ঢাকা ১১:২৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৯ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

প্রমাণ নেই, গুজরাট দাঙ্গায় অভিযুক্ত ২৬ জনকে খালাস

২০০২ সালের গুজরাট দাঙ্গার সময় ১২ জনকে হত্যা, এক নারীকে গণধর্ষণের পৃথক ঘটনায় অভিযুক্ত ২৬ জনকে বেকসুর খালাস দিয়েছে গুজরাটের একটি আদালত। তাদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণের অভাবে তাদের খালাস দেওয়া হয়েছে।  

২০ বছরের পুরোনো মামলায় মোট ৩৯ জন অভিযুক্ত ছিল। সেই অভিযুক্তদের মধ্যে ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে ইতোমধ্যেই। গত শুক্রবার প্রমাণের অভাবে হত্যা, গণধর্ষণ ও দাঙ্গার অভিযোগ থাকা ২৬ জনকে বেকসুর খালাস দিয়েছে আদালত।

প্রসঙ্গত, ২০০২ সালের ১ মার্চ গুজরাটের গান্ধীনগরের কলোল এলাকায় শুরু হয়েছিল দাঙ্গা। ওই সহিংসতায় যুক্ত হয়েছিলেন ২ হাজারেরও বেশি মানুষ। বহু দোকানও ভাঙচুর করা হয়েছিল। অগ্নিসংযোগ করা হয়েছিল গাড়ি ও বাড়ি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছিল। পুলিশের গুলিতে এক যুবক জখম হয়েছিল। সেই যুবককে পুলিশ টেম্পো করে হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছিল। তখন তাকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারা হয়েছিল। উত্তেজিত জনতা আরও একজনকে হত্যা করেছিল সেখানে। এদিকে অপর এক ঘটনায় দেলোল গ্রাম থেকে আসা ৩৮ জনের ওপর হামলা চালিয়েছিল দাঙ্গাবাজরা। সেখানে ১১ জনকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারা হয়েছিল। সেই সময় এক নারীকে গণধর্ষণও করা হয়েছিল।

এসব ঘটনায় পৃথক মামলা চলছে বিগত দুই দশক ধরে। এতে মোট ১৯০ জন সাক্ষ্য প্রদান করেছেন। পুলিশের পক্ষ থেকে ৩৩৪টি প্রমাণ জমা দেওয়া হয়েছে আদালতে। তবে সাক্ষীদের বয়ানে অসঙ্গতি রয়েছে বলে জানান বিচারক।

আবারপুলিশের তদন্তেও গাফিলতি ছিল বলে উল্লেখ করা হয়েছে রায়ে।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

জমির দলিলের প্রলোভানা দিয়ে গ্রাম পুলিশের নির্দেশে সোনিয়া আক্তার নামে এক নারীকে নির্যাতন করে

প্রমাণ নেই, গুজরাট দাঙ্গায় অভিযুক্ত ২৬ জনকে খালাস

আপডেট সময় ১২:২৭:৩৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ এপ্রিল ২০২৩

২০০২ সালের গুজরাট দাঙ্গার সময় ১২ জনকে হত্যা, এক নারীকে গণধর্ষণের পৃথক ঘটনায় অভিযুক্ত ২৬ জনকে বেকসুর খালাস দিয়েছে গুজরাটের একটি আদালত। তাদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণের অভাবে তাদের খালাস দেওয়া হয়েছে।  

২০ বছরের পুরোনো মামলায় মোট ৩৯ জন অভিযুক্ত ছিল। সেই অভিযুক্তদের মধ্যে ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে ইতোমধ্যেই। গত শুক্রবার প্রমাণের অভাবে হত্যা, গণধর্ষণ ও দাঙ্গার অভিযোগ থাকা ২৬ জনকে বেকসুর খালাস দিয়েছে আদালত।

প্রসঙ্গত, ২০০২ সালের ১ মার্চ গুজরাটের গান্ধীনগরের কলোল এলাকায় শুরু হয়েছিল দাঙ্গা। ওই সহিংসতায় যুক্ত হয়েছিলেন ২ হাজারেরও বেশি মানুষ। বহু দোকানও ভাঙচুর করা হয়েছিল। অগ্নিসংযোগ করা হয়েছিল গাড়ি ও বাড়ি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছিল। পুলিশের গুলিতে এক যুবক জখম হয়েছিল। সেই যুবককে পুলিশ টেম্পো করে হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছিল। তখন তাকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারা হয়েছিল। উত্তেজিত জনতা আরও একজনকে হত্যা করেছিল সেখানে। এদিকে অপর এক ঘটনায় দেলোল গ্রাম থেকে আসা ৩৮ জনের ওপর হামলা চালিয়েছিল দাঙ্গাবাজরা। সেখানে ১১ জনকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারা হয়েছিল। সেই সময় এক নারীকে গণধর্ষণও করা হয়েছিল।

এসব ঘটনায় পৃথক মামলা চলছে বিগত দুই দশক ধরে। এতে মোট ১৯০ জন সাক্ষ্য প্রদান করেছেন। পুলিশের পক্ষ থেকে ৩৩৪টি প্রমাণ জমা দেওয়া হয়েছে আদালতে। তবে সাক্ষীদের বয়ানে অসঙ্গতি রয়েছে বলে জানান বিচারক।

আবারপুলিশের তদন্তেও গাফিলতি ছিল বলে উল্লেখ করা হয়েছে রায়ে।