি ফেরদৌস ওয়াহিদ বলেন, সেফটি ট্যাংকে পড়ে তাদের ৩ জনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।

 

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

নাটোরের সিংড়া কর্তব্যরত চিকিৎসক শিবলী নোমান শুভ নামে এক চিকিৎসককে লাঞ্ছিত ঘটনায় ২জন গ্রেতার

সেপটিক ট্যাংকে পড়ে প্রাণ গেল ৩ জনের

আপডেট সময় ১০:৩৭:১১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ জুলাই ২০২৪

রংপুরে মিঠাপুকুরে সেপটিক ট্যাংকে পড়ে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের মধ্যে দুজন একই পরিবারের বলে জানা গেছে।

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) সকাল ৬টার দিকে উপজেলার ১৩নং শাল্টি গোপালপুর ইউনিয়নের ধাপ উদয়পুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মিঠাপুকুর থানার ওসি ফেরদৌস ওয়াহিদ।

নিহতরা হলেন- ওই গ্রামের বাদশা মিয়ার স্ত্রী দেলোয়ার বেগম (৫৫), তার ছেলে ইদা মিয়া (৩৫) ও প্রতিবেশি তবারক হোসেনের ছেলে ইবলুল মিয়া (৩৫)। দেলোয়ারা বেগম ও ইদা মিয়া সম্পর্কে মা-ছেলে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, ধাপ উপদয়পুর কায়েমের বাজার এলাকার দেলোয়ারা বেগম সকালে রান্নার জন্য বাড়ির পাশে লাউ গাছের পাতা তুলতে যান। এসময় তিনি অসাবধানতা বশত. টয়লেটের সেফটি ট্যাংকে পড়ে যায়। খবর পেয়ে বাড়ির লোকজন ছুটে এসে তাকে বাঁচানোর চেষ্টা করেন। ওই সেফটি ট্যাংকে নেমে পড়েন ছেলে ইদা মিয়া। তিনিও সেখানে অজ্ঞান হয়ে পড়েন। তাদেরকে বাঁচাতে মই দিয়ে নিচে নেমে পড়েন প্রতিবেশি তবারক মিয়া। তারও কোনো সাড়া শব্দ না পেয়ে এলাকাবাসী শঠিবাড়ী ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সদস্যদের খবর দেন। প্রায় ঘণ্টাখানেক পড়ে তারা গিয়ে ৩ জনকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করেন।

প্রতিবেশি মনজুর হোসেন বলেন, দোলোয়ার বেগম সকালের রান্নার জন্য লাউ গাছের পাতা তুলতে গিয়ে সেফটি ট্যাংকে পড়ে যায়। তাকে বাঁচাতে ছেলে ইদা মিয়া সেখানে নেমে পড়েন। তাদের দুজনের সাড়াশব্দ না পেয়ে প্রতিবেশি ইবলুল মিয়া নেমে পড়েন। তিনিও সেখানে আটকে যান। পরে ফায়ার সার্ভিসের লোকজন এসে তাদেরকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করে।

আরেক প্রতিবেশি আশিকুর রহমান বলেন, ওই সেফটি ট্যাংকটি ছিল কার্বন মনোক্সাইডে পরিপূর্ণ। এই গ্যাসে তাদের মৃত্যু হতে পারে।

গোপালপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হারুন-অর রশিদ বলেন, মুলত. দুর্ঘটনাবশত মা দেলোয়ারা বেগম সেফটি ট্যাংকে পড়ে যায়। তাকে বাঁচাতে ছেলে ও একজন প্রতিবেশি সেখানে নেমে পড়েন। পরে ৩ জনেই মৃত্যুবরণ করেন।

মিঠাপুকুর থানার ওসি ফেরদৌস ওয়াহিদ বলেন, সেফটি ট্যাংকে পড়ে তাদের ৩ জনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।