ঢাকা ০৩:২৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
পিলখানা হত্যাকাণ্ডকে ‘পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড’ আখ্যায়িত করার দাবি বাকেরগঞ্জের বিরঙ্গল দারুসুন্নাত নেছারিয়া দাখিল মাদ্রাসাটির বিভিন্ন অনিয়ম রয়েছে গোপালগঞ্জের সোহাগ একসঙ্গে দুই সরকারি চাকরি করেন বেরোবিতে স্বৈরাচারী দোসর ও শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ষড়যন্ত্রকারী এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তনের প্রতিবাদে মানববন্ধন বিটিভির সংবাদ বেসরকারি টেলিভিশনে সম্প্রচারের প্রয়োজন নেই : নাহিদ শুক্রবারও চলবে মেট্রোরেল চাঁপাইনবাবগঞ্জ র‍্যাব ক্যাম্পের অভিযানে দু’কোটি টাকার হেরোইন উদ্ধার, আটক-১ অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত হলেই ভাসতে থাকে প্রথম শ্রেণীর জাজিরা পৌরসভা। চট্টগ্রামে সাবেক সাংসদ বাদলের কবরে ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ
নিষিদ্ধের জবাবে যা বললেন জেবা

দোদুলের কুপ্রস্তাবে রাজি হইনি বলে আমি নিষিদ্ধ

অসহযোগিতা ও অসদাচরণের কারণে উঠতি অভিনয়শিল্পী জেবা জান্নাতকে নিষিদ্ধ করেছে টেলিভিশন নাটক নির্মাতাদের সংগঠন ডিরেক্টরস গিল্ড। ডিরেক্টরস গিল্ডের এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে এ তথ্য। এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে জেবা জান্নাতকে আগামী ২০ জুন থেকে নিষিদ্ধ করেছে সংগঠনটি।

ডিরেক্টরস গিল্ডের এমন সিদ্ধান্তের ব্যাপারে এবার মুখ খুললেন জেবা। তিনি গণমাধ্যমকে জানালেন, রাশেদা আক্তার লাজুকের স্বামী পরিচালক সাজ্জাদ হোসেন দোদুল তাকে কুপ্রস্তাব দিয়েছিলেন। সেই প্রস্তাব গ্রহণ না করার কারণেই তার পেছনে লেগেছেন তারা।

জেবা এও জানালেন, এ ঘটনা এক বছর আগের। এখন সামনে আনার উদ্দেশ্যও তিনি বুঝতে পারছেন না। বলেন, ‘বুঝতেছি না আমি কেন নিষিদ্ধ হলাম। স্পষ্টভাবে তারা নিষিদ্ধের কোনো কারণও জানায়নি। আমি নতুন এসেছি বলেই তারা আমাকে নিষিদ্ধ করল, আর আমি নিষিদ্ধ হয়ে গেলাম!’
এক বছর আগের ঘটনা নিয়ে জেবা আরও বলেন, ওই সময় সাজ্জাদ হোসেন দোদুলের কয়েকটা কাজ করেছি। এর পরই ওনার ওয়াইফ লাজুক ভাবির একটা সিরিয়ালে কাজের কথা বলেন, তো আমি কাজটা করতে রাজি হই। কিন্তু কাজটা করতে গিয়ে কিছু সমস্যাও ফেইস করি। যেমন অনেক রাত পর্যন্ত শুটিং করলেও তারা আমাকে কোনো ধরনের ট্রান্সপোর্ট দিতেন না।’

‘এতে তাদের আমি বলি, কাজটি আর করতে পারব না। তো আমি দুই-তিন দিন শুটিংয়ে যাইনি। এরপর তারা আমাকে বুঝিয়ে আবারও শুটিংয়ে ফেরান এই বলে, তারা আমাকে দ্রুত ছেড়ে দেবেন। কিন্তু তারা কথা রাখেননি। শেষের দিকে একদিন আমার শুধু একটা দৃশ্য বাকি ছিল; কিন্তু তারা ট্রান্সপোর্ট না পাঠানোয় আমি যেতে পারিনি। এ কারণে তারা আমাকে থ্রেট দেন যে আমার মিডিয়ায় কাজ করা তারা বন্ধ করে দেবেন’ বলেও যোগ করেন জেবা।

