ঢাকা ১০:৩৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
মুরাদনগরে সাংবাদিকদের সাথে জামায়াতের মতবিনিময় ইনসাফ ও কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠাই মূল লক্ষ্য – মুরাদনগর জামায়াতের আমির আ ন ম ইলিয়াস দুর্নীতিকে কোনো অবস্থাতেই সহ্য করা হবে না – বিজিবিকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সমাজকল্যাণমন্ত্রীর আশীর্বাদে মিজানের সম্পদের পাহাড় জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা চট্টগ্রাম মহানগরী কমিটির উদ্দেগে ২৮ শে ডিসেম্বর মহা সন্মেলনের প্রস্তুতি সভা অনুষ্টিত চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড শিপ ব্রেকিং ইয়ার্ডে বিস্ফোরণ, আহত ১২ বেলাবতে তারেক রহমানের ১৭তম কারামুক্তি দিবস উপলক্ষে শীর্ষক আলোচনা দীর্ঘ সাত বছর পর আজ ৭ সেপ্টেম্বর দেশে ফিরে আসেন ডুবাই প্রবাসী বিশিষ্ট ব্যবসায়ী নূরনবী ভুইয়া ক্রেস্ট কেলেঙ্কারির বাবুলের ১ সপ্তাহে তিন পদোন্নতি গোয়াইনঘাটে ৯০ বস্তা ভারতীয় চিনি জব্দ: ধরা যায়নি কাউকে গৃহযুদ্ধে জর্জরিত মিয়ানমারের ভবিষ্যৎ নিয়ে চীন-মার্কিন দ্বন্দ্ব

মিরপুর জনসেবা মাতৃমঙ্গল ক্লিনিকটির বিরুদ্ধে অনিয়ম ও ভুল চিকিৎসার অভিযোগ

  • মাহমুদুল হাসান
  • আপডেট সময় ০২:৪৪:০৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ জুন ২০২৪
  • ৫৮৩ বার পড়া হয়েছে

রাজধানীর মিরপুর থানাধীন ৩ নাম্বার ওয়ার্ড অন্তর্গত সেকশন-১০, ব্লক-সি, রোড-২০, বাসা-১১, নীচ তলায় অবস্থিত জনসেবা মাতৃমঙ্গল ও শিশু কল্যাণ সংস্থা। ক্লিনিক ২৪ ঘণ্টা খোলা লেখা আছে বাড়িটির সামনে বড় আকারের সাইনবোর্ডে। উক্ত সংস্থা ও ক্লিনিকটির বিরুদ্ধে অনিয়ম, ভুল চিকিৎসারও অভিযোগ রয়েছে। ওই ক্লিনিকে প্রসবকালীন সময় গর্ভে জীবিত থাকা অবস্থায় একটি শিশুর মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে।

কাফরুল থানাধীন ৪ নাম্বার ওয়ার্ডের অন্তর্গত রোড-৪, ব্লক-বি, বাসা-৪৮, সেকশন ১৩ দরিদ্র এক দর্জি কাজ করা কর্মী ঝন্টু মিয়ার স্ত্রী বিউটি বেগম লিখিত অভিযোগ করে জনস্বার্থে দুর্নীতির তথ্য সংগ্রহ ও প্রকাশকারীর পরিচালক মো. গোলাম রাব্বানীর কাছে। ওই ঘটনার ব্যাপারে জনস্বার্থের পরিচালকের জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঝন্টু মিয়া দর্জী কর্মচারী প্রতিবেশী ভাই মো. জালাল উদ্দিন এর বাসার ভাড়াটিয়া। চলতি বছরে ২০ মে রাতে বাসার সামনে মো. জালাল উদ্দিন ও আমরা আরো অনেক লোকজন বসা অবস্থায় হঠাৎ ঝন্টু মিয়া এসে বলে ভাই আমার সন্তান প্রসব হওয়ার কথা ছিল । কিন্তু গর্ভাবস্থায় আমার সন্তানের বয়স ছিল নয় মাস ৪৫ দিন। ঐদিন সকালে যখন জনসেবা মাতৃমঙ্গল ও শিশু কল্যাণ সংস্থায় ডেলিভারি করার জন্য নিয়ে যাই তখনও মায়ের কোন প্রসব ব্যথা ছিল না । এবং আমার সন্তান সুস্থ ছিল। ঐদিন সকাল ৮ ঘটিকার সময় হইতে গর্ভবতী মাকে একটি স্যালাইন ও স্যালাইনের উপর চারটা ইঞ্জেকশন পুশ করে দেয়। দুপুর গড়িয়ে বিকাল হওয়ার পথে তখনও আমরা বলি আমরা রোগীকে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নিয়ে সিজার করে বাচ্চা গর্ভপাত করা। কিন্তু তারা আর একটু দেখি বলতে বলতে কিছুক্ষণ পর আমার স্ত্রী বলে আমার পেট শক্ত হয়ে গেছে বাচ্চা নড়াচড়া আর করে না।

