অন্তরবর্তি কালিন সরকারের মোট ১৫৮ জনের কমিটি করেছিল এর মধ্যে ১০৮ জন সমন্বয়কই শিবিরের।
লাল দালানের জলপাই বিপ্লবের শুরুতে আমি শুধু আন্দোলন শিবির করেছে এ নিয়ে পোস্ট দিতাম ।
আমার অনেক কাছের মানুষজন যারা নিজেদের নিরপেক্ষ বলে দাবি করেন বা লাল শুশীল তারা বলতেন সব নন পলিটিকাল শোনামনিদের তুমি শিবির বল, এটা রাজনৈতিক প্রোপাগান্ডা/ স্ট্যান্ড।
তাদের বলতাম এটা বুঝতে হলে কোন সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে সক্রিয় রাজনীতি করার দরকার ছিল।
ঢাবিতে কোন মুভমেন্ট হলে সেটা নন-পলিটিকাল থাকে না ।
যারা ছাত্রলীগ-ছাত্রদল-বাম এদের আমরা চিনি(চেনা বামন থেকেই শিবির বের হয় সুযোগ পেলেই) আর যাদের চিনবেন না কিন্তু নেতৃত্ব দিচ্ছে এর প্রতি ১০ জনে ৭/৮ জন শিবির।
ওরা রাজনীতি করে গুপ্তচরবৃত্তিক/এজেন্ট/ডাবল এজেন্ট হিসেবে (যেমন- মুসাদ/ আইএসআই)।
বলতে পারেন ওরা বাংলাদেশে আই.এস.আই এর একটা উপ-শাখা।
এখন পিনাকীর মত লোকদের নেত্রীত্বে হিন্দু (নন মুসলিম) শাখা পরিচালনা করার খুব চেষ্টা করছে শুনলাম।
অনেক কাছের মানুষ বলে আওয়ামীলীগের ফেসিস্ট কর্মকান্ড দূর্নীতি নিয়ে কথা বলতে।সেটা বিগত বছর গুলোতেও বলেছি সামনেও সমালোচনা অব্যাহত থাকবে ।
৫ ই আগষ্টের পর এনজিওগ্রাম সরাকরের এরা যদি অসংখ্য পরিকল্পিত ভাবে হত্যা -হাজার হাজার মিথ্যা মামলা -ডাকাতি -চুরি -জমি দখল -পুকুর দখল-খামার দখল-মন্দির ভাঙ্গা-৩২ এ আগুন দেওয়া-মসজিদ ভাঙ্গা -কবরে আগুন -মাজার ভাঙ্গা -গার্মেন্টস দখল -কারখানা দখল -পাহাড়ে নির্যাতন না করত, তাহলে আরও বেশি বেশি আওয়ামীলীগ সরকারের লেভেল প্লেয়িং নিশ্চিত না করে নির্বাচন দেয়া , কিছু নেতা আমলার দুর্নীতি ও কিছু মিথ্যা মামলা দেওয়া নিয়ে সমালোচনা করতাম।
লড়াইটা দেশের অভ্যন্তরীণ ছিল না -প্রশ্নটা ছিল সার্বভৌমত্বের -জাতীয় পতাকার -জাতীয় সংগীতের -১৯৭১ এর ।যেটা একটু দেরিতে হলেও ওরা পরিবর্তনের দাবি করল বলে টের পেয়েছে অনেকে।
আমরা রাজাকার স্লোগানের দিনই ১০০ ভাগ নিশ্চিত ছিলাম ওরা কারা। সূর্যসেন হল থেকে শিবির ঢাবি সভাপতি। জসীমউদ্দিন হল থেকে শিবির ঢাবি সেক্রেটারি। আর এই দুই হল থেকেই তুমি কে-আমি কে, রাজাকার-রাজাকার স্লোগানের শুরুটা হয়।
-আমার অতন্ত্য পছন্দের ঢাবি শিক্ষকও রাজাকার স্লোগান যে ক্ষোভের বহিঃপ্রাকশ বুঝাতে পোস্ট দিয়েছেন -মনে হয় জাফর ইকবাল স্যার ঢাবিতে আসবে না শুনে ব্যথিত হয়ে ব্যাখ্যা দিতে চেয়েছেন।
আমার বাম ঘরানার পছন্দের সেই শিক্ষক হয়তো এখন টের পেয়েছেন কারা কেন সেইদিন সেই স্লোগানটা দিয়েছিল ও তাদের পরিকল্পনাটা কি ছিল।
এখন শিবিরের পাশাপাশি হিযবুত তাহরীরের ছেলেরাও আন্দোলনের মাস্টারমাইন্ড হতে চায়।সব তাদের পরিকল্পিত বলতে চায় -লাল দালান কিভাবে জলপাই বিপ্লব করেছে তারা প্রতিনিয়ত নিজেদের পেইজেই লিখে।এখন আর এটা গোপন করে না।
এর একটা কারণ হচ্ছে লাল দালানের জলপাই বিপ্লবের ফসল কে কতটুকু কার ঘরে তুলবে তা নিয়ে কামড়া-কামড়ি।
জেল খানা থেকে কাদের মুক্ত করা হয়েছে খুব শীঘ্রই তা টের পাবেন।
ছোট ছোট বাচ্চাদের লাশ পরিকল্পিত ভাবে ফেলে সরকার পতনের ছক করতে বাচ্চাদেরকে শিবির /হিযবুত তাহরীর দিয়ে ব্যবহার করে লাল দালানের মালিকরা আরব বসন্ত ঘটিয়েছে।
আমরা ওদের চিনি, ওরা ১৯৭১ মানে না -জাতীয় সংগীত মানে না-১৯৭৫ নিয়ে গর্ব করে -জাতীয় পতাকা মাথায় হাতে বাঁধে যেন মানুষকে ধোকা দিতে পারে। বাংলাদেশ দলের জার্সি পরে মানুষ খুন করলেও যেন এরেস্ট না করে, মনে প্রানে পাকিস্তান ক্রিকেট দল ও পাকিস্তানকে ধারণ করে।
১৭ বছরের শিবিরের সাথী পুলিশ হত্যা করে ফুট ওভার ব্রীজে ঝুলিয়ে রাখে।১৭ বছরে ছেলেটি শিবিরের সাথী, ওকে কত বছরে রিক্রুট করেছে আপনাদের ধারণা আছে ?
ঢাবি ভিসি জামাতের ও ঢাবিতে ১৯৭১ এর পর এই প্রথম শিবির প্রকাশ্যে এসেছে।
দেশটাকে শেষ করার এক মহা পরিকল্পনা নিয়ে মাঠে নেমেছে এনজিওগ্রাম সরকার।