তিনি আরও বলেন, ওই ঘটনার পরে লাজুক ভাবির হাজব্যান্ড আমাকে ফোন দিয়ে বলেন, আমি যদি ওনার সঙ্গে ফ্রেন্ডশিপ করি বা প্রেম করি তাহলে সব কিছু ঠিক করে দেবেন। তো ওনার হাজব্যান্ড যে বাজে অফার দিয়েছিলেন তা আমি অ্যাকসেপ্ট করিনি। এরপর থেকেই ওনারা ‘হাজব্যান্ড-ওয়াইফ’ মিলে আমার পেছনে লেগেছেন।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

পিলখানা হত্যাকাণ্ডকে ‘পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড’ আখ্যায়িত করার দাবি

নিষিদ্ধের জবাবে যা বললেন জেবা

দোদুলের কুপ্রস্তাবে রাজি হইনি বলে আমি নিষিদ্ধ

আপডেট সময় ১১:০৭:৫৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৯ জুন ২০২৩

অসহযোগিতা ও অসদাচরণের কারণে উঠতি অভিনয়শিল্পী জেবা জান্নাতকে নিষিদ্ধ করেছে টেলিভিশন নাটক নির্মাতাদের সংগঠন ডিরেক্টরস গিল্ড। ডিরেক্টরস গিল্ডের এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে এ তথ্য। এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে জেবা জান্নাতকে আগামী ২০ জুন থেকে নিষিদ্ধ করেছে সংগঠনটি।

ডিরেক্টরস গিল্ডের এমন সিদ্ধান্তের ব্যাপারে এবার মুখ খুললেন জেবা। তিনি গণমাধ্যমকে জানালেন, রাশেদা আক্তার লাজুকের স্বামী পরিচালক সাজ্জাদ হোসেন দোদুল তাকে কুপ্রস্তাব দিয়েছিলেন। সেই প্রস্তাব গ্রহণ না করার কারণেই তার পেছনে লেগেছেন তারা।

জেবা এও জানালেন, এ ঘটনা এক বছর আগের। এখন সামনে আনার উদ্দেশ্যও তিনি বুঝতে পারছেন না। বলেন, ‘বুঝতেছি না আমি কেন নিষিদ্ধ হলাম। স্পষ্টভাবে তারা নিষিদ্ধের কোনো কারণও জানায়নি। আমি নতুন এসেছি বলেই তারা আমাকে নিষিদ্ধ করল, আর আমি নিষিদ্ধ হয়ে গেলাম!’
এক বছর আগের ঘটনা নিয়ে জেবা আরও বলেন, ওই সময় সাজ্জাদ হোসেন দোদুলের কয়েকটা কাজ করেছি। এর পরই ওনার ওয়াইফ লাজুক ভাবির একটা সিরিয়ালে কাজের কথা বলেন, তো আমি কাজটা করতে রাজি হই। কিন্তু কাজটা করতে গিয়ে কিছু সমস্যাও ফেইস করি। যেমন অনেক রাত পর্যন্ত শুটিং করলেও তারা আমাকে কোনো ধরনের ট্রান্সপোর্ট দিতেন না।’

‘এতে তাদের আমি বলি, কাজটি আর করতে পারব না। তো আমি দুই-তিন দিন শুটিংয়ে যাইনি। এরপর তারা আমাকে বুঝিয়ে আবারও শুটিংয়ে ফেরান এই বলে, তারা আমাকে দ্রুত ছেড়ে দেবেন। কিন্তু তারা কথা রাখেননি। শেষের দিকে একদিন আমার শুধু একটা দৃশ্য বাকি ছিল; কিন্তু তারা ট্রান্সপোর্ট না পাঠানোয় আমি যেতে পারিনি। এ কারণে তারা আমাকে থ্রেট দেন যে আমার মিডিয়ায় কাজ করা তারা বন্ধ করে দেবেন’ বলেও যোগ করেন জেবা।

তিনি আরও বলেন, ওই ঘটনার পরে লাজুক ভাবির হাজব্যান্ড আমাকে ফোন দিয়ে বলেন, আমি যদি ওনার সঙ্গে ফ্রেন্ডশিপ করি বা প্রেম করি তাহলে সব কিছু ঠিক করে দেবেন। তো ওনার হাজব্যান্ড যে বাজে অফার দিয়েছিলেন তা আমি অ্যাকসেপ্ট করিনি। এরপর থেকেই ওনারা ‘হাজব্যান্ড-ওয়াইফ’ মিলে আমার পেছনে লেগেছেন।