 

এমতাবস্থায় তাহারা বলে- সিজার করাতে প্রায় ২৫০০০ টাকা খরচ হবে এত টাকা তুমি পাবে কোথায়? দেখো নরমাল ডেলিভারি হবে। পরবর্তীতে যখন আমরা আবারো সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের কথা বলি তখন ওই ক্লিনিকের ম্যানেজার মিসেস সুলতানা বেগম ও তার মেয়ে ডিপ্লোমা নার্স লাভলী আক্তার বলে মিরপুর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে আমরা বলে দিলে সিজার করে বাচ্চা বের করলে ৫ হাজার কম ২০ হাজার টাকায় করানো যাবে। আমরা রাজি না হওয়ায় তাদের মাধ্যমে লালকুঠি মা ও শিশু মাতৃসদন হাসপাতালে কার্ড করেছিলাম। তারা বললো- চলো তোমাদের এই জায়গায় যেহেতু কার্ড করা তাই সিজার করার জন্য মাত্র ৩-৪ হাজার টাকা যাবে। মাগরিবের ওয়াক্তে লালকুঠি মা ও শিশু মাতৃ সদনহাসপাতালে নিয়ে যাই। প্রায় তিন ঘণ্টা আমার স্ত্রীর পেটে বাচ্চা বেঁচে আছে কিনা মাপার মেশিন দিয়ে মাপে। প্রায় তিন থেকে চার ঘণ্টা পরে বলে আমাদের সার্জিক্যাল ডাক্তার ম্যাডাম এখনো আসে নাই আপনারা সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নিয়ে যান। পরিশেষে আমরা সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার পেটে হাত দিয়েই বলে গর্ভে থাকা শিশুটি আর বেঁচে নেই। আপনারা আমার কথা বিশ্বাস করেন এবং আলট্রাসাউন্ড করে নিয়ে আসেন। রিপোর্ট বলে দিবে শিশুটি বেঁচে আছে নাকি মারা গেছে। আল্ট্রা করে ডাক্তারকে দেখালে তিনি বলেন বাচ্চাটি মারা গেছে।

 

