ঢাকা ০৯:৫৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
পিলখানা হত্যাকাণ্ডকে ‘পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড’ আখ্যায়িত করার দাবি বাকেরগঞ্জের বিরঙ্গল দারুসুন্নাত নেছারিয়া দাখিল মাদ্রাসাটির বিভিন্ন অনিয়ম রয়েছে গোপালগঞ্জের সোহাগ একসঙ্গে দুই সরকারি চাকরি করেন বেরোবিতে স্বৈরাচারী দোসর ও শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ষড়যন্ত্রকারী এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তনের প্রতিবাদে মানববন্ধন বিটিভির সংবাদ বেসরকারি টেলিভিশনে সম্প্রচারের প্রয়োজন নেই : নাহিদ শুক্রবারও চলবে মেট্রোরেল চাঁপাইনবাবগঞ্জ র‍্যাব ক্যাম্পের অভিযানে দু’কোটি টাকার হেরোইন উদ্ধার, আটক-১ অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত হলেই ভাসতে থাকে প্রথম শ্রেণীর জাজিরা পৌরসভা। চট্টগ্রামে সাবেক সাংসদ বাদলের কবরে ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ

স্ট্রোকে সার্জারি কখন করা লাগে?

দিন দিন স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ছে। জীবনযাপনে অনিয়ম, মানসিক চাপ, খাবার দাবারে অনিয়ম এসব কারণে স্ট্রোকের রোগী বাড়ছে। 

মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণজনিত কারণে স্ট্রোক হয়। আমাদের ধারণা শুধু রক্তক্ষরণজনিত স্ট্রোকে সার্জারি করা যায়। আসলে তা নয়। সব ধরনের স্ট্রোকেই সুনির্দিষ্ট কারণে সার্জারি করতে হয়।

স্ট্রোক করলে কখন সার্জারি করা লাগে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের।নিউরো ও স্ট্রোক সার্জন ডা. মো. ইসমে আজম জিকো।

* মস্তিষ্কের পর্দার মাঝে যদি রক্তক্ষরণ হয় যেটাকে বলা হয় সাবঅ্যারাকনয়েড হেমোরেজ, এরকম ক্ষেত্রে রক্তনালিতে জন্মগত/অর্জিত কারণে কোনো ফোস্কা তৈরি হয়ে সেটি ফেটে যায়।

* মস্তিষ্কের ভেতর রক্তক্ষরণ সাধারণত যাদের রক্তচাপ বেশি থাকে এবং অনিয়মিত মেডিসিন গ্রহণ করে তাদের মস্তিষ্কের ভেতরে রক্তক্ষরণ হয়। তাছাড়া রক্তনালির অস্বাভাবিক গঠন, রক্তনালির গায়ে ফোস্কা বা রক্তরোগের কারণেও হতে পারে।

এ দুটি লক্ষণ দেখা দিলে হাসপাতালে ভর্তি করিয়ে মেডিসিনের সঙ্গে অপারেশন (ক্লিপিং) ও ইন্টারভেনশন (কয়েলিং) প্রয়োজন হয়। রক্তনালি বন্ধ হলে বা ইসকেমিক স্ট্রোক হলে কখন সার্জারি করতে হবে

সাধারণত, এ ধরনের স্ট্রোক মেডিসিনের মাধ্যমেই ভালো হয়। কিন্তু যদি গলার রক্তনালিত ৭০ শতাংশ ব্লক থাকে, তাহলে অপারেশন লাগে। মস্তিষ্কের ভেতর রক্তনালি যদি বন্ধ হয়ে যায় তাহলে বিভিন্ন রকমের ইন্টারভেনশন/অপারেশন আছে। এটা নির্ভর করে রোগী স্ট্রোক হওয়ার কত সময় পরে স্ট্রোক ইউনিটে ভর্তি হয়। এখানে সময় একটা বড় বিষয়। রোগী যত দ্রুত আসবেন (৩-৪ ঘণ্টার মাঝে) তত ভালো সুফল পাওয়া যাবে। এক্ষেত্রে সাধারণত আউটডোরেই চিকিৎসা করা হয়। যদি অপারেশন বা ইন্টারভেনশন করা লাগে তাহলেই হাসপাতালে ভর্তি হওয়া প্রয়োজন।

