সম্প্রতি কেরল থেকে ৮ বাংলাদেশীকে গ্রেফতার করেছে আসাম পুলিশের এসটিএফ। ধৃতদের মধ্যে রয়েছে আল কায়দা জঙ্গিও। মহম্মদ সাদ রাদি ওরফে মহম্মদ সাব শেখ আল কায়দা জঙ্গি সংগঠনের সদস্য বলে দাবি করেছে আসাম পুলিশ। গত নভেম্বর মাসে সে ভারতে এসেছিল। কেরলে যাওয়ার আগে এর লক্ষ্য ছিল আসাম ও পশ্চিমবঙ্গে ওই জঙ্গি সংগঠনের স্লিপার সেল তৈরি করা।
তদন্তে খবর পাওয়া গিয়েছে, বাংলাদেশে আল কায়দার নেতা মোঃ ফারহান ইসরকের অধীনে একদল জঙ্গি ভারতে আরএসএস ও হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের নেতাদের টার্গেট করেছিল। এই তথ্য পাওয়া পরেই কেরল ও পশ্চিমবঙ্গের পুলিশের সাথে কথা বলে অপারেশন শুরু করা হয়। ফারহান ইসরাক আনসারুল্লা (ভারতীয় উপমহাদেশে আল কায়দার ফ্রন্টাল সংস্থা) বাংলার নেতা জসীমউদ্দীন রহমানির অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ।
গ্রেফতার হওয়া আরও সাতজন বাংলাদেশী জঙ্গির নাম হলো- মিনারুল শেখ (৪০), মহম্মদ আব্বাস আলী (৩৩), নুর ইসলাম মণ্ডল (৪০), আব্দুল করিম মণ্ডল (৩০), মজিবর রহমান (৪০), হামিদুল ইসলাম (৩৪) এবং এনামুল হক (২৯)। এরা সকলেই জঙ্গি সন্দেহভাজন। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, বাংলার মুর্শিদাবাদ ও ফালাকাটায় বেশ কয়েকটি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছিল, যেখানে নুর ইসলাম মণ্ডল এবং তার সহযোগীরা আরএসএস এবং অন্যান্য হিন্দু সংগঠনের নেতাদের টার্গেট করতে বিশদ আলোচনা করেছিল।