অতঃপর আমার স্ত্রীর নরমাল ডেলিভারি হয় সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে। জনসেবা মাতৃমঙ্গল ও শিশু কল্যাণ সংস্থায় যাওয়ার ওদের মন গড়া চিকিৎসায় আমার স্ত্রীর গর্ভে থাকা জীবিত শিশুর প্রাণ গেল। মৌখিক অভিযোগ পেয়ে উক্ত ক্লিনিকটিতে এলাকার কিছু লোকজন যায়। ঘটনাস্থলে দেখে এবং আমাকে জানায় ক্লিনিকটিতে কোন ডাক্তার ছিল না। ডাক্তারের কোন চিহ্ন নেই। উক্ত ক্লিনিকে সরেজমিনে গিয়ে দায়িত্বরত ম্যানেজারকে জিজ্ঞাসাবাদ করলাম বর্তমানে কয়জন ডাক্তার বা নার্স রয়েছে। জবাবে সুলতানা বেগম নিজে ক্লিনিকটির ম্যানেজার আর তারই মেয়ে লাভলী আক্তার একজন ডিপ্লোমা নার্স বলে পরিচয় দেয়। নার্স লাভলীকে প্রথম প্রশ্ন করলাম আপনার এই ক্লিনিকটিতে কতজন ডাক্তার এবং নার্স কর্মরত আছে। নার্স লাভলী আক্তারের কথা মতে আমাদের যদি কোন রোগীর বেশি প্রয়োজন মনে করে লালকুঠি অথবা মিরপুর জেনারেল হাসপাতালে মোবাইল ফোনে কল করা হলে অবশেষে ডাক্তার ফ্রি থাকলে গাড়িতে আসতে যতক্ষণ সময় লাগে। আপনার ক্লিনিকে বিউটি আক্তারকে ভর্তি করা হয়েছিল এন্টি খাতাটা কোথায় সকাল কয়টার সময় তাহাকে ভর্তি করা হয়েছিল এবং তাকে সন্ধ্যা কয়টার সময় আপনার ক্লিনিক থেকে বের করে লাল কুঠি নিয়ে যাওয়া হয়। লাবনী আক্তার এন্টি খাতা দেখাতে পারিনি। এমনকি কোন ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়াই বিউটি আক্তারের শরীরে স্যালাইন ও ইনজেকশন পুশ করে। অভিযোগকারী কথা মতে স্যালাইন চলা অবস্থায় দুপুরের পরে একটি ট্যাবলেট ও গুড়া পাউডার খাওয়ানো হয় প্রসব ব্যথা উঠানোর জন্য। ক্লিনিকের বাহিরে ও ভিতরে দুই জায়গায় দেখা যায় তিনজন ডাক্তারের সাইনবোর্ড কিন্তু উক্ত ডাক্তার ওই ক্লিনিকে বসে না। এইদিকে অভিযোগকারীর কথামতে ১৯ মে রাতে তাহাকে লাবনী আক্তার উক্ত ক্লিনিকে আসার জন্য বলে এবং ওই রাতে বিউটি আক্তার কে দুইটি ইনজেকশন দিয়ে দেয় বলে ২০মে আপনার ডেলিভারি করাবো। ম্যানেজার সুলতানা বেগমের শিক্ষাগত যোগ্যতা জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি মেট্রিক পাস করিনি আর আমার মেয়ে লাবনী একজন ডিপ্লোমা নার্স ও সিটি কর্পোরেশনের বেক্সিনেটর। তাদের সাথে আলোচনা কালের সময় হঠাৎ করে একজন লোক এসে উপস্থিত হয় তার পরিচয় জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি ম্যানেজার সুলতানা বেগমের বোনের ছেলে আমি মিরপুর জেনারেল হাসপাতালে কর্মরত আছি ম্যানেজার হিসেবে। তিনি বলেন পারলে বিষয়টা এই জায়গাটাই শেষ করে দেওয়া যায় কিনা দেখেন। আমি পুনরায় তাহাকে জিজ্ঞেস করলাম তিনজন ডাক্তারের সাইনবোর্ড দেখলাম ডাক্তার আমিনুদ্দিন এমবিবিএস ডাক্তার জাহাঙ্গির আক্তার এমবিবিএস ডাক্তার আয়েশ সিদ্দিকা ইসলাম এ আই ইউ বি পি জি টি ইন জ্ঞান এন্ড অফ স এই তিনজন ডাক্তারের সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে রেখে মানুষকে ধোঁকা দিয়ে তারা সমাজসেবার নামে এক ধরনের অবৈধ ব্যবসা করে যাচ্ছেন আমি দেখব কি করা যায়। আমি সমাজসেবা অধিদপ্তরে গিয়ে দায়িত্বে থাকা আব্দুস সালাম সাহেবের কাছে বিষয়টা জানালাম তিনি আমাকে বলল আপনি দেখেন আমাদের সমাজসেবা অধিদপ্তরের দেয়া কোনো কমিটি আছে কিনা এবং আমাদের অধিদপ্তরের পারমিশন রেনু করা আছে কিনা যদি আমাদের অনুমোদন থাকে তাহলে আমরা অবশ্যই উক্ত সংস্থাকে আইনের আয়ত্তে নিয়ে আসবো। উক্ত ক্লিনিকে আমি মানবাধিকার সংস্থার সহকারী পরিচালক ও কেন্দ্রীয় কমিটির মেম্বার মো. আলী আর রাফি ও আজিজুল কে পাঠাই উক্ত ক্লিনিকটি সঠিকভাবে পরিচালনা করে কিনা। তাহারা উক্ত ক্লিনিকে সরজমিনের গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে ।

