মার্কিন সংবাদমাধ্যম এবিসি নিউজকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, যদি জিম্মিদের মুক্তি দেওয়া না হয় তবে গাজায় কোনো যুদ্ধবিরতি দেওয়া হবে না। হামাসের সঙ্গে যুদ্ধ শেষ হলে গাজার ‘সার্বিক নিরাপত্তার দায়িত্ব’ ইসরায়েলের হাতে থাকবে।
এবিসি নিউজের ‘ওয়ার্ল্ড নিউজ টুনাইট’ অনুষ্ঠানের উপস্থাপক ডেভিড মুইরকে দেয়া সেই সাক্ষাৎকারে, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী স্বীকার করেছেন হামাসের হামলার ব্যাপারে গোয়েন্দা ব্যর্থতায় তার সরকারের দায় রয়েছে। হামলার পর নেতানিয়াহুর অফিস এক বিবৃতিতে বলেছিল, ৭ অক্টোবর হামলা তাদের বিস্মিত করেছিল।
এর আগে নেতানিয়াহু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক পোস্টে ৭ অক্টোবরের হামলায় গোয়েন্দা ব্যর্থতার জন্য তার সামরিক এবং নিরাপত্তা প্রধানদের দোষারোপ করেছিলেন। যদিও পরে সেই পোস্ট মুছে ফেলেন তিনি এবং আরেকটি পোস্টে তার পূর্ববর্তী পোস্টের জন্য ক্ষমা চেয়েছিলেন।
এদিকে ৭ অক্টোবরের পর থেকে গাজা জুড়ে শুরু হওয়া ইসরায়েলি বোমাবর্ষণ অব্যাহত রয়েছে। এই বোমাবর্ষণে অবরুদ্ধ ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডেটিতে মৃতের সংখ্যা দশ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। সংবাদ মাধ্যম আল জাজিরা বলছে ৭ অক্টোবরের পর থেকে ৭ নভেম্বর পর্যন্ত গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ১০,০২২ জন নিহত হয়েছে আর একই সময়ে আহত হয়েছেন ২৩,৪০৮ জন ফিলিস্ততিনি। এই এক মাসের অস্থিরতায় ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরে নিহতের সংখ্যা ১৬৩ জন আর আহত ২,১০০ জন।
এদিকে হামাসের প্রতিরোধে গাজায় সাড়ে তিনশ’র বেশি ইসরায়েলি সেনা নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম। এর আগে ৭ অক্টোবর ইসরায়েলি বসতিতে হামাসের হামলায় ১,৪০৫ জন নিহত হয়, তাছাড়া আহত হয় আরও ৫,৬০০ জন। এই সময় প্রায় আড়াইশ’ জনকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যায় হামাস।