ঢাকা ১০:৫২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
পিলখানা হত্যাকাণ্ডকে ‘পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড’ আখ্যায়িত করার দাবি বাকেরগঞ্জের বিরঙ্গল দারুসুন্নাত নেছারিয়া দাখিল মাদ্রাসাটির বিভিন্ন অনিয়ম রয়েছে গোপালগঞ্জের সোহাগ একসঙ্গে দুই সরকারি চাকরি করেন বেরোবিতে স্বৈরাচারী দোসর ও শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ষড়যন্ত্রকারী এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তনের প্রতিবাদে মানববন্ধন বিটিভির সংবাদ বেসরকারি টেলিভিশনে সম্প্রচারের প্রয়োজন নেই : নাহিদ শুক্রবারও চলবে মেট্রোরেল চাঁপাইনবাবগঞ্জ র‍্যাব ক্যাম্পের অভিযানে দু’কোটি টাকার হেরোইন উদ্ধার, আটক-১ অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত হলেই ভাসতে থাকে প্রথম শ্রেণীর জাজিরা পৌরসভা। চট্টগ্রামে সাবেক সাংসদ বাদলের কবরে ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ

ডাকাতি করতে গিয়ে গৃহবধূকে হত্যা, মূল আসামি গ্রেফতার

রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার ছড়ান বড়বালা এলাকায় ডাকাতি করতে গিয়ে গৃহবধূকে হত্যার ঘটনায় করা মামলার প্রধান আসামি জাকির হোসেনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

ঘটনার চার মাস পর শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নের নাগেরহাট বাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

আটক জাকির হোসেন দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলার কুশদহ মাদরাসাপাড়া গ্রামের মৃত শহিদুল ইসলামের ছেলে।

শনিবার দুপুর ১২টায় জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) মো. তরিকুল ইসলাম।

ঘটনার বর্ণনায় পুলিশের এ কর্মকর্তা জানান, গত ৬ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে মুখোশধারী ছয়-সাত জন ডাকাত বড়বালা ইউনিয়নের শালিকাদহ গ্রামের আবু রায়হান মো. মিজানুর রহমানের বাড়ির দেয়াল টপকে ভেতরে ঢোকে।

পরে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে মিজানুর ও তার স্ত্রী মোর্শেদা বেগমের (৩২) স্বর্ণালঙ্কার, মোবাইল, নগদ টাকাসহ সাড়ে চার লাখ টাকার মালামাল লুট করে। এতে বাধা দিলে মোর্শেদাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। পরদিন মিজানুর বাদী হয়ে মিঠাপুকুর থানায় মামলা করেন। মামলার ছয় দিনের মাথায় হত্যা ও ডাকাতির ঘটনায় জড়িত দুই আসামি এবং পরবর্তীতে আরও দুজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এর মধ্যে তিনজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। জবানবন্দিতে ডাকাতি ও হত্যার মূলহোতা হিসেবে জাকিরের নাম উল্লেখ করেছিল তারা।

তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘এরপর থেকে জাকিরকে গ্রেফতারের জন্য পুলিশ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালায়। কিন্তু গ্রেফতার এড়াতে বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপন করে সে। অবশেষে শুক্রবার সন্ধ্যায় অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয়। তার বিরুদ্ধে মিঠাপুকুর, বদরগঞ্জ, নবাবগঞ্জ থানায় চুরি-ডাকাতি ও মাদকসহ বিভিন্ন অপরাধের ১২টি মামলা রয়েছে। বিকালে আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’

 

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

পিলখানা হত্যাকাণ্ডকে ‘পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড’ আখ্যায়িত করার দাবি

ডাকাতি করতে গিয়ে গৃহবধূকে হত্যা, মূল আসামি গ্রেফতার

আপডেট সময় ১১:৫০:২৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ জুন ২০২৪

রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার ছড়ান বড়বালা এলাকায় ডাকাতি করতে গিয়ে গৃহবধূকে হত্যার ঘটনায় করা মামলার প্রধান আসামি জাকির হোসেনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

ঘটনার চার মাস পর শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নের নাগেরহাট বাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

আটক জাকির হোসেন দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলার কুশদহ মাদরাসাপাড়া গ্রামের মৃত শহিদুল ইসলামের ছেলে।

শনিবার দুপুর ১২টায় জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) মো. তরিকুল ইসলাম।

ঘটনার বর্ণনায় পুলিশের এ কর্মকর্তা জানান, গত ৬ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে মুখোশধারী ছয়-সাত জন ডাকাত বড়বালা ইউনিয়নের শালিকাদহ গ্রামের আবু রায়হান মো. মিজানুর রহমানের বাড়ির দেয়াল টপকে ভেতরে ঢোকে।

পরে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে মিজানুর ও তার স্ত্রী মোর্শেদা বেগমের (৩২) স্বর্ণালঙ্কার, মোবাইল, নগদ টাকাসহ সাড়ে চার লাখ টাকার মালামাল লুট করে। এতে বাধা দিলে মোর্শেদাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। পরদিন মিজানুর বাদী হয়ে মিঠাপুকুর থানায় মামলা করেন। মামলার ছয় দিনের মাথায় হত্যা ও ডাকাতির ঘটনায় জড়িত দুই আসামি এবং পরবর্তীতে আরও দুজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এর মধ্যে তিনজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। জবানবন্দিতে ডাকাতি ও হত্যার মূলহোতা হিসেবে জাকিরের নাম উল্লেখ করেছিল তারা।

তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘এরপর থেকে জাকিরকে গ্রেফতারের জন্য পুলিশ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালায়। কিন্তু গ্রেফতার এড়াতে বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপন করে সে। অবশেষে শুক্রবার সন্ধ্যায় অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয়। তার বিরুদ্ধে মিঠাপুকুর, বদরগঞ্জ, নবাবগঞ্জ থানায় চুরি-ডাকাতি ও মাদকসহ বিভিন্ন অপরাধের ১২টি মামলা রয়েছে। বিকালে আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’