রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার ছড়ান বড়বালা এলাকায় ডাকাতি করতে গিয়ে গৃহবধূকে হত্যার ঘটনায় করা মামলার প্রধান আসামি জাকির হোসেনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
ঘটনার চার মাস পর শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নের নাগেরহাট বাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
আটক জাকির হোসেন দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলার কুশদহ মাদরাসাপাড়া গ্রামের মৃত শহিদুল ইসলামের ছেলে।
শনিবার দুপুর ১২টায় জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) মো. তরিকুল ইসলাম।
ঘটনার বর্ণনায় পুলিশের এ কর্মকর্তা জানান, গত ৬ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে মুখোশধারী ছয়-সাত জন ডাকাত বড়বালা ইউনিয়নের শালিকাদহ গ্রামের আবু রায়হান মো. মিজানুর রহমানের বাড়ির দেয়াল টপকে ভেতরে ঢোকে।
পরে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে মিজানুর ও তার স্ত্রী মোর্শেদা বেগমের (৩২) স্বর্ণালঙ্কার, মোবাইল, নগদ টাকাসহ সাড়ে চার লাখ টাকার মালামাল লুট করে। এতে বাধা দিলে মোর্শেদাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। পরদিন মিজানুর বাদী হয়ে মিঠাপুকুর থানায় মামলা করেন। মামলার ছয় দিনের মাথায় হত্যা ও ডাকাতির ঘটনায় জড়িত দুই আসামি এবং পরবর্তীতে আরও দুজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এর মধ্যে তিনজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। জবানবন্দিতে ডাকাতি ও হত্যার মূলহোতা হিসেবে জাকিরের নাম উল্লেখ করেছিল তারা।
তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘এরপর থেকে জাকিরকে গ্রেফতারের জন্য পুলিশ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালায়। কিন্তু গ্রেফতার এড়াতে বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপন করে সে। অবশেষে শুক্রবার সন্ধ্যায় অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয়। তার বিরুদ্ধে মিঠাপুকুর, বদরগঞ্জ, নবাবগঞ্জ থানায় চুরি-ডাকাতি ও মাদকসহ বিভিন্ন অপরাধের ১২টি মামলা রয়েছে। বিকালে আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’