ঢাকা ০১:২৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৫, ৩০ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
হিসাব রক্ষক আলাউদ্দিনের এক যুগের দুর্নীতি ঘোচাবে কে? গণপূর্তে সন্ত্রাসীদের দ্বারা সিন্ডিকেট গড়েছেন নির্বাহী প্রকৌশলী তামজিদ হোসেন কুমিল্লায় তায়কোয়ানদো প্রতিযোগিতার পুরষ্কার বিতরণ সম্পন্ন গ্যাসের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির পরিকল্পনা শিল্পঘাতক: আইইএফ দেশীয় সিগারেট শিল্প বৈষম্যের শিকার জুলাই বিপ্লবে নিহত মাহবুবের পরিবারের পাশে তারেক রহমান ‘নিত্যপণ্যে ভ্যাট বসিয়ে ফ্যাসিস্টের রাস্তায় হাঁটছে সরকার’ বিএনপি মহাসচিবের সঙ্গে ইইউ রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ চলতি বছরেই নির্বাচন সম্পন্ন করা জরুরি ঐক্যবদ্ধ থাকলে কোন ষড়যন্ত্রকারী বিএনপির ক্ষতি করতে পারবে না : আমিনুল হক

অ্যান্টার্কটিকার হিমবাহ গলনে ঢেউ কমছে সমুদ্রে!

বৈশ্বিক উষ্ণতা ক্রমাগত বেড়েই চলেছে। আর তাই দ্রুত গলছে অ্যান্টার্কটিকার বরফ। যদিও এই তথ্য একেবারেই নতুন নয়। নতুন যা, তা হলো এই বরফ বিশ্বের সমুদ্রের মধ্য দিয়ে গিয়ে মহাসাগরের তলদেশে জলের প্রবাহকে ধীর করে দিচ্ছে। ফলে সরাসরি বিশ্ব জলবায়ুর ওপর প্রভাব পড়ছে। 

শুধুই তাই নয়, সেই সঙ্গে সামুদ্রিক খাদ্য-শৃঙ্খল ও হিমবাহের বরফের ওপরও বিধ্বংসী প্রভাব ফেলতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন গবেষকরা। অর্থাৎ বরফ দ্রুত গলে যাওয়ার কারণে অ্যান্টার্কটিকা থেকে মহাসাগরগুলোর গভীরে যে জলের প্রবাহ রয়েছে, তা ২০৫০ সাল নাগাদ ৪০ শতাংশ কমে যেতে পারে। অ্যান্টার্কটিকা থেকে ২৫০ ট্রিলিয়ন টনের মতো ঠান্ডা এবং অক্সিজেন সমৃদ্ধ জলের প্রবাহ ভারত মহাসাগর, প্রশান্ত মহাসাগর ও আটলান্টিক সাগরের দিকে প্রবাহিত হয়।

বর্তমানে আন্টার্কটিকার তাপমাত্রা বৃদ্ধি ও হিমবাহ গলে যাওয়ার কারণে এই অক্সিজেন সমৃদ্ধ জলের স্রোতের পরিমাণ কমে যাচ্ছে। ওই জলের প্রবাহ অন্য সাগর-মহাসাগর অবধি পৌঁছাতে পারছে না।

নেচার জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণায় বলা হয়েছে, ২০৫০ সালের মধ্যে অ্যান্টার্কটিকা থেকে নির্গত বরফ গলা জলের জন্য গভীর সমুদ্রের জলের প্রবাহ ৪০ শতাংশ পর্যন্ত কমে যেতে পারে। গবেষণায় সতর্ক করা হয়েছে যে, এর প্রভাব আগামী শতাব্দী অবধি থাকতে পারে।

মহাসাগরের তলদেশে তুলনামূলক ঘন জলের এই প্রবাহ বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে সাগরের তাপমাত্রা ধরে রাখতে সহায়তা করে। পাশাপাশি সামুদ্রিক প্রাণীদের কাছে কার্বন, অক্সিজেন ও প্রধান পুষ্টি উপাদানগুলি পৌঁছে দেয়। জলের প্রবাহ কমে গেলে সেই ক্ষেত্রে বড় বাধা আসবে।

গবেষণার ফলাফলে আশঙ্কা প্রকাশ করে অস্ট্রেলিয়ার ইউনিভার্সিটি অফ নিউ সাউথ ওয়েলসের অধ্যাপক ম্যাথিউ ইংল্যান্ড বলেন, এভাবে চলতে থাকলে গোটা বিশ্ব ভয়াবহ বিপদের সম্মুখীন হবে। বিশ্ব উষ্ণায়ণ ও তার জেরে জলবায়ু বদলের কারণে সামুদ্রিক বাস্তুতন্ত্রে বড় প্রভাব পড়বে। জলের তাপমাত্রা বাড়বে ও সামুদ্রিক প্রাণী বিলুপ্তির দিকে এগিয়ে যাবে।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

হিসাব রক্ষক আলাউদ্দিনের এক যুগের দুর্নীতি ঘোচাবে কে?