 

মানবাধিকার কর্মীদের তথ্য মতে উক্ত সংস্থাটি কোন ক্লিনিক হিসেবে গণ্য করা যায় না এটা কোন ব্যাচেলার বাস হিসেবে বলা যায়। বিউটি আক্তার একটু সুস্থ হওয়াতে তার কাছে জানতে চাইলাম আসলে ঘটনাটা আপনি আমাকে বলেন কি হয়েছিল ১৯ মে রাতে আপনার সাথে তার কথা অনুযায়ী ভাই আমরা যা আগেও বলেছি এখনও তাই বলি উনাদের ভুল চিকিৎসার জন্য আমার পেটের বাচ্চা দুপুর প্রায় দুইটা থেকে আড়াইটার ভিতরে হতে পারে ওই সময় দেখে আমার পেট শক্ত তাৎক্ষণিক ভাবে কয়েকজন মহিলা যারা প্রতিবেশী ও বিউটি আক্তার যে বাড়িতে ভাড়া থাকে সেই বাড়ির মালিকের স্ত্রী তাহারা বলেন ভাই আমরা সবাই ছিলাম রোগীর সাথে তারা কোন ডাক্তার ছাড়া ওই ক্লিনিকে বিউটিকে প্রসব ডেলিভারি করানোর জন্য তাদের মনমতো চিকিৎসা চালায় আমরা যখন দেখলাম বিউটি আমাদের বলে পেট শক্ত হয়ে গেছে বিকেলে আমরা বললাম এখন আর রোগী আপনার এ জায়গায় রাখবো না আমরা সরোয়ারদী হাসপাতালে নিয়ে যাবে তারা বলে না উনাকে লালকুঠি মা ও শিশু মাতৃ সনদে কাঠ করেছিলাম আমরা ডাক্তারের সাথে কথা বলেছি ওই জায়গায় ওনাকে সিজার করিয়ে বাচ্চা ডেলিভারি করব। যাইহোক আমরা বিউটি আক্তারের সাথে মা ও শিশু মাতৃ সনদ লালকুঠি যায় প্রায় তিন ঘণ্টা বিউটিকে একটা রুমে রাখে যেখানে আমাদের যেতে দেয় না এবং রাত নয়টা সময় বলে আমাদের এখনো সার্জিক্যাল ডাক্তার আসে নাই রোগীকে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নিয়ে যান সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার পেটে হাত দিয়ে বলে বাচ্চা মৃত আলট্রাসনো করে নিয়ে আসেন আলট্রাসনো করে নিয়ে যাওয়ার পর রিপোর্টে দেখা যায় বাচ্চা মৃত্যু এমত অবস্থায় ওই হাসপাতালে নরমাল ডেলিভারি করে মধ্যরাতে মৃত বাচ্চা বের করা হয়। তাই বিউটি আক্তার সহ তাদের স্বজন ও এলাকাবাসীর অভিযোগ ও সংস্থাটি আজ বিউটি আক্তারের সাথে যা করেছে পরবর্তীতে অন্য এক মায়ের সাথে একই কাজ করে যাবে তাই ম্যানেজার সুলতানা বেগম ও তার মেয়ে ডিপ্লোমা নার্স লাবনী আক্তারের বিচার হওয়া উচিত তাই উক্ত ঘটনাটি আপনার মাধ্যমে সরকারের কাছে দৃষ্টি আকর্ষণে অভিযোগটি দাখিল করিলাম। আমাদের অনুসন্ধান করে দেখতে পারি উক্ত ক্লিনিক টি পরিচালনা জনস্বার্থে ক্ষতিকারক একটি চক্র উক্ত ক্লিনিক থেকে সরকারি অনুদান ও গরিব অসহায় মানুষের কাছ থেকে ধোঁকা দিয়ে সরকারি নাম ব্যবহার করে বিভিন্ন হাসপাতালের সাথে কন্টাক করে রোগীকে নিয়ে ব্যবসা করে থাকে উক্ত ক্লিনিকের রোগী ভর্তি করার কোন এন্টি খাতা নেই। নেই কোন ডাক্তারের পরামর্শ। বলা যায় এক পরিবারের বাবা-মা ও মেয়ে এই তিনজনেই এই ক্লিনিক টির পরিচালনাকারী। তাই উক্ত জনসভা মাতৃমঙ্গল ও শিশু কল্যাণ সংস্থা নিবন্ধন নাম্বার ঢ-০৭৩৫৯/অধিভূক্তি নাম্বার-২১১/ও স্মারক নাম্বার-৬৬০ সরকার অনুমোদিত লাইসেন্স বাতিল করে অনিয়মকারী কর্মকর্তাদের দ্রুত আইনের আয়ত্তে নিয়ে এসে সরকারের প্রতি জনগণের ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধারের সংবাদটি প্রকাশ করা হয়। (অন্যায়ের চিত্র) পত্রিকা থেকে নেওয়া খবর।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মুরাদনগরে সাংবাদিকদের সাথে জামায়াতের মতবিনিময় ইনসাফ ও কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠাই মূল লক্ষ্য – মুরাদনগর জামায়াতের আমির আ ন ম ইলিয়াস

