ঢাকা ০৪:২৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৮ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

পুলিশের কঠোর নজরদারিতে হংকংয়ে ফের বিক্ষোভ-সমাবেশ

পুলিশের কঠোর নজরদারির মধ্যে হংকংয়ে বিক্ষোভ-সমাবেশ হয়েছে। রোববার (২৬ মার্চ) অনুষ্ঠিত এই সমাবেশে থাকা সকল প্ল্যাকার্ড এবং স্লোগান পুলিশের অনুমতি নিয়ে ব্যবহার করা হয়েছে।

অবশ্য ২০১৯ সালের পর হংকংয়ে সকল ধরনের বিক্ষোভ সমাবেশ বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। করোনা মহামারির জন্য কড়া নিয়মকানুন চালু করা হয়েছিল সেখানে। বস্তুত, ২০১৯ সালে হওয়া সর্বশেষ বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে বহু মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। কারণ তার আগেই হংকংয়ে চালু হয় বিতর্কিত জাতীয় নিরাপত্তা আইন।

এদিন সমাবেশে প্ল্যাকার্ড এবং পোস্টার পুলিশের অনুমতি নিয়ে ব্যবহার করতে হয়েছে। পোস্টারের ভাষ্যও পুলিশ আগে থেকে দেখে দিয়েছে। পুলিশ জানিয়েছিল, ১০০ জনের বেশি মিছিলে অংশ নিতে পারবে না। প্রতিবাদকারীদের গায়ে লাগিয়ে দেওয়া হয়েছিল নাম্বার লাগানো স্টিকার।

এখানেই শেষ নয়। পুলিশ জানিয়েছিল, এমন কিছু বলা যাবে না, যা দেশদ্রোহের মতো শোনায়। ফলে, কার্যত পুলিশের নির্দেশ মেনে এদিনে মিছিল হয়েছে। কিন্তু তারপরেও খুশি বিক্ষোভকারীরা। তাদের বক্তব্য, অনেকদিন পর হংকংয়ে আবার মিছিল, সমাবেশ করার সুযোগ পাওয়া গেল। এটাই একটা বড় জয়।

মূলত ৪ জুন এবং ১ জুলাই হংকংয়ে ব্যাপক বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন হয়ে থাকে। ৪ জুন তিয়েনআনমেন স্কোয়্যারে ছাত্রদের ওপর গুলি চালিয়েছিল পুলিশ। আর ১ জুলাই ব্রিটিশরা বেজিংয়ের হাতে হংকংকে তুলে দিয়েছিল।

মাঝে বেশ কিছুদিন এই দুই ঐতিহাসিক দিনেও পুলিশ কোনও বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করতে দেয়নি। এ বছর তা কোন পর্যায়ে পৌঁছায় সেদিকেই তাকিয়ে আছেন বিশেষজ্ঞরা।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

জমির দলিলের প্রলোভানা দিয়ে গ্রাম পুলিশের নির্দেশে সোনিয়া আক্তার নামে এক নারীকে নির্যাতন করে

পুলিশের কঠোর নজরদারিতে হংকংয়ে ফের বিক্ষোভ-সমাবেশ

আপডেট সময় ০১:২২:০০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ মার্চ ২০২৩

পুলিশের কঠোর নজরদারির মধ্যে হংকংয়ে বিক্ষোভ-সমাবেশ হয়েছে। রোববার (২৬ মার্চ) অনুষ্ঠিত এই সমাবেশে থাকা সকল প্ল্যাকার্ড এবং স্লোগান পুলিশের অনুমতি নিয়ে ব্যবহার করা হয়েছে।

অবশ্য ২০১৯ সালের পর হংকংয়ে সকল ধরনের বিক্ষোভ সমাবেশ বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। করোনা মহামারির জন্য কড়া নিয়মকানুন চালু করা হয়েছিল সেখানে। বস্তুত, ২০১৯ সালে হওয়া সর্বশেষ বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে বহু মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। কারণ তার আগেই হংকংয়ে চালু হয় বিতর্কিত জাতীয় নিরাপত্তা আইন।

এদিন সমাবেশে প্ল্যাকার্ড এবং পোস্টার পুলিশের অনুমতি নিয়ে ব্যবহার করতে হয়েছে। পোস্টারের ভাষ্যও পুলিশ আগে থেকে দেখে দিয়েছে। পুলিশ জানিয়েছিল, ১০০ জনের বেশি মিছিলে অংশ নিতে পারবে না। প্রতিবাদকারীদের গায়ে লাগিয়ে দেওয়া হয়েছিল নাম্বার লাগানো স্টিকার।

এখানেই শেষ নয়। পুলিশ জানিয়েছিল, এমন কিছু বলা যাবে না, যা দেশদ্রোহের মতো শোনায়। ফলে, কার্যত পুলিশের নির্দেশ মেনে এদিনে মিছিল হয়েছে। কিন্তু তারপরেও খুশি বিক্ষোভকারীরা। তাদের বক্তব্য, অনেকদিন পর হংকংয়ে আবার মিছিল, সমাবেশ করার সুযোগ পাওয়া গেল। এটাই একটা বড় জয়।

মূলত ৪ জুন এবং ১ জুলাই হংকংয়ে ব্যাপক বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন হয়ে থাকে। ৪ জুন তিয়েনআনমেন স্কোয়্যারে ছাত্রদের ওপর গুলি চালিয়েছিল পুলিশ। আর ১ জুলাই ব্রিটিশরা বেজিংয়ের হাতে হংকংকে তুলে দিয়েছিল।

মাঝে বেশ কিছুদিন এই দুই ঐতিহাসিক দিনেও পুলিশ কোনও বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করতে দেয়নি। এ বছর তা কোন পর্যায়ে পৌঁছায় সেদিকেই তাকিয়ে আছেন বিশেষজ্ঞরা।