অ্যান্টার্কটিকার হিমবাহ গলনে ঢেউ কমছে সমুদ্রে!

আপডেট সময় ১১:৫২:২৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২ এপ্রিল ২০২৩

বৈশ্বিক উষ্ণতা ক্রমাগত বেড়েই চলেছে। আর তাই দ্রুত গলছে অ্যান্টার্কটিকার বরফ। যদিও এই তথ্য একেবারেই নতুন নয়। নতুন যা, তা হলো এই বরফ বিশ্বের সমুদ্রের মধ্য দিয়ে গিয়ে মহাসাগরের তলদেশে জলের প্রবাহকে ধীর করে দিচ্ছে। ফলে সরাসরি বিশ্ব জলবায়ুর ওপর প্রভাব পড়ছে। 

শুধুই তাই নয়, সেই সঙ্গে সামুদ্রিক খাদ্য-শৃঙ্খল ও হিমবাহের বরফের ওপরও বিধ্বংসী প্রভাব ফেলতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন গবেষকরা। অর্থাৎ বরফ দ্রুত গলে যাওয়ার কারণে অ্যান্টার্কটিকা থেকে মহাসাগরগুলোর গভীরে যে জলের প্রবাহ রয়েছে, তা ২০৫০ সাল নাগাদ ৪০ শতাংশ কমে যেতে পারে। অ্যান্টার্কটিকা থেকে ২৫০ ট্রিলিয়ন টনের মতো ঠান্ডা এবং অক্সিজেন সমৃদ্ধ জলের প্রবাহ ভারত মহাসাগর, প্রশান্ত মহাসাগর ও আটলান্টিক সাগরের দিকে প্রবাহিত হয়।

বর্তমানে আন্টার্কটিকার তাপমাত্রা বৃদ্ধি ও হিমবাহ গলে যাওয়ার কারণে এই অক্সিজেন সমৃদ্ধ জলের স্রোতের পরিমাণ কমে যাচ্ছে। ওই জলের প্রবাহ অন্য সাগর-মহাসাগর অবধি পৌঁছাতে পারছে না।

নেচার জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণায় বলা হয়েছে, ২০৫০ সালের মধ্যে অ্যান্টার্কটিকা থেকে নির্গত বরফ গলা জলের জন্য গভীর সমুদ্রের জলের প্রবাহ ৪০ শতাংশ পর্যন্ত কমে যেতে পারে। গবেষণায় সতর্ক করা হয়েছে যে, এর প্রভাব আগামী শতাব্দী অবধি থাকতে পারে।

মহাসাগরের তলদেশে তুলনামূলক ঘন জলের এই প্রবাহ বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে সাগরের তাপমাত্রা ধরে রাখতে সহায়তা করে। পাশাপাশি সামুদ্রিক প্রাণীদের কাছে কার্বন, অক্সিজেন ও প্রধান পুষ্টি উপাদানগুলি পৌঁছে দেয়। জলের প্রবাহ কমে গেলে সেই ক্ষেত্রে বড় বাধা আসবে।

গবেষণার ফলাফলে আশঙ্কা প্রকাশ করে অস্ট্রেলিয়ার ইউনিভার্সিটি অফ নিউ সাউথ ওয়েলসের অধ্যাপক ম্যাথিউ ইংল্যান্ড বলেন, এভাবে চলতে থাকলে গোটা বিশ্ব ভয়াবহ বিপদের সম্মুখীন হবে। বিশ্ব উষ্ণায়ণ ও তার জেরে জলবায়ু বদলের কারণে সামুদ্রিক বাস্তুতন্ত্রে বড় প্রভাব পড়বে। জলের তাপমাত্রা বাড়বে ও সামুদ্রিক প্রাণী বিলুপ্তির দিকে এগিয়ে যাবে।