মিরপুর জনসেবা মাতৃমঙ্গল ক্লিনিকটির বিরুদ্ধে অনিয়ম ও ভুল চিকিৎসার অভিযোগ

আপডেট সময় ০২:৪৪:০৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ জুন ২০২৪

রাজধানীর মিরপুর থানাধীন ৩ নাম্বার ওয়ার্ড অন্তর্গত সেকশন-১০, ব্লক-সি, রোড-২০, বাসা-১১, নীচ তলায় অবস্থিত জনসেবা মাতৃমঙ্গল ও শিশু কল্যাণ সংস্থা। ক্লিনিক ২৪ ঘণ্টা খোলা লেখা আছে বাড়িটির সামনে বড় আকারের সাইনবোর্ডে। উক্ত সংস্থা ও ক্লিনিকটির বিরুদ্ধে অনিয়ম, ভুল চিকিৎসারও অভিযোগ রয়েছে। ওই ক্লিনিকে প্রসবকালীন সময় গর্ভে জীবিত থাকা অবস্থায় একটি শিশুর মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে।

কাফরুল থানাধীন ৪ নাম্বার ওয়ার্ডের অন্তর্গত রোড-৪, ব্লক-বি, বাসা-৪৮, সেকশন ১৩ দরিদ্র এক দর্জি কাজ করা কর্মী ঝন্টু মিয়ার স্ত্রী বিউটি বেগম লিখিত অভিযোগ করে জনস্বার্থে দুর্নীতির তথ্য সংগ্রহ ও প্রকাশকারীর পরিচালক মো. গোলাম রাব্বানীর কাছে। ওই ঘটনার ব্যাপারে জনস্বার্থের পরিচালকের জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঝন্টু মিয়া দর্জী কর্মচারী প্রতিবেশী ভাই মো. জালাল উদ্দিন এর বাসার ভাড়াটিয়া। চলতি বছরে ২০ মে রাতে বাসার সামনে মো. জালাল উদ্দিন ও আমরা আরো অনেক লোকজন বসা অবস্থায় হঠাৎ ঝন্টু মিয়া এসে বলে ভাই আমার সন্তান প্রসব হওয়ার কথা ছিল । কিন্তু গর্ভাবস্থায় আমার সন্তানের বয়স ছিল নয় মাস ৪৫ দিন। ঐদিন সকালে যখন জনসেবা মাতৃমঙ্গল ও শিশু কল্যাণ সংস্থায় ডেলিভারি করার জন্য নিয়ে যাই তখনও মায়ের কোন প্রসব ব্যথা ছিল না । এবং আমার সন্তান সুস্থ ছিল। ঐদিন সকাল ৮ ঘটিকার সময় হইতে গর্ভবতী মাকে একটি স্যালাইন ও স্যালাইনের উপর চারটা ইঞ্জেকশন পুশ করে দেয়। দুপুর গড়িয়ে বিকাল হওয়ার পথে তখনও আমরা বলি আমরা রোগীকে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নিয়ে সিজার করে বাচ্চা গর্ভপাত করা। কিন্তু তারা আর একটু দেখি বলতে বলতে কিছুক্ষণ পর আমার স্ত্রী বলে আমার পেট শক্ত হয়ে গেছে বাচ্চা নড়াচড়া আর করে না।

