ঢাকা ১১:৩৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
মানবজাতির মুক্তির দিশারি মহানবী হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) আবুল হাশেম বক্কর বি আর টি সির চেয়ারম্যানের অপসারণ ও গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধন। ডেঙ্গু থেকে বাঁচতে আমাদেরকে সচেতন হতে হবে সেমিনারে অধ্যাপক ডা. এম এ হাসান চৌধুরী ভুয়া ঠিকানায় নিরাপত্তা ছাড়পত্রের চেষ্টা গণপূর্তের প্রকৌশলী রাজু আহমেদের পটুয়াখালীতে এক মাদক ব্যবসায়ীকে ২০ দিন কারাদন্ড অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উন্নয়ন কর্মযজ্ঞ বাস্তবায়নে পটুয়াখালী সদর উপজেলা প্রশাসনের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত একমঞ্চে গাইবেন আতিফ আসলাম ও তাহসান ভোজ্যতেলে ভ্যাট ছাড় দিল এনবিআর শেখ হাসিনাকে ফেরাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে সরকার রাকুলের পোশাকটি কেমন হবে, পরামর্শ দিতেন বাবা

নাইকোর সঙ্গে দুটি চুক্তি অবৈধ: হাইকোর্টের রায় আপিল বিভাগে বহাল

ঢাকা: গ্যাস উত্তোলন ও সরবরাহের জন্য ২০০৩ সালে রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান বাপেক্সের সঙ্গে কানাডাভিত্তিক আন্তর্জাতিক কোম্পানি নাইকোর করা যৌথ উদ্যোগ (জয়েন্ট ভেনচার) চুক্তি অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ।

গত ১৮ জুন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বে চার বিচারপতির দেওয়া রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।

৫৮ পৃষ্ঠার রায়টি লিখেছেন আপিল বিভাগের বিচারপতি মো.আশফাকুল ইসলাম। আদালতে নাইকো রিসোর্সের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন মোস্তাফিজুর রহমান খান।

রিটকারী জ্বালানি বিশেষজ্ঞ প্রফেসর এম শামসুল আলমের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী তানজীব উল আলম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।

নাইকোর সঙ্গে ২০০৩ সালে করা বাপেক্সের চুক্তি ও ২০০৬ সালের পেট্রোবাংলার সঙ্গে কোম্পানিটির গ্যাস সংক্রান্ত দুটি চুক্তি চ্যালেঞ্জ করে জনস্বার্থে ২০১৬ সালে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) জ্বালানিবিষয়ক উপদেষ্টা প্রফেসর এম শামসুল আলম একটি রিটআবেদন করেন।

এরপর আদালত ২০১৬ সালের ৯ মে রুল জারি করেন। ওই রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে ২০১৭ সালের ২৪ আগস্ট বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ রায় দেন।

রায়ে চুক্তি অবৈধ করে দুই চুক্তির অধীনে যেসব সম্পত্তি আছে, তা জব্দের পাশাপাশি নাইকো বাংলাদেশের সম্পত্তি ও বক্ল-৯ এর সম্পত্তিও জব্দের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
ছাতকে গ্যাস কুপের বিস্ফোরণে ক্ষতিপূরণ না দেওয়া পর্যন্ত নাইকোকে কোনো ধরনের পেমেন্ট (মূল্য পরিশোধ) করা যাবে না বলেও রায়ে উল্লেখ করেছেন উচ্চ আদালত। এই রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করে নাইকো রিসোর্স। যেটি ২৩ জুন খারিজ করে দেন আপিল বিভাগ।

 

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মানবজাতির মুক্তির দিশারি মহানবী হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) আবুল হাশেম বক্কর

নাইকোর সঙ্গে দুটি চুক্তি অবৈধ: হাইকোর্টের রায় আপিল বিভাগে বহাল

আপডেট সময় ১২:৫৭:২৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩

ঢাকা: গ্যাস উত্তোলন ও সরবরাহের জন্য ২০০৩ সালে রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান বাপেক্সের সঙ্গে কানাডাভিত্তিক আন্তর্জাতিক কোম্পানি নাইকোর করা যৌথ উদ্যোগ (জয়েন্ট ভেনচার) চুক্তি অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ।

গত ১৮ জুন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বে চার বিচারপতির দেওয়া রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।

৫৮ পৃষ্ঠার রায়টি লিখেছেন আপিল বিভাগের বিচারপতি মো.আশফাকুল ইসলাম। আদালতে নাইকো রিসোর্সের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন মোস্তাফিজুর রহমান খান।

রিটকারী জ্বালানি বিশেষজ্ঞ প্রফেসর এম শামসুল আলমের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী তানজীব উল আলম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।

নাইকোর সঙ্গে ২০০৩ সালে করা বাপেক্সের চুক্তি ও ২০০৬ সালের পেট্রোবাংলার সঙ্গে কোম্পানিটির গ্যাস সংক্রান্ত দুটি চুক্তি চ্যালেঞ্জ করে জনস্বার্থে ২০১৬ সালে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) জ্বালানিবিষয়ক উপদেষ্টা প্রফেসর এম শামসুল আলম একটি রিটআবেদন করেন।

এরপর আদালত ২০১৬ সালের ৯ মে রুল জারি করেন। ওই রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে ২০১৭ সালের ২৪ আগস্ট বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ রায় দেন।

রায়ে চুক্তি অবৈধ করে দুই চুক্তির অধীনে যেসব সম্পত্তি আছে, তা জব্দের পাশাপাশি নাইকো বাংলাদেশের সম্পত্তি ও বক্ল-৯ এর সম্পত্তিও জব্দের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
ছাতকে গ্যাস কুপের বিস্ফোরণে ক্ষতিপূরণ না দেওয়া পর্যন্ত নাইকোকে কোনো ধরনের পেমেন্ট (মূল্য পরিশোধ) করা যাবে না বলেও রায়ে উল্লেখ করেছেন উচ্চ আদালত। এই রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করে নাইকো রিসোর্স। যেটি ২৩ জুন খারিজ করে দেন আপিল বিভাগ।