ঢাকা ১১:৫৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪, ৭ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

জামিন পাননি ফখরুল,একই মামলায় আরও১৬ জনের জামিন

প্রধান বিচারপতির বাসভবন ভাঙচুরের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় ১৬ আসামি জামিন পেলেও পাননি বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

নিম্ন আদালত কিংবা হাইকোর্ট কোথাও জামিন মেলেনি তার। ৭৬ বছর বয়সি এই রাজনীতিক এখন কারাগারের অন্ধকার প্রকোষ্টে দিন পার করছেন।

মির্জা ফখরুল এবার সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে জামিন চাইবেন, কারণ তিনি কোনোভাবেই ভাঙচুরের সঙ্গে জড়িত ছিলেন না বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী মো. সগীর হোসেন।

তিনি বলেন, এই মামলায় তার জামিনের আবেদন খারিজ করে দেওয়া গত ১০ জানুয়ারি হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে মির্জা ফখরুলের পক্ষে আজ বা আগামীকাল আপিল বিভাগে আবেদন করা হবে।

গত বছরের ২৮ অক্টোবরের ঘটনায় দায়ের হওয়া ওই মামলায় হাইকোর্ট বলেছেন, আবেদনকারী (ফখরুল) ঘটনার মাস্টারমাইন্ড কিনা বা বিপর্যয়কর, বিশৃঙ্খল ঘটনাগুলোতে কোনো ভূমিকা ছিল কিনা তা কেবল সুষ্ঠু তদন্তের পরেই সিদ্ধান্ত নেওয়া যেতে পারে, তবে তদন্তে নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করার জন্য, আমরা মনে করি যে এই পর্যায়ে তাকে জামিনে মুক্তি দেওয়া ঠিক হবে না।

রায়ের পূর্ণাঙ্গ বিবরণীতে আরও বলা হয়, নিম্ন আদালত এই মামলায় অভিযুক্ত আবেদনকারীর সম্পৃক্ততা খুঁজে পেয়েছেন।

গত বছরের ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশ সংঘাতের ঘটনায় পণ্ড করে দেওয়া আইনশৃংখলা বাহিনী। পরদিন ভোরে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে গ্রেফতার করা হয়।

গত ২৯ অক্টোবর রমনা থানায় দায়ের করা ওই মামলায় প্রায় ৭২ জনকে আসামি করা হয়। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস প্রধান আসামি এবং একই দিনে গ্রেফতার হওয়া মির্জা ফখরুল ২ নম্বর আসামি।

সগীর হোসেন জানান, ২৮ অক্টোবর রাজনৈতিক সহিংসতার অভিযোগে দায়ের করা ১১টি মামলার আসামি ফখরুল একজন প্রবীণ নাগরিক এবং তিনি ডায়াবেটিসসহ বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন জটিলতায় ভুগছেন।

সগীর আরও জানান, পুলিশ কনস্টেবল হত্যার ঘটনায় দায়ের করা একটিসহ ১০টি মামলায় সংশ্লিষ্ট ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ফখরুলকে জামিন দিয়েছেন।

ভাঙচুরের মামলায় নিম্ন আদালত থেকে জামিন পাওয়া ১০ জন এফআইআরভুক্ত আসামি হলেন- মো. নাসির উদ্দিন, মিজানুর রহমান মন্টু, মহিউদ্দিন মোহন, মো. শাহিনুর ইসলাম, মো. নুরুল ইসলাম, সোহেল আহমেদ, হারুন-উর-রশিদ, মো. ইমন, মো. ইমরান ও উজ্জল হোসেন। তারা এখন কারামুক্ত।

এছাড়া একই মামলায় বিএনপির ছয় নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল আউয়াল মিন্টু, জয়নুল আবেদীন, নিতাই রায় চৌধুরী, এএম মাহবুব উদ্দিন খোকন ও নিপুণ রায় চৌধুরীকে আগাম জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।

মির্জা ফখরুলের আইনজীবী বলেন, হাইকোর্টের রায়ের পূর্ণাঙ্গ পাঠে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার অভিযোগ রাষ্ট্রদ্রোহের শামিল হতে পারে বলে উল্লেখ করেছেন, যদিও আপিল বিভাগ এক রায়ের পর্যবেক্ষণে বলেছেন, রাজনৈতিক আন্দোলনের মামলায় রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ আনা যায় না।

অপর এক রায়ে আপিল বিভাগ বলেছেন, একই মামলার সহ-আসামি জামিন পেলে কোনো আসামি জামিন পেতে পারেন।

ফখরুলের আপিল প্রথমে আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতির কাছে যাবে। চেম্বার বিচারক তাকে জামিন না দিলে তা আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠানো হবে বলে জানান সগীর।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সাংবাদিক শাহাদাত হোসেনের উপর হামলা ও হত্যার হুমকি নিয়ে চান্দগাঁও থানায় সাধারণ ডায়েরি

