ঢাকা ০১:২৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪, ৭ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জুরাইনে বিস্ফোরণে পরিবারের পাঁচ জন দগ্ধ

রাজধানীর জুরাইন মাদবর বাজার এলাকায় একটি বাসায় গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে শিশুসহ একই পরিবারের পাঁচ জন দগ্ধ হয়েছেন। তাদেরকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।

সোমবার (১৪ আগস্ট) এ তথ্য নিশ্চিত করে পুলিশ জানিয়েছে, রোববার দিবাগত রাত ২টার দিকে মাদবর বাজার সলিমুল্লাহ রোড মন্নান মাস্টারের চার তলা বাড়ির নিচতলায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।

দগ্ধরা হলেন, ফুচকা বিক্রেতা আলতাফ সিকদার (৭০), তার স্ত্রী গৃহিণী মর্জিনা বেগম (৫৫), মেয়ে মুক্তা খাতুন (৩০), মেয়ের জামাই আতাহার (৩৫) এবং নাতনি আফসানা (৫)।

তাদেরকে হাসপাতালে নিয়ে আসা আলতাফ শিকদারের শ্যালক মো. মাহবুব জানান, রাতে তিনি খবর পান, আলতাফ শিকদারের বাসায় বিস্ফোরণ হয়েছে। তখন তিনি ওই বাসায় গিয়ে অন্যদের সহযোগিতায় দগ্ধ পাঁচজনকে হাসপাতালে নিয়ে যান।

তিনি জানান, ওই বাসায় গ্যাস সংযোগ রয়েছে। তবে সকালে লাইনে গ্যাস থাকে না। সকালে খাওয়ার জন্য মধ্যরাতেই তারা রান্না করে রাখেন। তার ধারণা, নিচতলা বাসায় রাতে গ্যাস লিকেজ হয়ে ভেতরে গ্যাস জমে ছিল। সেখান থেকে এই বিস্ফোরণ ঘটতে পারে।

স্বজনরা জানান, তাদের গ্রামের বাড়ি পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলায়। এক সপ্তাহ আগে মেয়ে মুক্তা খাতুন, তার স্বামী এবং মেয়েকে নিয়ে জুরাইনে বাবার বাসায় বেড়াতে এসেছিলেন।

চিকিৎসকের বরাত দিয়ে ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মো. বাচ্চু মিয়া জানান, তাদের পাঁচ জনকেই বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি রাখা হয়েছে। ঘটনাটি কদমতলী থানা পুলিশ তদন্ত করছে।

বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক  চিকিৎসক ডা. তরিকুল ইসলাম জানান, দগ্ধ পাঁচ জনকেই বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এদের মধ্যে আতাহার আলীর ৫৫ শতাংশ, মুক্তার ৪৫ শতাংশ, আফসানার ২৫ শতাংশ, মর্জিনার পাঁচ শতাংশ ও আলতাফের শরীরের দুই শতাংশ দগ্ধ হয়েছে।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

জুরাইনে বিস্ফোরণে পরিবারের পাঁচ জন দগ্ধ

আপডেট সময় ০১:১৮:১১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৩

রাজধানীর জুরাইন মাদবর বাজার এলাকায় একটি বাসায় গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে শিশুসহ একই পরিবারের পাঁচ জন দগ্ধ হয়েছেন। তাদেরকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।

সোমবার (১৪ আগস্ট) এ তথ্য নিশ্চিত করে পুলিশ জানিয়েছে, রোববার দিবাগত রাত ২টার দিকে মাদবর বাজার সলিমুল্লাহ রোড মন্নান মাস্টারের চার তলা বাড়ির নিচতলায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।

দগ্ধরা হলেন, ফুচকা বিক্রেতা আলতাফ সিকদার (৭০), তার স্ত্রী গৃহিণী মর্জিনা বেগম (৫৫), মেয়ে মুক্তা খাতুন (৩০), মেয়ের জামাই আতাহার (৩৫) এবং নাতনি আফসানা (৫)।

তাদেরকে হাসপাতালে নিয়ে আসা আলতাফ শিকদারের শ্যালক মো. মাহবুব জানান, রাতে তিনি খবর পান, আলতাফ শিকদারের বাসায় বিস্ফোরণ হয়েছে। তখন তিনি ওই বাসায় গিয়ে অন্যদের সহযোগিতায় দগ্ধ পাঁচজনকে হাসপাতালে নিয়ে যান।

তিনি জানান, ওই বাসায় গ্যাস সংযোগ রয়েছে। তবে সকালে লাইনে গ্যাস থাকে না। সকালে খাওয়ার জন্য মধ্যরাতেই তারা রান্না করে রাখেন। তার ধারণা, নিচতলা বাসায় রাতে গ্যাস লিকেজ হয়ে ভেতরে গ্যাস জমে ছিল। সেখান থেকে এই বিস্ফোরণ ঘটতে পারে।

স্বজনরা জানান, তাদের গ্রামের বাড়ি পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলায়। এক সপ্তাহ আগে মেয়ে মুক্তা খাতুন, তার স্বামী এবং মেয়েকে নিয়ে জুরাইনে বাবার বাসায় বেড়াতে এসেছিলেন।

চিকিৎসকের বরাত দিয়ে ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মো. বাচ্চু মিয়া জানান, তাদের পাঁচ জনকেই বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি রাখা হয়েছে। ঘটনাটি কদমতলী থানা পুলিশ তদন্ত করছে।

বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক  চিকিৎসক ডা. তরিকুল ইসলাম জানান, দগ্ধ পাঁচ জনকেই বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এদের মধ্যে আতাহার আলীর ৫৫ শতাংশ, মুক্তার ৪৫ শতাংশ, আফসানার ২৫ শতাংশ, মর্জিনার পাঁচ শতাংশ ও আলতাফের শরীরের দুই শতাংশ দগ্ধ হয়েছে।