 

এমতাবস্থায় তাহারা বলে- সিজার করাতে প্রায় ২৫০০০ টাকা খরচ হবে এত টাকা তুমি পাবে কোথায়? দেখো নরমাল ডেলিভারি হবে। পরবর্তীতে যখন আমরা আবারো সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের কথা বলি তখন ওই ক্লিনিকের ম্যানেজার মিসেস সুলতানা বেগম ও তার মেয়ে ডিপ্লোমা নার্স লাভলী আক্তার বলে মিরপুর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে আমরা বলে দিলে সিজার করে বাচ্চা বের করলে ৫ হাজার কম ২০ হাজার টাকায় করানো যাবে। আমরা রাজি না হওয়ায় তাদের মাধ্যমে লালকুঠি মা ও শিশু মাতৃসদন হাসপাতালে কার্ড করেছিলাম। তারা বললো- চলো তোমাদের এই জায়গায় যেহেতু কার্ড করা তাই সিজার করার জন্য মাত্র ৩-৪ হাজার টাকা যাবে। মাগরিবের ওয়াক্তে লালকুঠি মা ও শিশু মাতৃ সদনহাসপাতালে নিয়ে যাই। প্রায় তিন ঘণ্টা আমার স্ত্রীর পেটে বাচ্চা বেঁচে আছে কিনা মাপার মেশিন দিয়ে মাপে। প্রায় তিন থেকে চার ঘণ্টা পরে বলে আমাদের সার্জিক্যাল ডাক্তার ম্যাডাম এখনো আসে নাই আপনারা সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নিয়ে যান। পরিশেষে আমরা সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার পেটে হাত দিয়েই বলে গর্ভে থাকা শিশুটি আর বেঁচে নেই। আপনারা আমার কথা বিশ্বাস করেন এবং আলট্রাসাউন্ড করে নিয়ে আসেন। রিপোর্ট বলে দিবে শিশুটি বেঁচে আছে নাকি মারা গেছে। আল্ট্রা করে ডাক্তারকে দেখালে তিনি বলেন বাচ্চাটি মারা গেছে।

 

