লিবিয়ার আটকে পড়া ১৫১ বাংলাদেশি নাগরিক দেশে ফিরেছেন। মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকাল পৌনে সাতটায় তাদের বহনকারী বিমানটি ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। বিপদগ্রস্ত এসব বাংলাদেশি নাগরিক লিবিয়ার বেনগাজি শহরের গানফুদা ডিটেনশন সেন্টারে ছিলেন।
আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) সহযোগিতায় তাদের উদ্ধার করে বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রচেষ্টায় দেশে পাঠানো হয়।
বাংলাদেশি অভিবাসীদের বেনগাজির বেনিনা বিমানবন্দরে বিদায় জানান লিবিয়ায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল আবুল হাসান মোহাম্মদ খায়রুল বাশার। এসময় তিনি জানান, “আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) সহযোগিতায় ডিটেনশন সেন্টার লিবিয়ার বিভিন্ন স্থানে বিপদগ্রস্ত বাংলাদেশি অভিবাসীদের উদ্ধার করে দেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে।”
লিবিয়ার বিমান বন্দরে তিনি প্রবাসী কল্যাণে বাংলাদেশ সরকারের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপ সম্পর্কে তাদের অবহিত করেন। বিশেষ করে তিনি বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে প্রবাসীদের অধিকার সুরক্ষা, বৈধ পথে রেমিট্যান্স প্রেরণের ওপর প্রণোদনা প্রদান এবং প্রবাসীদের সর্বজনীন পেনশনের আওতায় আনার বিষয়টি তাদেরকে জানান।
এছাড়াও রাষ্ট্রদূত অবৈধ অভিবাসনের বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ তুলে ধরে তাদেরকে ভবিষ্যতে এমন রাস্তা ত্যাগ না করার পরামর্শ দেন। দেশে ফিরে অবৈধ অভিবাসন প্রতিরোধে সচেতনতামূলক প্রচারণায় অংশগ্রহণের জন্যও তিনি এসব বাংলাদেশিকে অনুরোধ করেন।
দূতাবাস থেকে স্বেচ্ছায় দেশে ফেরার জন্য আগ্রহী প্রবাসীদের নিবন্ধন করে পর্যায়ক্রমে তাদেরকে আইওএম’র সঙ্গে রেজিস্ট্রেশন করা হয়।
অপরদিকে, ডিটেনশন সেন্টারে আটক বাংলাদেশিদের সাথে সাক্ষাৎ করে তাদের অনুকূলে ট্রাভেল পারমিট ইস্যু করা হয়। পরবর্তীতে স্থানীয় কর্তৃপক্ষের অনুমতি সাপেক্ষে আইওএম’র সহযোগিতায় তাদেরকে বিনা খরচে পাঠানোর ব্যবস্থা করা সম্ভব হয়েছে।