সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার পূর্ব জাফলং ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী এলাকা জাফলং জিরো পয়েন্ট সিঁড়ির ঘাট, সাইনবোর্ড , লাল মাটি, আমতলাসহ সীমান্ত এলাকার বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে দেদারসে আসছে ভারতীয় অবৈধ পণ্য সামগ্রী বাংলাদেশ, ভারতীয় চোরাকারবারিদের কাছ থেকে জেলা ডিবি ও থানা পুলিশের নামে চাঁদাবাজির অভিযোগ রয়েছে লাইনম্যান মান্নান মেম্বার সহ কয়েক জনের বিরুদ্ধে। লাইনম্যান হিসেবে দীর্ঘদিন থেকে জড়িত রয়েছেন, মান্নান মেম্বার নিজেই চোরাচালান ব্যবসার সঙ্গে জড়িত হয়েছে, সীমান্তবর্তী এলাকায় পর্যটন কেন্দ্রয় রয়েছে মান্নান মেম্বার এর নিজস্ব দোকান ভারতীয় অবৈধ পণ্য সামগ্রী এনে দোকানে কিছু রেখে বাকি সব ভারতীয় পণ্য গোডাউন বুঝাই করে রাখেন যাতে কেউ বুঝতে না পারে।
জাফলং সীমান্তে মান্নান মেম্বার এর নিয়ন্ত্রণে চলছে ভারতীয় চোরাচালান ব্যবসা, জেলা ডিবি ও থানা পুলিশকে ম্যানেজ করার দায়িত্ব পালন করছেন। মান্নান মেম্বার, সীমান্তবর্তী এলাকার জাফলং গুচ্ছ গ্ৰাম এ মান্নান মেম্বার বাড়ি, বর্ডারের কাছাকাছি আছেন বলে, নিজ দায়িত্বে, সবকিছু দেখভাল করছেন, মান্নান মেম্বার পূর্ব জাফলং ইউপি সদস্যও বটে, মান্নান মেম্বার তার দুই ভাতিজা, রিয়াজুল ও সিরাজুল কে দিয়ে। বিজিবি ক্যাম্পের সামনে ও সাইনবোর্ড,লাল মাটি, আম তলা, ও সোনা টিলা, তামাবিল স্থলবন্দর সহ বিভিন্ন পয়েন্ট মান্নান মেম্বার নিয়ন্ত্রণ করছে , এলাকায় রয়েছে মান্নান মেম্বার এর বিশাল এক বাহিনী যার ফলে তাদের ভয়ে কেউ মুখ খুলে কথা বলতে পারে না, দিনের বেলায় ছোট ছোট শিশু ও মহিলা দের দিয়ে, ভারত থেকে ভারতীয় মদ, ফেনসিডিল, ও চিনি, কম্বল, সহ বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মালামাল আনতে সহযোগিতায় ব্যস্ত সময় পার করেন। বিভিন্ন স্থানে বলে থাকেন এলাকায় কোনো কাজ কাম নাই, কর্মসংস্থান না থাকায়, মানুষ এসব করছে। এসব কথা শুনে অনুসন্ধানে যান সংবাদ কর্মীরা এলাকায় ঘুরে জানতে পারেন। সীমান্ত এলাকায় ভারতীয় চোরাচালান ব্যবসায়ীদের মধ্যে বেশির ভাগ, অন্য এলাকা থেকে এসে বাড়া থেকে, দীর্ঘদিন থেকেই চোরাচালানে সাথে জড়িয়ে পড়ে, জাফলং সীমান্ত এলাকা দিয়ে ৩ থেকে ৪ মিনিটের মধ্যে ভারতে প্রবেশ করা যায়।
সুযোগ সুবিধা ভাল, সীমান্ত এলাকায় পর্যটন ব্যবসায়ীদের দোকান, প্রতিটি দোকানে দোকানে ভারতীয় অবৈধ পণ্য সামগ্রী দিয়ে দেওয়া হলে, নিরাপদ স্থানে সরে যান।
সীমান্ত এলাকায় রাত হলে শুরু হয়, কোটি কোটি টাকার ভারতীয় অবৈধ পণ্য সামগ্রী বাংলাদেশ প্রবেশ করা, সীমান্ত এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ভারতীয় চিনি, চা পাতা, কীট, কসমেটিক, মদ এর কাটুন, ও বিভিন্ন ব্র্যান্ডের স্মার্ট মোবাইল ফোন এর কাটুন সহ বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে নিরাপদে নির্দিষ্ট স্থানে পৌঁছে যাচ্ছে, চোরাচালান ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে আরো জানা যায়, এসব মান্নান মেম্বার ম্যানেজ করে, আমরা মান্নান মেম্বার কে লাইনের টাকা দেই। জেলা ডিবি ও থানা পুলিশের নামে লাইনম্যান হিসেবে মান্নান মেম্বার, তার দুই ভাতিজা কে দিয়ে চাঁদার টাকা আদায় করে।