অতঃপর আমার স্ত্রীর নরমাল ডেলিভারি হয় সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে। জনসেবা মাতৃমঙ্গল ও শিশু কল্যাণ সংস্থায় যাওয়ার ওদের মন গড়া চিকিৎসায় আমার স্ত্রীর গর্ভে থাকা জীবিত শিশুর প্রাণ গেল। মৌখিক অভিযোগ পেয়ে উক্ত ক্লিনিকটিতে এলাকার কিছু লোকজন যায়। ঘটনাস্থলে দেখে এবং আমাকে জানায় ক্লিনিকটিতে কোন ডাক্তার ছিল না। ডাক্তারের কোন চিহ্ন নেই। উক্ত ক্লিনিকে সরেজমিনে গিয়ে দায়িত্বরত ম্যানেজারকে জিজ্ঞাসাবাদ করলাম বর্তমানে কয়জন ডাক্তার বা নার্স রয়েছে। জবাবে সুলতানা বেগম নিজে ক্লিনিকটির ম্যানেজার আর তারই মেয়ে লাভলী আক্তার একজন ডিপ্লোমা নার্স বলে পরিচয় দেয়। নার্স লাভলীকে প্রথম প্রশ্ন করলাম আপনার এই ক্লিনিকটিতে কতজন ডাক্তার এবং নার্স কর্মরত আছে। নার্স লাভলী আক্তারের কথা মতে আমাদের যদি কোন রোগীর বেশি প্রয়োজন মনে করে লালকুঠি অথবা মিরপুর জেনারেল হাসপাতালে মোবাইল ফোনে কল করা হলে অবশেষে ডাক্তার ফ্রি থাকলে গাড়িতে আসতে যতক্ষণ সময় লাগে। আপনার ক্লিনিকে বিউটি আক্তারকে ভর্তি করা হয়েছিল এন্টি খাতাটা কোথায় সকাল কয়টার সময় তাহাকে ভর্তি করা হয়েছিল এবং তাকে সন্ধ্যা কয়টার সময় আপনার ক্লিনিক থেকে বের করে লাল কুঠি নিয়ে যাওয়া হয়। লাবনী আক্তার এন্টি খাতা দেখাতে পারিনি। এমনকি কোন ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়াই বিউটি আক্তারের শরীরে স্যালাইন ও ইনজেকশন পুশ করে। অভিযোগকারী কথা মতে স্যালাইন চলা অবস্থায় দুপুরের পরে একটি ট্যাবলেট ও গুড়া পাউডার খাওয়ানো হয় প্রসব ব্যথা উঠানোর জন্য। ক্লিনিকের বাহিরে ও ভিতরে দুই জায়গায় দেখা যায় তিনজন ডাক্তারের সাইনবোর্ড কিন্তু উক্ত ডাক্তার ওই ক্লিনিকে বসে না। এইদিকে অভিযোগকারীর কথামতে ১৯ মে রাতে তাহাকে লাবনী আক্তার উক্ত ক্লিনিকে আসার জন্য বলে এবং ওই রাতে বিউটি আক্তার কে দুইটি ইনজেকশন দিয়ে দেয় বলে ২০মে আপনার ডেলিভারি করাবো। ম্যানেজার সুলতানা বেগমের শিক্ষাগত যোগ্যতা জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি মেট্রিক পাস করিনি আর আমার মেয়ে লাবনী একজন ডিপ্লোমা নার্স ও সিটি কর্পোরেশনের বেক্সিনেটর। তাদের সাথে আলোচনা কালের সময় হঠাৎ করে একজন লোক এসে উপস্থিত হয় তার পরিচয় জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি ম্যানেজার সুলতানা বেগমের বোনের ছেলে আমি মিরপুর জেনারেল হাসপাতালে কর্মরত আছি ম্যানেজার হিসেবে। তিনি বলেন পারলে বিষয়টা এই জায়গাটাই শেষ করে দেওয়া যায় কিনা দেখেন। আমি পুনরায় তাহাকে জিজ্ঞেস করলাম তিনজন ডাক্তারের সাইনবোর্ড দেখলাম ডাক্তার আমিনুদ্দিন এমবিবিএস ডাক্তার জাহাঙ্গির আক্তার এমবিবিএস ডাক্তার আয়েশ সিদ্দিকা ইসলাম এ আই ইউ বি পি জি টি ইন জ্ঞান এন্ড অফ স এই তিনজন ডাক্তারের সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে রেখে মানুষকে ধোঁকা দিয়ে তারা সমাজসেবার নামে এক ধরনের অবৈধ ব্যবসা করে যাচ্ছেন আমি দেখব কি করা যায়। আমি সমাজসেবা অধিদপ্তরে গিয়ে দায়িত্বে থাকা আব্দুস সালাম সাহেবের কাছে বিষয়টা জানালাম তিনি আমাকে বলল আপনি দেখেন আমাদের সমাজসেবা অধিদপ্তরের দেয়া কোনো কমিটি আছে কিনা এবং আমাদের অধিদপ্তরের পারমিশন রেনু করা আছে কিনা যদি আমাদের অনুমোদন থাকে তাহলে আমরা অবশ্যই উক্ত সংস্থাকে আইনের আয়ত্তে নিয়ে আসবো। উক্ত ক্লিনিকে আমি মানবাধিকার সংস্থার সহকারী পরিচালক ও কেন্দ্রীয় কমিটির মেম্বার মো. আলী আর রাফি ও আজিজুল কে পাঠাই উক্ত ক্লিনিকটি সঠিকভাবে পরিচালনা করে কিনা। তাহারা উক্ত ক্লিনিকে সরজমিনের গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে ।

 