অপারেশন কেন করা হয়

* জীবনরক্ষাকারী চিকিৎসা হিসাবে।

* প্যারালাইসিস থেকে রক্ষার জন্য।

* চোখের দৃষ্টিশক্তি রক্ষার জন্য।

* বাকশক্তি রক্ষার জন্য।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

পিলখানা হত্যাকাণ্ডকে ‘পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড’ আখ্যায়িত করার দাবি

স্ট্রোকে সার্জারি কখন করা লাগে?

আপডেট সময় ১০:০৫:৫৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ নভেম্বর ২০২২

দিন দিন স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ছে। জীবনযাপনে অনিয়ম, মানসিক চাপ, খাবার দাবারে অনিয়ম এসব কারণে স্ট্রোকের রোগী বাড়ছে। 

মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণজনিত কারণে স্ট্রোক হয়। আমাদের ধারণা শুধু রক্তক্ষরণজনিত স্ট্রোকে সার্জারি করা যায়। আসলে তা নয়। সব ধরনের স্ট্রোকেই সুনির্দিষ্ট কারণে সার্জারি করতে হয়।

স্ট্রোক করলে কখন সার্জারি করা লাগে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের।নিউরো ও স্ট্রোক সার্জন ডা. মো. ইসমে আজম জিকো।

* মস্তিষ্কের পর্দার মাঝে যদি রক্তক্ষরণ হয় যেটাকে বলা হয় সাবঅ্যারাকনয়েড হেমোরেজ, এরকম ক্ষেত্রে রক্তনালিতে জন্মগত/অর্জিত কারণে কোনো ফোস্কা তৈরি হয়ে সেটি ফেটে যায়।

* মস্তিষ্কের ভেতর রক্তক্ষরণ সাধারণত যাদের রক্তচাপ বেশি থাকে এবং অনিয়মিত মেডিসিন গ্রহণ করে তাদের মস্তিষ্কের ভেতরে রক্তক্ষরণ হয়। তাছাড়া রক্তনালির অস্বাভাবিক গঠন, রক্তনালির গায়ে ফোস্কা বা রক্তরোগের কারণেও হতে পারে।

এ দুটি লক্ষণ দেখা দিলে হাসপাতালে ভর্তি করিয়ে মেডিসিনের সঙ্গে অপারেশন (ক্লিপিং) ও ইন্টারভেনশন (কয়েলিং) প্রয়োজন হয়। রক্তনালি বন্ধ হলে বা ইসকেমিক স্ট্রোক হলে কখন সার্জারি করতে হবে

সাধারণত, এ ধরনের স্ট্রোক মেডিসিনের মাধ্যমেই ভালো হয়। কিন্তু যদি গলার রক্তনালিত ৭০ শতাংশ ব্লক থাকে, তাহলে অপারেশন লাগে। মস্তিষ্কের ভেতর রক্তনালি যদি বন্ধ হয়ে যায় তাহলে বিভিন্ন রকমের ইন্টারভেনশন/অপারেশন আছে। এটা নির্ভর করে রোগী স্ট্রোক হওয়ার কত সময় পরে স্ট্রোক ইউনিটে ভর্তি হয়। এখানে সময় একটা বড় বিষয়। রোগী যত দ্রুত আসবেন (৩-৪ ঘণ্টার মাঝে) তত ভালো সুফল পাওয়া যাবে। এক্ষেত্রে সাধারণত আউটডোরেই চিকিৎসা করা হয়। যদি অপারেশন বা ইন্টারভেনশন করা লাগে তাহলেই হাসপাতালে ভর্তি হওয়া প্রয়োজন।

অপারেশন কেন করা হয়

* জীবনরক্ষাকারী চিকিৎসা হিসাবে।

* প্যারালাইসিস থেকে রক্ষার জন্য।

* চোখের দৃষ্টিশক্তি রক্ষার জন্য।

* বাকশক্তি রক্ষার জন্য।