আগামী ৫ নভেম্বর অনুষ্ঠিতব্য ফরিদপুর-২ আসনে উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণ ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হবে। এ লক্ষ্যে ইভিএমের নিরাপত্তা, ইভিএম ও সিল সংরক্ষণ ও গোপনীয়তা রক্ষা, ভোটকেন্দ্রে সিল পাঠানো এবং আইন অনুসারে নির্বাচনী কাগজপত্র সংরক্ষণে পরিপত্র জারি করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
ইসির পরিপত্রে বলা হয়, ইভিএমসহ বিভিন্ন নির্বাচনী উপকরণ রিটার্নিং অফিসারের কাছে যথাসময়ে পাঠানো অত্যাবশ্যক। ইভিএমসহ বিভিন্ন নির্বাচনী উপকরণ জেলা পর্যায়ে পৌঁছানোর পর জেলা ও পুলিশ প্রশাসন বিশেষ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেবেন।
ইসির নির্বাচন পরিচালনা শাখার উপসচিব মো. আতিয়ার রহমান জানান, এই পরিপত্রে ইভিএমের নিরাপত্তা, ইভিএমের গোপনীয়তা রক্ষা, ব্রাশ সিলের নিরাপত্তা কোড নম্বর, হেসিয়ান ব্যাগ ও গানি ব্যাগের মাধ্যমে নির্বাচনী উপকরণ পাঠানো, নির্বাচনী উপকরণ ও ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের গন্তব্যস্থলে পৌঁছানোর জন্য সহায়তা, নির্বাচনী কাগজপত্র নিরাপত্তাসহ সংরক্ষণ করা হবে। ইভিএম ও বিভিন্ন সিল সংরক্ষণ ও গোপনীয়তা রক্ষা এবং আইন অনুসারে নির্বাচনী কাগজপত্র সংরক্ষণ ও অনুরূপ বিষয়ে জাতীয় সংসদের সাধারণ নির্বাচন উপলক্ষে জারি করা নির্দেশনা অনুসারে কার্যক্রম গ্রহণ করার জন্য বলা হয়েছে।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর গত ১১ সেপ্টেম্বর মৃত্যুতে ফরিদপুর-২ সংসদীয় আসনটি শূন্য ঘোষণা করে বাংলাদেশ সংসদ সচিবালয়। এরপর নির্বাচন কমিশন (ইসি) এ আসনে আগামী ৫ নভেম্বর আসনটিতে উপনির্বাচন করতে তফসিল ঘোষণা করে। সংবিধান অনুযায়ী কোনো সংসদীয় আসন শূন্য হওয়ার পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে ওই আসনে উপনির্বাচনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
প্রসঙ্গত, ১১ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাত ১১টা ৪০ মিনিটে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী। পরে তার নির্বাচনী আসন শূন্য ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করা হয়। এ আসনের উপনির্বাচনে ফরিদপুর আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তাকে রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।