মানবাধিকার কর্মীদের তথ্য মতে উক্ত সংস্থাটি কোন ক্লিনিক হিসেবে গণ্য করা যায় না এটা কোন ব্যাচেলার বাস হিসেবে বলা যায়। বিউটি আক্তার একটু সুস্থ হওয়াতে তার কাছে জানতে চাইলাম আসলে ঘটনাটা আপনি আমাকে বলেন কি হয়েছিল ১৯ মে রাতে আপনার সাথে তার কথা অনুযায়ী ভাই আমরা যা আগেও বলেছি এখনও তাই বলি উনাদের ভুল চিকিৎসার জন্য আমার পেটের বাচ্চা দুপুর প্রায় দুইটা থেকে আড়াইটার ভিতরে হতে পারে ওই সময় দেখে আমার পেট শক্ত তাৎক্ষণিক ভাবে কয়েকজন মহিলা যারা প্রতিবেশী ও বিউটি আক্তার যে বাড়িতে ভাড়া থাকে সেই বাড়ির মালিকের স্ত্রী তাহারা বলেন ভাই আমরা সবাই ছিলাম রোগীর সাথে তারা কোন ডাক্তার ছাড়া ওই ক্লিনিকে বিউটিকে প্রসব ডেলিভারি করানোর জন্য তাদের মনমতো চিকিৎসা চালায় আমরা যখন দেখলাম বিউটি আমাদের বলে পেট শক্ত হয়ে গেছে বিকেলে আমরা বললাম এখন আর রোগী আপনার এ জায়গায় রাখবো না আমরা সরোয়ারদী হাসপাতালে নিয়ে যাবে তারা বলে না উনাকে লালকুঠি মা ও শিশু মাতৃ সনদে কাঠ করেছিলাম আমরা ডাক্তারের সাথে কথা বলেছি ওই জায়গায় ওনাকে সিজার করিয়ে বাচ্চা ডেলিভারি করব। যাইহোক আমরা বিউটি আক্তারের সাথে মা ও শিশু মাতৃ সনদ লালকুঠি যায় প্রায় তিন ঘণ্টা বিউটিকে একটা রুমে রাখে যেখানে আমাদের যেতে দেয় না এবং রাত নয়টা সময় বলে আমাদের এখনো সার্জিক্যাল ডাক্তার আসে নাই রোগীকে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নিয়ে যান সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার পেটে হাত দিয়ে বলে বাচ্চা মৃত আলট্রাসনো করে নিয়ে আসেন আলট্রাসনো করে নিয়ে যাওয়ার পর রিপোর্টে দেখা যায় বাচ্চা মৃত্যু এমত অবস্থায় ওই হাসপাতালে নরমাল ডেলিভারি করে মধ্যরাতে মৃত বাচ্চা বের করা হয়। তাই বিউটি আক্তার সহ তাদের স্বজন ও এলাকাবাসীর অভিযোগ ও সংস্থাটি আজ বিউটি আক্তারের সাথে যা করেছে পরবর্তীতে অন্য এক মায়ের সাথে একই কাজ করে যাবে তাই ম্যানেজার সুলতানা বেগম ও তার মেয়ে ডিপ্লোমা নার্স লাবনী আক্তারের বিচার হওয়া উচিত তাই উক্ত ঘটনাটি আপনার মাধ্যমে সরকারের কাছে দৃষ্টি আকর্ষণে অভিযোগটি দাখিল করিলাম। আমাদের অনুসন্ধান করে দেখতে পারি উক্ত ক্লিনিক টি পরিচালনা জনস্বার্থে ক্ষতিকারক একটি চক্র উক্ত ক্লিনিক থেকে সরকারি অনুদান ও গরিব অসহায় মানুষের কাছ থেকে ধোঁকা দিয়ে সরকারি নাম ব্যবহার করে বিভিন্ন হাসপাতালের সাথে কন্টাক করে রোগীকে নিয়ে ব্যবসা করে থাকে উক্ত ক্লিনিকের রোগী ভর্তি করার কোন এন্টি খাতা নেই। নেই কোন ডাক্তারের পরামর্শ। বলা যায় এক পরিবারের বাবা-মা ও মেয়ে এই তিনজনেই এই ক্লিনিক টির পরিচালনাকারী। তাই উক্ত জনসভা মাতৃমঙ্গল ও শিশু কল্যাণ সংস্থা নিবন্ধন নাম্বার ঢ-০৭৩৫৯/অধিভূক্তি নাম্বার-২১১/ও স্মারক নাম্বার-৬৬০ সরকার অনুমোদিত লাইসেন্স বাতিল করে অনিয়মকারী কর্মকর্তাদের দ্রুত আইনের আয়ত্তে নিয়ে এসে সরকারের প্রতি জনগণের ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধারের সংবাদটি প্রকাশ করা হয়। (অন্যায়ের চিত্র) পত্রিকা থেকে নেওয়া খবর।