জামিন পাননি ফখরুল,একই মামলায় আরও১৬ জনের জামিন

আপডেট সময় ০২:৩৪:২৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২৪

প্রধান বিচারপতির বাসভবন ভাঙচুরের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় ১৬ আসামি জামিন পেলেও পাননি বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

নিম্ন আদালত কিংবা হাইকোর্ট কোথাও জামিন মেলেনি তার। ৭৬ বছর বয়সি এই রাজনীতিক এখন কারাগারের অন্ধকার প্রকোষ্টে দিন পার করছেন।

মির্জা ফখরুল এবার সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে জামিন চাইবেন, কারণ তিনি কোনোভাবেই ভাঙচুরের সঙ্গে জড়িত ছিলেন না বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী মো. সগীর হোসেন।

তিনি বলেন, এই মামলায় তার জামিনের আবেদন খারিজ করে দেওয়া গত ১০ জানুয়ারি হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে মির্জা ফখরুলের পক্ষে আজ বা আগামীকাল আপিল বিভাগে আবেদন করা হবে।

গত বছরের ২৮ অক্টোবরের ঘটনায় দায়ের হওয়া ওই মামলায় হাইকোর্ট বলেছেন, আবেদনকারী (ফখরুল) ঘটনার মাস্টারমাইন্ড কিনা বা বিপর্যয়কর, বিশৃঙ্খল ঘটনাগুলোতে কোনো ভূমিকা ছিল কিনা তা কেবল সুষ্ঠু তদন্তের পরেই সিদ্ধান্ত নেওয়া যেতে পারে, তবে তদন্তে নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করার জন্য, আমরা মনে করি যে এই পর্যায়ে তাকে জামিনে মুক্তি দেওয়া ঠিক হবে না।

রায়ের পূর্ণাঙ্গ বিবরণীতে আরও বলা হয়, নিম্ন আদালত এই মামলায় অভিযুক্ত আবেদনকারীর সম্পৃক্ততা খুঁজে পেয়েছেন।

গত বছরের ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশ সংঘাতের ঘটনায় পণ্ড করে দেওয়া আইনশৃংখলা বাহিনী। পরদিন ভোরে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে গ্রেফতার করা হয়।

গত ২৯ অক্টোবর রমনা থানায় দায়ের করা ওই মামলায় প্রায় ৭২ জনকে আসামি করা হয়। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস প্রধান আসামি এবং একই দিনে গ্রেফতার হওয়া মির্জা ফখরুল ২ নম্বর আসামি।

সগীর হোসেন জানান, ২৮ অক্টোবর রাজনৈতিক সহিংসতার অভিযোগে দায়ের করা ১১টি মামলার আসামি ফখরুল একজন প্রবীণ নাগরিক এবং তিনি ডায়াবেটিসসহ বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন জটিলতায় ভুগছেন।

সগীর আরও জানান, পুলিশ কনস্টেবল হত্যার ঘটনায় দায়ের করা একটিসহ ১০টি মামলায় সংশ্লিষ্ট ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ফখরুলকে জামিন দিয়েছেন।

ভাঙচুরের মামলায় নিম্ন আদালত থেকে জামিন পাওয়া ১০ জন এফআইআরভুক্ত আসামি হলেন- মো. নাসির উদ্দিন, মিজানুর রহমান মন্টু, মহিউদ্দিন মোহন, মো. শাহিনুর ইসলাম, মো. নুরুল ইসলাম, সোহেল আহমেদ, হারুন-উর-রশিদ, মো. ইমন, মো. ইমরান ও উজ্জল হোসেন। তারা এখন কারামুক্ত।

এছাড়া একই মামলায় বিএনপির ছয় নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল আউয়াল মিন্টু, জয়নুল আবেদীন, নিতাই রায় চৌধুরী, এএম মাহবুব উদ্দিন খোকন ও নিপুণ রায় চৌধুরীকে আগাম জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।

মির্জা ফখরুলের আইনজীবী বলেন, হাইকোর্টের রায়ের পূর্ণাঙ্গ পাঠে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার অভিযোগ রাষ্ট্রদ্রোহের শামিল হতে পারে বলে উল্লেখ করেছেন, যদিও আপিল বিভাগ এক রায়ের পর্যবেক্ষণে বলেছেন, রাজনৈতিক আন্দোলনের মামলায় রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ আনা যায় না।

অপর এক রায়ে আপিল বিভাগ বলেছেন, একই মামলার সহ-আসামি জামিন পেলে কোনো আসামি জামিন পেতে পারেন।

ফখরুলের আপিল প্রথমে আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতির কাছে যাবে। চেম্বার বিচারক তাকে জামিন না দিলে তা আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠানো হবে বলে জানান সগীর।