ঢাকা ০৯:৪৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
নেত্রকোনায় কলেজ শিক্ষকের লাশ উদ্ধার, পুলিশ বলছে হত্যা লালমনিরহাটে কলা চাষে ঝুঁকছে চাষীরা। গরু চুরি করে ভূরিভোজন মাদারগঞ্জে সেই দম্পতিসহ তিনজনকে বিএনপি থেকে বহিষ্কার মাধবপুরে বিএনপি নেতাকর্মীদের মিলন মেলা ও আলোচনা সভা ঈশ্বরদীতে গভীর রাতে অসহায় ও শীতার্ত মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ করছেন, ঈশ্বরদী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ শহিদুল ইসলাম শহীদ। ৩০ লক্ষাধিক টাকার আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তে প্রমাণিত: প্রধান শিক্ষক শফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে : গোয়াইনঘাটে ৪৬তম জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহ উদ্বোধন ভোলা জেলার উন্নয়ন শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত বাংলাদেশের প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে খেলাধুলা বাধ্যতামূলক করা হবে : আমিনুল হক মহিলালীগ নেত্রী ও সাবেক ভাইস চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও এনজিওকর্মীকে প্রাণনাশের হুমকি

সেপটিক ট্যাংকে পড়ে প্রাণ গেল ৩ জনের

রংপুরে মিঠাপুকুরে সেপটিক ট্যাংকে পড়ে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের মধ্যে দুজন একই পরিবারের বলে জানা গেছে।

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) সকাল ৬টার দিকে উপজেলার ১৩নং শাল্টি গোপালপুর ইউনিয়নের ধাপ উদয়পুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মিঠাপুকুর থানার ওসি ফেরদৌস ওয়াহিদ।

নিহতরা হলেন- ওই গ্রামের বাদশা মিয়ার স্ত্রী দেলোয়ার বেগম (৫৫), তার ছেলে ইদা মিয়া (৩৫) ও প্রতিবেশি তবারক হোসেনের ছেলে ইবলুল মিয়া (৩৫)। দেলোয়ারা বেগম ও ইদা মিয়া সম্পর্কে মা-ছেলে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, ধাপ উপদয়পুর কায়েমের বাজার এলাকার দেলোয়ারা বেগম সকালে রান্নার জন্য বাড়ির পাশে লাউ গাছের পাতা তুলতে যান। এসময় তিনি অসাবধানতা বশত. টয়লেটের সেফটি ট্যাংকে পড়ে যায়। খবর পেয়ে বাড়ির লোকজন ছুটে এসে তাকে বাঁচানোর চেষ্টা করেন। ওই সেফটি ট্যাংকে নেমে পড়েন ছেলে ইদা মিয়া। তিনিও সেখানে অজ্ঞান হয়ে পড়েন। তাদেরকে বাঁচাতে মই দিয়ে নিচে নেমে পড়েন প্রতিবেশি তবারক মিয়া। তারও কোনো সাড়া শব্দ না পেয়ে এলাকাবাসী শঠিবাড়ী ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সদস্যদের খবর দেন। প্রায় ঘণ্টাখানেক পড়ে তারা গিয়ে ৩ জনকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করেন।

প্রতিবেশি মনজুর হোসেন বলেন, দোলোয়ার বেগম সকালের রান্নার জন্য লাউ গাছের পাতা তুলতে গিয়ে সেফটি ট্যাংকে পড়ে যায়। তাকে বাঁচাতে ছেলে ইদা মিয়া সেখানে নেমে পড়েন। তাদের দুজনের সাড়াশব্দ না পেয়ে প্রতিবেশি ইবলুল মিয়া নেমে পড়েন। তিনিও সেখানে আটকে যান। পরে ফায়ার সার্ভিসের লোকজন এসে তাদেরকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করে।

আরেক প্রতিবেশি আশিকুর রহমান বলেন, ওই সেফটি ট্যাংকটি ছিল কার্বন মনোক্সাইডে পরিপূর্ণ। এই গ্যাসে তাদের মৃত্যু হতে পারে।

গোপালপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হারুন-অর রশিদ বলেন, মুলত. দুর্ঘটনাবশত মা দেলোয়ারা বেগম সেফটি ট্যাংকে পড়ে যায়। তাকে বাঁচাতে ছেলে ও একজন প্রতিবেশি সেখানে নেমে পড়েন। পরে ৩ জনেই মৃত্যুবরণ করেন।

মিঠাপুকুর থানার ওসি ফেরদৌস ওয়াহিদ বলেন, সেফটি ট্যাংকে পড়ে তাদের ৩ জনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।

 

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

নেত্রকোনায় কলেজ শিক্ষকের লাশ উদ্ধার, পুলিশ বলছে হত্যা

সেপটিক ট্যাংকে পড়ে প্রাণ গেল ৩ জনের

আপডেট সময় ১০:৩৭:১১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ জুলাই ২০২৪

রংপুরে মিঠাপুকুরে সেপটিক ট্যাংকে পড়ে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের মধ্যে দুজন একই পরিবারের বলে জানা গেছে।

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) সকাল ৬টার দিকে উপজেলার ১৩নং শাল্টি গোপালপুর ইউনিয়নের ধাপ উদয়পুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মিঠাপুকুর থানার ওসি ফেরদৌস ওয়াহিদ।

নিহতরা হলেন- ওই গ্রামের বাদশা মিয়ার স্ত্রী দেলোয়ার বেগম (৫৫), তার ছেলে ইদা মিয়া (৩৫) ও প্রতিবেশি তবারক হোসেনের ছেলে ইবলুল মিয়া (৩৫)। দেলোয়ারা বেগম ও ইদা মিয়া সম্পর্কে মা-ছেলে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, ধাপ উপদয়পুর কায়েমের বাজার এলাকার দেলোয়ারা বেগম সকালে রান্নার জন্য বাড়ির পাশে লাউ গাছের পাতা তুলতে যান। এসময় তিনি অসাবধানতা বশত. টয়লেটের সেফটি ট্যাংকে পড়ে যায়। খবর পেয়ে বাড়ির লোকজন ছুটে এসে তাকে বাঁচানোর চেষ্টা করেন। ওই সেফটি ট্যাংকে নেমে পড়েন ছেলে ইদা মিয়া। তিনিও সেখানে অজ্ঞান হয়ে পড়েন। তাদেরকে বাঁচাতে মই দিয়ে নিচে নেমে পড়েন প্রতিবেশি তবারক মিয়া। তারও কোনো সাড়া শব্দ না পেয়ে এলাকাবাসী শঠিবাড়ী ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সদস্যদের খবর দেন। প্রায় ঘণ্টাখানেক পড়ে তারা গিয়ে ৩ জনকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করেন।

প্রতিবেশি মনজুর হোসেন বলেন, দোলোয়ার বেগম সকালের রান্নার জন্য লাউ গাছের পাতা তুলতে গিয়ে সেফটি ট্যাংকে পড়ে যায়। তাকে বাঁচাতে ছেলে ইদা মিয়া সেখানে নেমে পড়েন। তাদের দুজনের সাড়াশব্দ না পেয়ে প্রতিবেশি ইবলুল মিয়া নেমে পড়েন। তিনিও সেখানে আটকে যান। পরে ফায়ার সার্ভিসের লোকজন এসে তাদেরকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করে।

আরেক প্রতিবেশি আশিকুর রহমান বলেন, ওই সেফটি ট্যাংকটি ছিল কার্বন মনোক্সাইডে পরিপূর্ণ। এই গ্যাসে তাদের মৃত্যু হতে পারে।

গোপালপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হারুন-অর রশিদ বলেন, মুলত. দুর্ঘটনাবশত মা দেলোয়ারা বেগম সেফটি ট্যাংকে পড়ে যায়। তাকে বাঁচাতে ছেলে ও একজন প্রতিবেশি সেখানে নেমে পড়েন। পরে ৩ জনেই মৃত্যুবরণ করেন।

মিঠাপুকুর থানার ওসি ফেরদৌস ওয়াহিদ বলেন, সেফটি ট্যাংকে পড়ে তাদের ৩ জনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।